.
আপনি জানেন কীঃ ক্যালসিয়াম ওজন কমায়!

আপনি জানেন কীঃ ক্যালসিয়াম ওজন কমায়!



আসলে শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে তো কাজেও মন বসবে না তাই না? সুতরাং শরীরের উপর মনযোগ অত্যান্ত জরুরী একটি জিনিষআজ আমি ক্যালসিয়াম সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবোআশা করি আপনাদের উপকারে আসবেআমি শুনেছি জ্ঞান কখনো বৃথা যায় নাআর এটা এমন না যে ছোটরা বড়দের চেয়ে সবদিক থেকে কম জানে

ক্যালসিয়াম এমন একটা মিনারেল যা শরীরের চর্বি কমিয়ে ওজনটাকেও কমিয়ে দেয় সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে পারাভিউ ইউনিভার্সিটির গবেষকগণবেশ কিছু সংখ্যক মহিলাদের নিয়ে এ পরীক্ষাটি চালানো হয়েছেগবেষকগণ তাদেরকে বেশি বেশি করে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধি খাবার খাইয়েছেন অপর আরেকদল মহিলাদেরকে গবেষকগণ স্বাভাবিক খাবার খাইয়েছেনদেখা গেছে যারা বেশি করে ক্যালসিয়াম খেয়েছেন তাদের ওজন কমেছে বাকিদের তুলনায়

এদিকে ক্যালসিয়াম কিভাবে ওজন কমায় তা নিয়ে বিজ্ঞানী-গবেষকগণ একটা নতুন তথ্যও দাঁড় করিয়েছেনতাদের ভাষ্যমতে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে রক্তে প্যারাথাইয়েড হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়এটি একই সাথে রক্তে এ্যাকটিভ ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়এই প্যারাথাইয়েড হরমোন এবং ভিটামিন ডি ফ্যাট সেলগুলোতে ক্যালসিয়ামের অনুপ্রবেশ ঘটায় এবং ফ্যাটসেল গুলোতে আরো ফ্যাট জমা হতে সাহায্য করেফলে শরীরে ফ্যাট জমে ওজন বেড়ে যায়
অপরদিকে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে এই দৃশ্যপট বদলে যায়ফলে ফ্যাট ভাঙ্গতে শুরু করে আর ফ্যাটের স্টোরও কমে যায়ফলে ওজনও কমে যায়
সুতরাং ওজন কমাতে হলে এখন থেকেই বেশি বেশি করে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করুনথাকুন ফ্যাট ফ্রী, উড়ে বেড়ান মুক্ত বাতাসে
হার্ট ভালো রাখবেন কীভাবে?

হার্ট ভালো রাখবেন কীভাবে?



বর্তমানে যে শারীরিক সমস্যাটা বেশ লক্ষ্য করা যায় তা কি জানেন? হ্যা হৃদরোগবর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই হৃদ রোগে আক্রান্তগত বছরের তুলনায় বর্তমানে হার্ট এটাক ও অন্যান্য রোগ গুলো বাড়ছে চরম গতিতেমুলত বিশেষজ্ঞদের মতে খাবার ও চলাফেরার অনিয়ম এবং বংশের সূত্র ধরেও হৃদ রোগ হতে পারেসত্যি বলতে হার্টের রোগ খুবই মারাত্বক ও যন্ত্রনাদায়ক একটা রোগযার হার সময়ের সাথে সাথে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছেআমরা যদি একটু নিজেদের প্রতি সচেতন হই তাহলে মুলত হার্ট ভালো রাখার কিছুটা ভরসা পাওয়া যেতে পারে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কিছু টিপস আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম

হার্টের যত্ন নেবার কিছু টিপসঃ
  • প্রথমেই যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুনকারণ বিজ্ঞানে এখন এটা প্রমাণিত যে সকল প্রকার রোগ ব্যাধি নামাযের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব
  • সকল প্রকার মাদক দ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকুন
  • তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহন পরিহার করুনবিশেষ করে সিগারেট
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান
  • তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহান করুনবিশেষ করে ফাষ্টফুড এবং ফুটপাতের খোলা খাবার
  • বেশী বেশী করে সকল প্রকার ফলমূল ও শাক সবজি খান
  • লবণ ও চিনি কম খান
  • প্রয়োজনে নিয়মিত আদা ও অন্যান্য মসলা দিয়ে রং চা খানতবে চিনি ছাড়া
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং সাথে সাথে নিয়মিত হাটার অভ্যাস করুন
  • আপনার দেহের গঠন ও উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন
  • উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন
  • রক্তে কোলেষ্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখার চেষ্টা করুনআপনার বয়স যতি চল্লিশ বা তার বেশী হয় তাহলে প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার রক্তে চর্বির পরিমাণ পরীক্ষা করুন
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ ত্যাগ করুন
  • বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি গলা ব্যাথা ও বাতজ্বর হয় তাহলে অতি সত্তর ডাক্তারের কাছে যান
  • যাদের বংশসূত্রে হৃদরোগ আছে তারা বেশী সাবধানতা অবলম্বন করুন
  • কম বয়সে হৃদরোগ হবে না এমন ধারণা মোটেও করবেন না
সব শেষে বলবো হার্টের সুস্থতা মানে আপনার নিজের সুস্থতামনে রাখবেন হার্টের যত্ন নিবেন তো হার্ট আপনার যত্ন নিবেসুতরাং কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলে হার্টকে সুস্থ রাখুন

কোমল পানীয় পান করার ক্ষতিসমূহ এবং যা করা উচিত




বাজারে হাতের নাগালেই পেয়ে যাবেন নাম জানা অজানা নানান কোমল পানীয় অর্থা যাকে আমরা আদর করে ডাকি এনার্জি ড্রিকংসআমরা অনেকেই জানি না যে এই সব এনার্জি ড্রিকংস গুলোতে আসলে কি থাকেতবে খেতে অবশ্য বেশ মজা পাইকারণ কোমল পানীয় গুলো আসলে খেতে ভারি মজাদারকিন্তু প্রশ্ন হলো, নাম কোমল পানীয় হলেও তা কি সত্যি আমাদের দেহের জন্য কোমলীয়? নাহ একদম নাকোমল পানীয় আমাদের দেহের জন্য মারাত্তক ক্ষতি কর মুলত কোমল পানিতে আছে ফসফরিক এসিড, ক্যাফেইন, সুগার, কার্বন ডাই অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদিযা মুলত আমাদের দেহের ক্ষতি করার পাশা পাশি কোলেস্ট্রল মানে অতিরিক্ত মেদ বাড়িয়ে দেয়সহজ কথায় আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করেযাই হোক আজ আমি আপনাদের সামনে এই কোমল পানীয়র কিছু বিশেষ ক্ষতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরবো

ক্ষতিকর দিক সমূহঃ
  • দুধ, ভিটামিন ডি, বি৬, বি১২, ক্যালসিয়ামের শোষণ হ্রাস পায়যার ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে
  • দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ক্যাবিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়
  • দেহে কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি করে মানে শরীরের ওজন বাড়ায়ক্ষুদা মন্দা সৃষ্টি করে এবং অতিরিক্ত পানে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে
  • কোমল পানীয় অ্যাসিডিক, তাই অ্যাসিডিটি বাড়ায়
  • কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • চামড়ায় ভাঁজের সৃষ্টি হয়ফলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে
যা করা উচিতঃ
  • যতদুর সম্ভব কোমল পানীয় পান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন
  • যদি পান করা থেকে বিরত না থাকতে পারেন তাহলে নিয়মিত নয়, মাঝে মাঝে (২০০-২৫০ মিলি) পান করতে পারেন
  • খালি পেটে কখনোই পান করবেন না
  • ক্ষার জাতীয় খাবার খাওয়ার পর পান করুন
  • কোমল পানীয় পান করার সময় স্ট্র ব্যবহার করুন
  • পান করার পর ব্রাস করে নিতে ভুলবেন না যেন
কিছু সাধারণ ও সহজ নিয়ম মেনে চলা উচিতশুধু কোমল পানীয় পানের ক্ষেত্রে নয়সব ক্ষেত্রেইআমি বলবো কোমল পানীয় পানের মায়া ত্যাগ করুনএতে আপনার নিজেরই উপকার হবেকারণ এই সব ফাষ্টফুড শরীরের জন্য এতটাই ক্ষতিকর যে যা আমরা কখনোই কল্পনা করতে পারবো না
খুশকিমুক্ত চুল পেতে যা করণীয়

খুশকিমুক্ত চুল পেতে যা করণীয়



নিজের রুপ নিয়ে ভাবনার কী শেষ আছে? ছোট-বড়, মেয়ে-ছেলে সবাই নিজেদের রুপ চর্চ্চা নিয়ে ব্যস্তআর বিশেষ করে শীত কালের তো কোন কথাই নেইশীতে শরীরের ও মুখের ত্বক শুস্ক হয়ে যাবে এই ভয় থাকে সবার মনেআর তারই ধারাবাহিকতায় সকলেই নানান রঙয়ের নানান নামের ক্রীম আর লোশন ব্যবহার করে থাকেনতবে দু:খ জনক হলেও সত্য যে রুপ চর্চ্চার দিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই চুলের কথা ভুলে যাই
সকলেই জানে চুল হলো শরীরের এমন একটি অংশ যা রুপ চর্চ্চাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়কিন্তু চুলের ফ্যাশান করতে গিয়ে যদি চুল থেকে খুশকি বের হয়ে আপনার কাধে পড়ে তাহলে ভাবুন তো আপনার ফ্যাশানটা নিশ্চই প্যাকেট হয়ে যাবে?

যা করা উচিতঃ

শীতে মাথার ত্বক হয়ে পড়ে শুস্ক যার কারণে দেখা দেয় চুলের নানান সমস্যা শীতে অনেকে ঠান্ডা পানির ভয়ে শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে চান নাযার কারণে খুশকি মাথায় জমতে শুরু করেখুশকি দূর করতে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাটা জরুরী এটি আপনি বাসায় বা পার্লারে গিয়েও করতে পারেনতবে আমার মতে বাসায় করাটাই অনেক শ্রেয়কারণ বাড়িতে করলে অনেক ঝাক্কি-ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেনবাড়িতে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করার সবচাইতে সহজ নিয়ম হলোঃ
  • প্রথমে কুসুম গরম তেল (সেটা নারিকেলও হতে পারে) এ তুলো ডুবিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন
  • চুলের প্রত্যেকটি গোড়ায় ভালোমতো তেল ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে তোয়ালে চুবিয়ে মাথায় ১০ মিনিট গরম ভাবটা নিতে হবে
  • এভাবে দুইবার ভাব নেবার পর ধীরে ধীরে ভালোমতো চুল আচড়াতে হবে
  • গরম ভাপের কারণে মাথার ত্বকের খুশকি নরম হয়ে যাওয়ায় খুশকি ঝরে পড়বে
  • এরপর ভালোমানের একটা অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু (Head&solders বা Dove) দিয়ে মাথাটা ভালো করে ধুয়ে নিন
  • অবশ্যই মনে রাখবেন যে শ্যাম্পু করার পর আপনার চুল সম্পূর্ণ রুপে পরিস্কার হয়েছেযেন মাথার কোন অংশে শ্যাম্পু না লেগে থাকে
ব্যাস হয়ে গেল আপনার প্রাথমিক হেয়ার ট্রিটমেন্টআর হ্যা খাদ্য হিসেবে বেশী বেশী করে শাকসবজি, ফলমূল এবং পুষ্টিকর খাবার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখতে ভুলবেন নাহ যেন
নিয়মিত হাটুঁন অতঃপর সুস্থ্ থাকুন!

নিয়মিত হাটুঁন অতঃপর সুস্থ্ থাকুন!



যেমন ধরুন কেউ ভুগছে শারিরীক সমস্যায় আবার কেউ বা মানসিক সমস্যায়তবে সমসা যাই হউক সেটা তো সমস্যাই তাই নাহ? আর আমার মতে কখনো কোন সমস্যা নিজ দ্বায়িত্বে পুষে রাখা উচিত নয়কেননা হয়তবা সেই সমস্যাই একদিন আপনার সামনে অনেক বড় রূপ নিয়ে হাজির হতে পারে? যাই হউক বরাবরের মতো স্বাস্থ্য নিয়ে লিখতে লিখতে আজও তার ব্যতিক্রম করলাম নাসব ঝামেলা আর ভোগান্তি পেরিয়ে অবশেষে আপনাদের জন্য লিখতে বসে গেলাম আরেকটা সচেতনামূলক ব্লগ পোষ্টআমি আজ যে বিষয় নিয়ে লিখছে বসেছি তার শিরনাম দেখে আপনারা যে আগেই বুঝে গেছেন সেটা আমি অনেক আগেই টের পেয়েছি ;)

তো এবার আসুন আমার ভাষণ শেষ করে এইবার কাজের কথায় আসি কেমন নিয়মিত হাঁটাঃ

হুমম হাঁটা ! যেন এটা আজ আমাদের কাছে হয়ে উঠেছে একটা অসহ্যকর ব্যাপারএটা স্বাভাবিক ভাবেই যে আমরা একটু আরামপ্রিয় ব্যক্তিঅন্তত বিশেষ করে আমিহেহে যাই হোক তো হাঁটার নাম শুনলেই যেন আমাদের মাথা চক্কর দিয়ে ওঠেকেন জানেন? অনেকে বলে থাকেন আহহ :Dএত দূর হেটে যাবো? উফফ রোদ ! পা ব্যাথা করছে ইত্যাদি ইত্যাদি নানান অজুহাত হাঁটা থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরব্যাপারটা আসলেই স্পষ্ট যে অনেকেই হাঁটা এড়িয়ে চলেনঅনেকে আবার বলে থাকেন : আরে মিঞা ! এইডা টেকু মামার যুগ .. এই যুগে তুমি আমারে কও হাটবার? মিঞা তোমার কি মাথা খারাপ হইয়া গেছে নাকী? যাই হোক বা যে যাই বলুন এটা কিন্তু আমরা কখনো অস্বীকার করতে পারবো না যে হাঁটা আমাদের দেহের জন্য কতখানি উপকারীএটা যেমন আমাদের দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে তেমনি ভাবে আমাদের অলসতা থেকেও রেহাই দেয়আর এই গুরুত্বপূর্ণ হাটা সম্পর্কে বেশ কিছু উপকারী দিক সমূহ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো
হাঁটার উপকারীতা সমূহঃ
  • ব্রেইন এবং হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়
  • নিয়মিত হাঁটার অভ্যাসের মাধ্যমে শরীরের অনেক পরিমান ওজন কমানো সম্ভব
  • বুকের ব্যথা এবং বুক ধরফর করা থেকে আরাম পাবেন
  • নিয়মিত হাঁটলে শরীর ক্লান্ত হয় বিধায় খুব ভাল ঘুম হয়
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও ক্ষুধা বাড়ায়
  • নিয়মিত হাটলে উক্ত চামড়াগুলো টানটান হয়ে বয়স কমিয়ে দেয়
  • যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা নিয়মিত সকাল-বিকাল হেঁটে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন
  • নিয়মিত হাঁটলে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়
  • মানসিক টেনশন দূর হয়
  • হাপানী রোগ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়
  • শরীর সবসময় তরতাজা থাকে
  • মাইগ্রেইন বা অর্ধমাথা ব্যাথা দূর হয়
  • ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় ও রোগ থাকলে নিয়ন্ত্রনে থাকে
  • প্রতিদিন ১ ঘন্টা হাঁটলে শরীরের চর্বি কমে যায়
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়
  • আঙ্গুল পচা, গ্যাংগ্রিণ ইত্যাদি জাতীয় রোগ হয় না বা কম হয়
  • চেহারায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
  • যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় ও যৌবনকাল দীর্ঘায়িত হয়
  • হার্ট ভাল থাকে এবং হার্টে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে
দেখলেন তো হাঁটার কত উপকারীতা .. কি ভাবছেন? এখন থেকে সব সময়ই হেটে যাবেন? হেহে তা কেন করতে যাবেন ভাই? কথায় আছে না অতিরিক্ত কোন জিনিষই ভালো নাতেমনি ভাবে অতিরিক্ত হাটা হাটি করলেও আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেনযেমন ধরুন দুপুরে বিশ্রাম না নিয়ে আপনি Sun Bath করতে বের হলেন? ফলাফল? শূন্য তেমনি ভাবে আপনি যদি দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে বিকালে হাঁটতে বের হন তাহলে তখন সেই রোমান্টিক আবহাওয়াতে আপনার শরীরের পাশাপাশি মনটাও সতেজ হয়ে উঠবে সুতরাং আর দেরী কেন? আসুন সবাই মিলে ভোর বিকেলে নিয়মিত ১-২ ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলিযাতে উপকৃত হব আমরা নিজেই
রোজ সকালেই দেখাতে চান দারুণ আকর্ষণীয়? মেনে চলুন এই ১৬টি টিপস!

রোজ সকালেই দেখাতে চান দারুণ আকর্ষণীয়? মেনে চলুন এই ১৬টি টিপস!



 ঘুমাতে ভালবাসেনা এমন মানুষ খুব কমই আছে আর ঘুম হল আমাদের জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশঠিকমত ঘুম না হলে যেমন শরীর ও মনমেজাজ খারাপ থাকে, তেমনি আপনাকে দেখতেও খুব এলোমেলো লাগেঘুম থেকে ওঠার পর সবারই চেহারাটা ভোঁতা দেখায়, চোখ-মুখ ফুলে থাকেআর তাই সকাল সকাল কোথাও যেতে হলে বেশ বিব্রত হন অনেকেইঘুম থেকে ওঠার পরও দেখা চান দারুণ আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত? তাহলে আসুন জেনে নেই ১৬ টি উপায়, যেগুলো প্রয়োগ করলে আপনাকে সবসময় দেখাবে দারুণ সতেজ ও সুন্দরহ্যাঁ, ঘুম থেকে ওঠার পরেও!
ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করে নিনদেখবেন আপনার সারাদিনের ক্লান্ত শরীরে খুব আরাম উপভোগ করছেন এবং পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আপনাকে দেখাবে দারুণ ফ্রেশ!
সপ্তাহে একদিন অবশ্যই আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত একটি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন অথবা তেল সামান্য গরম করে ম্যাসাজ করুন চুলে
এবং পরদিন সকালে ভালো মতো শ্যাম্পু করে ফেলুনদেখবেন চুল থাকবে সুন্দর ঝর ঝরে এবং আকর্ষণীয় গোটা সপ্তাহ
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলকে গুছিয়ে বেঁধে না ফেললে সকালে উঠে দেখবেন চুলের যা তা অবস্থাতবে যেনতেনভাবে বাঁধলেও হবে নাযত্ন করে বাঁধুনআপনার চুলকে ২ ভাগ করুন এবং হালকা ভাবে ২ টা বেনি করে ফেলুনযাদের একদমি ছোট চুল বেনি করা সম্ভব না তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন
আজকাল মাথায় তেল দেয়ার এতো সময় কই! আর সময় থাকলেও অলসতার কারণে আমরা অনেকেই মাথায় তেল দেইনাতেল যদি দিতে একদমই ভালো না লাগে তাহলে আপনি হাতে খুব সামান্য পরিমান তেল নিয়ে তাতে অনেকটা পানি মেশানঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে হালকা ভাবে লাগিয়ে নিনও ভালো করে আঁচড়ে নিনপানির কারণে অল্প তেলই পুরো চুলে ছড়িয়ে পড়বেসকালে দেখবেন চুলগুলোকে সতেজ লাগছে
হাতের কাছেই আপনার মেকআপ রিমুভার রাখুন, কারণ বাইরে থেকে আসার পর যদি আপনি খুব ক্লান্ত থাকেন শাওয়ার নিতে ইচ্ছে না করে তখন শুধু মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করে ঘুমিয়ে পরুনছোট্ট এই কাজে পরদিন সকালেও আপনি থাকবে দারুণ আকর্ষণীয়
একটি ভালো ব্র্যান্ড এর ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন আপনার মুখ পরিষ্কার করার জন্য
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার মুখে ভালো কোন লোশন নিয়ে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করে নিনতারপর তুলো দিয়ে মুছে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ভালো একটা ক্রিম লাগিয়ে নিনএতে আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার হবে ও ব্লাড সার্কুলেশন বাড়বেসকালে উঠে পাবেন ঝলমলে ত্বক
সপ্তাহে ২ দিন ভালো কোন ফেসপ্যাক ব্যাবহার করুন যা আপনার ত্বকের সাথে যায়আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে মশ্চারাইজার যুক্ত ফেসপ্যাক ব্যবহার করুনআর যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়ে থাকে তাহলে ওয়েল ফ্রি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার বিছানা ভালো মতো ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিন এবং বিছানা ঘুছিয়ে পরিপাটি রাখুন দেখবেন ঘুমাতেও অনেক শান্তি লাগবেময়লা বিছানায় মুখের ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়
১০আপনার বিছানার পাশে ছোট একটি বোতলে নারিকেল তেল বা ভালো বডি লোশন রাখুন এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার হাতে-পায়ে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করে নিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার হাত ও পায়ের ত্বক অনেক বেশী নরম ও কোমল
১১সুন্দর চোখ কে না ভালবাসে? আর চোখের পাপড়িগুলো যদি থাকে ঘন কালো, সেই চোখের সৌন্দর্যই আলাদাআপনার চোখের পাপড়ি গুলো আরও বেশি ঘন কালো করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন ক্যাস্টর ওয়েল
১২রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি ভালো ব্র্যান্ড এর পেট্রলিয়াম জেলি অথবা ভালো লিপ বাম ব্যাবহার করুন যা আপনার ঠোঁটকে রাখবে সবসময় নরম
১৩প্রতিদিন সুন্দর পা চাই? তাহলে ভালো মশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন পায়ে এবং মোজা পরে ঘুমাতে যান
১৪রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সবসময় আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করুন যা আপনার চোখের নিচেকাল দাগ জমতে দেবে না
১৫রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করতে কিন্তু ভুলবেননা, যদি এই কাজটি আপনি আপনার অভ্যাসে পরিনত করতে পারেন উপকারি আপনি নিজেই হবেনদাঁত থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল
১৬প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা আগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট একটু ফ্রিহ্যান্ড এক্সেরসাইজ করে নিন দেখবেনগোসলটা এরপর করুনআপনার ঘুমও খুব ভালো হবে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আপনি থাকবেন সব সময়ের মতই ফ্রেশ যে ঘাম ঝরবে তাতে ত্বকের সব ময়লাও বেরিয়ে যাবে
.