.

বর্ষায় যত সমস্যা

বর্ষায় কদম ফুল দেখবেন, হয়তো হাতে নিয়ে ঘুরবেনও। বেলি ফুলের মালাও হয়তো কেউ হাতে জড়াবেন। কেউ আবার শখের বশে বৃষ্টিতে ভিজবেন। তবে খেয়াল রাখুন, ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। এতে নানা সমস্যা হতে পারে। শ্বাসনালি, সাইনাস, স্বরযন্ত্র, টনসিল বা গলনালিতে প্রদাহ হতে পারে। সর্দি, নাক বন্ধ ভাব, কথা বললেই কাশির দমক, গলা খুসখুস, ঢোঁক গিলতে অসুবিধা, কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়া বা কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া, জ্বর জ্বর ভাব, হালকা ম্যাজমেজে ভাব হতে পারে।
sasthobarta protidin
করণীয়
*ছাতা নিয়ে বাইরে বেরোবেন। হঠাৎ ভিজে গেলে ঝটপট শরীর ও চুল শুকিয়ে নিতে চেষ্টা করুন।
*হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের এ সময় ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। অন্যান্য ওষুধেরও প্রয়োজন হতে পারে।
*হাঁচি, সর্দি বা ঠান্ডা লাগার সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন না করাই ভালো। জ্বর হলে প্যারাসিটামল সেবন করুন। কণ্ঠস্বর ভেঙে গেলে স্বরকে বিশ্রাম দিন।
*জীবাণুর সংক্রমণ না হয়ে থাকলে দু-তিন দিনেই ঠান্ডা লাগার অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না।
*বর্ষায় ঘরের ভেতর স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। তাই জানালা খোলা রাখুন। তবে খেয়াল রাখুন, যেন বৃষ্টির পানিতে বিছানা বা কার্পেট ভিজে না যায়। আলমারি বা খাটের কোণে যেন পানি জমে না থাকে।
*কেঁপে কেঁপে জ্বর; বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট হলে; কাশির সঙ্গে কফ বা রক্ত বেরোলে
*দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা-কাশি বা কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়ার সমস্যার উপশম না হলে
*টনসিলে জীবাণুর সংক্রমণ হয়ে পুঁজ জমা হলে
অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ
বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.