.

জীবনের শিক্ষা হতে পারে জালাল উদ্দিন রুমির কিছু জ্ঞানগর্ভ উক্তি

এখানে ১০টি জনপ্রিয় উক্তি তুলে ধরা হলো। এগুলো ১৩ শতকের জনপ্রিয় পার্সি কবি জালাল আদ-দিন মুহামেদ রুমির উক্তি।

এগুলো হতে পারে আপনার জীবনের অনেক বড় শিক্ষা।

১. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।
শিক্ষাটা হলো- নিজের মূল্য বুঝতে হবে।
২. আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। এটা যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার উপলব্ধি প্রকাশ করে, তখন তা শক্তিশালী হতে থাকে।
শিক্ষাটা হলো- নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে থাকুন।
৩. গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
শিক্ষাটা হলো- পরিবর্তনটা আপনি আনুন।
৪. শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেন তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।
শিক্ষাটা হলো- ইতিবাচক থাকুন।
৫. প্রত্যেককে বানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কাজের জন্য এবং প্রত্যেক হৃদয়ে সেই কাজটি করার আকাঙ্ক্ষাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাটা হলো- নিজের আবেগ নিয়ে বেঁচে থাকুন।
৬. কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।
শিক্ষাটা হলো- মনোযোগী থাকুন।
৭. আমাদের চারদিকে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। সাধারণত একে বুঝতে একটি বাগানে হাঁটার প্রয়োজন অনুভব করি আমরা।
শিক্ষাটা হলো- নিজের পথ নিজেই সৃষ্টি করুন।
৮. যখন নিজের মূল্য নির্ধারণের দিনটি আসবে তখন আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলাটাই বিজ্ঞানের নির্যাস।
শিক্ষাটা হলো- আপনি যেমন তেমনই থাকুন।
৯. শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেন, বেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।
শিক্ষাটা হলো- ভালোবাসা ও জ্ঞানের জন্য নিজের যাত্রাটাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখুন।
১০. আমার প্রথম প্রেমের গল্প শোনামাত্র তোমাকে খুঁজতে থাকি, কিন্তু জানি না ওটা কতটা অন্ধ ছিল। প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।

Also  see nice enjoying happy halloween day time

পুষ্টিগুনে ভরপুর গাঁজর

ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি সবজি হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। গাজরের বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা দেওয়া হলো_
sasthobarta protidin
গাজরে যেসব উপাদান রয়েছে
ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি ও ফাইবার পটাশিয়াম।
যেসব রোগ সারাতে সহায়ক
ওবেসিটি, মাড়ির সমস্যা, ইনসম্নিয়া; কিডনি, লিভার ও গলব্লাডারের সমস্যা; আলঝিইমার, অ্যাজমা কোলাইটিস এবং চোখের সমস্যা।
সবচেয়ে বেশি উপকার
চোখ ও হার্ট ভালো রাখে :চোখের জন্য গাজর খুবই উপকারী। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে গাজর সাহায্য করে। গাজরের সলিউবল ফাইবার হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে : গাজর অ্যান্টি এজিং উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই এর ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ও ত্বক টানটান রাখে। আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। বিটা ক্যারোটিন এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সেল ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে। এতে ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে না।

আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে :গাজরের ক্যারোটিনয়েড এ রকম ত্বকের উপশমে সাহায্য করে। আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ত্বকের ন্যাচারাল ট্যান ভাবকে ধরে রাখে। ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ গাজর ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করে ও হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজরের জুসের উপকারিতা
ষ কাঁচা গাজরের তুলনায় সেদ্ধ গাজর পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর জুসও বেশ স্বাস্থ্যকর। কারণ গাজরের জুসে সহজপাচ্য ফাইবার থাকে।
ষ কাঁচা গাজর খেলে যেখানে গাজরের উপস্থিত বিটা ক্যারোটিনের মাত্র ১ শতাংশ আমাদের শরীরে কাজে লাগে, সেখানে গাজরের জুস খেলে আমাদের শরীরে গাজরের উপস্থিতি পুরো বিটা ক্যারোটিন অ্যাবজর্ব করতে পারে।
ষ গাজরের জুসে অ্যান্টি কারসেনোজনিক উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ষ শিশুদের জন্য গাজরের জুস টনিকের মতো কাজ করে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ষ গাজরে রয়েছে ফোটোনিউট্রিয়েট ফ্যালকর্নিকল, যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
ষ হাইপারটেনশনের সমস্যায় গাজরের জুস উপকারী।
ষ গাজরের জুসের সঙ্গে মধু ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক গ্গ্নাস খান। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমে যাবে।
গাজর স্টোরেজ টিপস
ষ ফ্রিজে গাজর র‌্যাপ করে রাখবেন। তা না হলে গাজরের স্বাদ চলে যাবে।
ষ গাঢ় কমলা রঙের গাজর বেছে নিন। রঙ গাঢ় হলে বুঝবেন প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। গাজরের গা খসখস হলে না কেনাই ভালো। এগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
ষ গাজরের গোড়ার রঙ কালো হয়ে গেলে কিনবেন না। গাজরের গোড়া যেন সবুজ থাকে।

----------------------------------- শেয়ার করুন

রোগ দ্রুত সারিয়ে তুলবে এই খাবারগুলো

যেকোনো অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ তখনও কিছুটা দুর্বলতা, পানিশূন্যতা এবং ক্লান্তিবোধ থাকে বিশেষ করে যখন কোনো শারীরিক বা মানসিক কাজ করতে হয়। তাই দেহের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কিছু অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান দেহের জন্য প্রয়োজন হয়। এইসব তখনই প্রয়োজন হয় যখন কোনো ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশনের কারনে দেহে প্রতিরোধক ক্ষমতার বেশি কাজ করতে হয়। এছাড়া যখন কোনো রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহন করা হয় তখন একটু বেশিই দেহের যত্ন নেয়া প্রয়োজন হয়। কারণ শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা হলে তা দেহকে দুর্বল করে দেয়।

এখানে কিছু উত্তম খাবারের উল্লেখ করা হলো যা শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে-
আঙ্গুর
sasthobarta protidin
আঙ্গুর শরীরের শক্তি যথেষ্ট পরিমান বৃদ্ধি করতে এবং রক্তের পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি দেহের খনিজ পদার্থসহ প্রয়োজনীয় তরল সরবরাহ করে যা অসুস্থতা থেকে দ্রুত সেরে উঠতেও সাহায্য করে।
আমলকী

অসুস্থতার পর শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান খুবই প্রয়োজনীয়। এটি শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এবং অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। জ্যাম বা শুকনো আমলকী স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন।
পেঁপে

যদি কেউ এটা পছন্দ নাও করে তবু জোর করে হলেও খেতে হবে কারন দীর্ঘ অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করার জন্য পেঁপে হচ্ছে একটি উত্তম খাবার। ডেঙ্গু জ্বরের জন্যও এটি বেশ উপকারি। ডেঙ্গু জ্বরে কচি পেঁপে পাতার রস খেলে তা দ্রুত রক্তের প্লেটলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেঁপেতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি যা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কলা

কলা হচ্ছে উচ্চমাত্রার শক্তিদায়ক খাবার। এতে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি প্রচুর প্রাকৃতিক চিনি যেমন সুক্রোজ, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজে ভরপুর থাকে।
আম

ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত আম যে পরিমান শক্তি প্রদান করতে পারে অন্য কোন ফলই তা পারেনা। আম ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ। তাই অসুস্থতার পর দ্রুত আরোগ্য পেতে নিয়মিত আম বা আমের জুস খেতে পারেন।
আপেল

অসুস্থতার থেকে দ্রুত আরোগ্য পেতে আপেল বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। অন্যান্য ফলের চেয়ে আপেল থেকে প্রাপ্ত শক্তি দেহে বেশি সময় থাকে। আপেলে থাকা ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স থেকে প্রাপ্ত শক্তি শারীরিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
তরমুজ

তরমুজ থাকে ৯০% পানি এবং ভিটামিন সিতে ভরপুর। এটি পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
বাদাম এবং শুকনো ফল

কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, কিসমিস, খেজুর ইত্যাদি শারীরিক ভাবে সক্ষম এবং কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় এক মুঠ শুকনো ফল এবং বাদাম রাখলে তা অসুস্থতার থেকে আরোগ্য লাভ করার পর শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য একটি উত্তম উৎস হবে।

লেখিকা

শওকত আরা সাঈদা(লোপা)

জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ

এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ

খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)

মেলাক্কা সিটি, মালয়েশিয়া অসুস্থ হওয়ার মানেই হলো দেহে সঞ্চিত প্রায় সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ শরীরকে সুস্থ হওয়ার কাজে লেগে যাওয়া। তাই প্রতিরোধক ক্ষমতাকে বেশি কার্যকর ও আরো বেশি শক্তিশালী করতে ঔষধ ছাড়াও কিছু খাবারের প্রয়োজন।

চায়ের মাঝে দুধ মেশানো ভালো না খারাপ?

আপনি যদি চা পছন্দ করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আনন্দ পাওয়ার জন্য বা ভালো লাগার জন্যই খান, এর স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা চিন্তা করে নিশ্চয়ই খাওয়া হয় না? বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষ চা পান করে। অনেকেরই চায়ের সাথে দুধ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আছে। এতে স্বাদ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, চায়ের সাথে কয়েক ফোঁটা দুধ মিশ্রিত করলে চায়ের গুণাগুণ নষ্ট হয়। ভাবছেন নিশ্চয়ই এটা কীভাবে সম্ভব? আসুন তাহলে জেনে নেই চায়ের সাথে দুধ মেশালে কী হয়?

চায়ে এমন অনেক সক্রিয় উপাদান আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে। চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে। চা ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে, রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, কোষের ক্ষতি কমায় এবং কারডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে। কিন্তু চায়ের মধ্যে দুধ মিশ্রিত করলে ভাস্কুলার সিস্টেম এর উপর উপকারী প্রভাব দূর হয়ে যায়। 

১৬ জন মহিলার উপর একটি ছোট গবেষণা করা হয়। যেখানে তাঁদের ব্ল্যাক টি, দুধ চা এবং গরম পানি পানের প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। বিজ্ঞানীরা মহিলাদের ডান হাতের ব্রাকিয়াল ধমনী চা পানের ২ ঘন্টা পরে পরীক্ষা করে দেখেন যে, ব্ল্যাক টি পান করার ফলে রক্ত নালীর প্রসারণ হয়। এই গবেষণার নেতৃত্ব দানকারী প্রধান লেখক ও আণবিক জীববিজ্ঞানী Mario Lorenz বলেন যে, “আমরা দেখতে পেলাম ... চায়ের সাথে দুধ মিশ্রিত করার ফলে এর জৈবিক প্রভাব পুরোপুরি প্রতিহত হয়”।
sasthobarta protidin
চায়ে উপস্থিত ফ্লেভনয়েডকে ক্যাটেচিন বলে যা হার্টের জন্য উপকারী। দুধের প্রোটিন ক্যাসেইন ক্যাটেচিনকে সংহত হতে বাঁধা দেয়। 

২০০২ সালে United States এর হিউম্যান নিউট্রিশন রিসার্চ সেন্টারের একটি গবেষণায় পাওয়া যায় যে, এক কাপ চায়ে ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা ৯০% কমিয়ে দেয়। যখন চায়ের ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায় তখন শরীরের ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতাও কমে যায়।  

২০০৬ সালের জার্মানির একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, চায়ের মধ্যে দুধ মেশালে ব্ল্যাক টি এর হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ব্ল্যাক টি ধমনীকে শিথিল ও প্রসস্থ করে এবং রক্তচাপ স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখে।

তারপর ও যদি চায়ের সাথে দুধ মিশিয়ে খেতে চান তাহলে সয়া দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন। সয়া দুধে লেসিথিন থাকে যা ক্যাসেইন থেকে ভিন্ন ধরণের এবং চায়ের  ক্যাটেচিনকে আবদ্ধ করে ফেলেনা।

জেনে নিন পিরিয়ড দেরিতে হবার কারণগুলো

নারীদের জীবনের একটি বড় অংশ হলো পিরিয়ড বা ঋতুচক্র। প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড বেশীরভাগ নারীর। অনেক সময়ে দেখা যায়, কোনো কারণে বা কারণ ছাড়াই পিরিয়ড বেশ কিছুদিন লেট হচ্ছে। এ সময়ে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। কেউ বা আবার একে স্বাভাবিক বলে উড়িয়ে দেন। পিরিয়ড লেট হবার কারণগুলো আসলে কী? এ ব্যাপারে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানান ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড়।
sasthobarta protidin
গর্ভধারণ না হলে বিভিন্ন কারণে লেট হতে পারে পিরিয়ড। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার নিবিড় প্রিয়.কমকে জানান, এর পেছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে হরমোন সংক্রান্ত পরিবর্তন। পিরিয়ডের পুরো প্রক্রিয়াটা নিয়ন্ত্রণ করে কয়েকটি হরমোন, ফলে হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন এলে পিরিয়ড লেট হতে পারে। পিরিয়ড পেছনে কারণ হিসেবে থাকতে পারে জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন, যেমন:

    -          পরিবেশগত পরিবর্তন
    -          ওজন হঠাৎ করে কমা বা বেড়ে যাওয়া
    -          ডায়েট
    -          ভারী ব্যায়াম বা শরীরচর্চা, যেমন দৌড়ানো বা নাচের চর্চা
    -          ভ্রমণ করে নতুন কোথাও যাওয়া বা নতুন কোনো জায়গায় বসবাস করতে আসা
    -          মানসিক কোনো বড় পরিবর্তন, কোনো ধরণের মনস্তাত্ত্বিক ধাক্কা

প্রিয়.কমকে ডাক্তার নিবিড় জানান, অনেক সময়ে দেখা যায় বার্থ কন্ট্রোল পিল অথবা অন্য কোনো ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণের কারণেও পিরিয়ড লেট হতে পারে।

এর মানে কি পিরিয়ড লেট হবার পেছনে কোনো অসুস্থতা নেই? ডাক্তার নিবিড় জানান, থাকতে পারে। পিরিয়ড লেট হবার পেছনে যেসব রোগের অবদান থাকতে পারে সেগুলো হলো-

-          ওভারিতে প্রভাব ফেলে এমন কোনো যৌনরোগ

-          ওভারিতে সিস্ট, ইউটেরাসে টিউমার থাকলে পিরিয়ড লেট হতে পারে বা খুব বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে

-          এছাড়াও শরীরের ওপরে বড় মাত্রায় চাপ ফেলে এমন অসুস্থতার কারণে পিরিয়ড লেট হতে পারে

-          কোনো রোগের কারণে হরমোন লেভেল অস্বাভাবিক হয়ে পড়লে তার জন্য পিরিয়ড লেট হতে পারে।

কোনো অসুস্থতার কারণে যদি আপনার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে থাকে এবং এ কারণে পিরিয়ড লেট হয়, তবে রোগ সারিয়ে তলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া খাওয়া দাওয়া করতে হবে নিয়ম মতো। ধূমপান, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এর ব্যাপারে থাকতে হবে সাবধান।

পিরিয়ড লেট হলে আপনার কী চিন্তিত হবার দরকার আছে? পরিবেশগত বা জীবনযাত্রার কোনো পরিবর্তনের কারণে পিরিয়ড লেট হলে সাধারণত চিন্তার কিছু থাকে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো। আপনার যদি তলপেটে ব্যাথা হয়ে থাকে, পরপর দুই মাস পিরিয়ড না হওয়া বা বার্থ কন্ট্রোল পিল খাবার পরেও পরপর দুই মাস পিরিয়ড না হয়, এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো। মনে রাখবেন, লজ্জা নয়, সচেতনতা জরুরী।

রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে যে খাবার গুলো

অনেক রকমের খাদ্য আছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী আবার এমন কিছু খাবার আছে যা মোটেই উপকারী নয়। আমাদের পরিচিত এই খাবার গুলোর চমৎকার উপাদান গুলো সম্পর্কে আমরা সঠিক ভাবে জানিনা। আজ আমরা সেইসব গুরুত্বপূর্ণ “হিলিং ফুড” সম্পর্কে জানবো। 
sasthobarta protidin
১। লেবু

আমাদের অতিপরিচিত লেবু যা সাধারণত সবার বাসাতেই থাকে। লেবুর স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। গলার ইনফেকশন দূর করা, বদহজম দূর করা, ওজন হ্রাসের ফলে সৃষ্ট কোষ্ঠ কাঠিন্য ভালো করা, শ্বাসযন্ত্রের রোগ নিরাময় করা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং লিভার পরিষ্কার করা ইত্যাদি কাজ গুলো করে থাকে লেবু। 

২। নাশপাতি 

নাশপাতি উচ্চ মাত্রার ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। যা রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমায়, হালকা জোলাপের ন্যায় কাজ করে কোষ্ঠ পরিষ্কার করে এবং গল ব্লাডার বা পিত্ত থলি পরিষ্কার করে।

৩। কলা

কলা স্ট্রেস বা উদ্বিগ্নতা দূর করে। New Orleans  এর Ochsner’s Elmwood Fitness Center এর স্পোর্টস ডায়েটেটিক্স বা খাদ্যনির্বাচনবিদ্যার সারটিফায়েড স্পেশিয়ালিস্ট, আরডি, Molly Kimball  বলেন, যখনই আপনি চাপ অনুভব করবেন একটি কলা খেয়ে নিন। কলাতে ১৪ গ্রাম চিনি থাকে এবং ১০৫ ক্যালরি সমৃদ্ধ। কলা ব্লাড সুগার লেভেল কিছুটা বাড়ালেও দিনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩০% ভিটামিন বি৬ সরবরাহ করে যা সেরোটোনিন এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ফলে শান্তিপূর্ণভাবে সংকট মোকাবিলা করা সহজ হয়।

৪। দই

দই কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস দূর কর। এক কাপ বা আধা কাপ লাইভ কালচার ইয়োগারট যা অন্ত্র বান্ধব ব্যাকটেরিয়ায় পরিপূর্ণ থাকে অন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাদ্যের চলনে সাহায্য করে। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গ্যাস উৎপন্নকারী মটরশুঁটি ও দুগ্ধ শর্করার পরিপাকে সাহায্য করে।  

৫। আদা

আদা শুধু রান্নার মশলা হিসাবেই না শতবর্ষ আগে থেকেই আদা আরথ্রাইটিস এর চিকিৎসায়, পাকস্থলীর অবসাদ দূর করতে এবং হজমে সাহায্য করতে পারে বলে ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমানে আদা বমি বমি ভাব কমাতে পারে বলে সর্বত্র স্বীকৃত হয়েছে।

৬। বীট

কার্বোহাইড্রেট থেকে এনার্জি পাওয়া যায়। বীট প্রাকৃতিক এনার্জি সাপ্লাই করে। বীটে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, আয়রন, এবং ভিটামিন এ ও সি থাকে।

এই রকম আরো কিছু হিলিং ফুড হল- কিশমিশ রক্তচাপ কমায়, তুলসি পেটের সমস্যা ভালো করে, মধু কফ দূর করে, বাঁধাকপি আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে, ডুমুর অর্শ রোগ নিরাময় করে, কমলার রস ক্লান্তি দূর করে, রসূন ইষ্ট ইনফেকশন নিরাময় করে, আলু মাথা ব্যাথা দূর করে।

স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর কোমল পানীয়ের অদ্ভুত কিছু ব্যবহার

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ মানুষই কোকাকোলা, পেপসির মতো সফট ড্রিংকগুলো পছন্দ করে এবং পান করে। সফট ড্রিংকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা বধিরের মতই আচরণ করি এবং কেন সফট ড্রিংক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। সফট ড্রিংক আসলে খাওয়ার চেয়ে অন্যান্য কাজে বিশেষ করে পরিষ্কারক হিসেবে অনেক বেশি কার্যকরী। আজ আসুন সফট ড্রিংকের ক্ষতির কারণ এবং অন্য কি কাজে ব্যবহার করা যায় সগুলো জেনে নেই।   
sasthobarta protidin
১। পেইন্ট এর দাগ দূর করে

ধাতুর তৈরি ফার্নিচারের পেইন্ট দূর করতে পারে সফট ড্রিংক। আপনি নিজেই এটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। একটি তোয়ালে সফট ড্রিংক দিয়ে ভিজিয়ে আপনার বাসার ফার্নিচারের উপর ঘষা দিন দেখবেন ফার্নিচারের আঁকার দাগ উঠে গেছে।

২। মরিচা দূর করে

ধাতুর তৈরি জিনিষ এর মরিচা দূর করতে পারে সফট ড্রিংক। সাধারণত কোন জিনিষে মরিচা পরলে তা দূর করা খুব কঠিন। ঠান্ডা সফট ড্রিংক এই কঠিন মরিচাকে খুব সহজেই দূর করতে পারে।   

৩। টয়লেট পরিষ্কার করতে পারে

টয়লেট এর কঠিন দাগ দূর করতে পারে সফট ড্রিংক। আপনার টয়লেটে সফট ড্রিংক ঢেলে ১৫-২০ মিনিট পরে ফ্ল্যাশ করুন। আপনি একটা ঝকঝকে দাগ মুক্ত টয়লেট পাবেন।

৪। পোড়া হাড়ি পাতিলের দাগ তুলতে পারে

কোন হাড়িতে খাবার পুড়ে গেলে সেই দাগ তুলাটা কঠিন হয়। এই পোড়া হাড়ি পাতিলের মধ্যে সফট ড্রিংক দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর মাজুনি দিয়ে ঘষলেই পোড়া দাগ সম্পূর্ণ দূর হয়ে যাবে।

৫। রক্তের দাগ দূর করতে পারে

কাপড়ে রক্তের দাগ লাগলে কাপড়টি একটি বোলে নিয়ে সফট ড্রিংক দিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন দেখবেন রক্তের দাগ দূর হয়ে গেছে।   

এতোসব কঠিন কাজ সমাধান করতে পারে যে সফট ড্রিংক তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা নিশ্চয়ই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছেনা কারোরই।

অনেক বেশি সফট ড্রিংক খেলে সাধারণত যে সমস্যা গুলো হতে পারে তা হল-

    ·         সফট ড্রিংকে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে বলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
    ·         সফট ড্রিংকের এসিড দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি করে।
    ·         হাড়ের ক্ষয় সৃষ্টি করে সফট ড্রিংক
    ·         এছাড়াও ডায়াবেটিস, গেঁটেবাত, ক্যান্সার, ডিমেনসিয়া ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় সফট ড্রিংক।

যদি আপনি ওজন কমাতে চান, ক্রনিক রোগ এড়াতে চান এবং শার্প ব্রেইন নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চান তাহলে সফট ড্রিংক পান করা বাদ দিন। এর বদলে পানি, দুধ বা জুস পান করার অভ্যাস তৈরি করুন।  

নির্জীব চুল ঝলমলে করে তুলুন সহজ ৯টি উপায়ে

জীবনে সব কিছু ত্রুটিহীন হয়না। কিন্তু চুল অবশ্যই ত্রুটিহীন হওয়া সম্ভব। সাধারণত চুলের ওভার স্টাইলিং বা প্রখর রাসায়নিক ব্যবহারের জন্যই চুল স্ট্যাটিক বা উস্কোখুস্কো হয়ে যায়। একটি গবেষণা প্রকাশ করে যে, চুল স্ট্যাটিক হয়ে গেলে দেখতে প্রাণহীন, ভোঁতা ও শুষ্ক হয়ে যায়। এই স্ট্যাটিক চুলের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে চূলকে স্বাস্থ্যবান রাখতে হবে এবং সঠিক ভাবে পুষ্টি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। যখন বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে তখন অর্থাৎ শীতের সময়ে চুলের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। ভালো শ্যাম্পু ও ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও আরো কিছু উপায়ে চুলের এই সমস্যার সমাধান করা যায়, চলুন জেনে নেই সেই উপায় গুলো কী।
ranna banna o beauty tips
১। ভেজা চুল আঁচড়ান

স্ট্যাটিক হেয়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ভেজা চুল আঁচড়ানো। চুল ভেজা আছে এমন অবস্থায় মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। চুল ভেজা অবস্থায় দুর্বল থাকে তাই মোটা দাঁতের চিরুনি প্রয়োজন।

২। হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন

চুলে ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন এবং চুলের আর্দ্রতা ঠিক রাখার জন্য হেয়ার সিরাম লাগান। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। তাহলে চুল তেলতেলে দেখাবে। ৩ থেকে ৪ ফোটাই যথেষ্ট।

৩। প্লাস্টিকের চিরুনি বাদ দিন
প্লাস্টিকের চিরুনি ঘর্ষণের সৃষ্টি করে যা স্ট্যাটিক হেয়ারের জন্য দায়ী। তাই প্লাস্টিকের পরিবর্তে মেটাল বা কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য অবশ্যই মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন তারপর অন্য চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চূলকে সাজান।

৪। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার কমিয়ে দিন

চুল শুকানোর জন্য খুব বেশি ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। ভেজা চুল পাতলা সুতির তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এতে চুলের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। যদি ড্রায়ার ব্যবহার করতেই হয় তাহলে চুলের কিছু অংশে ব্যবহার করুন। আয়নিক ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ আয়নিক ড্রায়ার চুলের ইলেকট্রিক চার্জ প্রতিরোধ করে। ইলেকট্রিক চার্জের কারনেই চুল স্ট্যাটিক বা নির্জীব হয়।  

৫। লোশন ব্যবহার করুন

তাৎক্ষণিক ভাবে চুল এর নির্জীবতা দূর করতে হ্যান্ড লোশন ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য লোশন হাতে নিয়ে ঘষুন, তারপর আপনার চুলের ভেতর হাত বুলিয়ে নিন। এতে চুলের নির্জীবতা দূর হবে।

৬। হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করুন

আপনার হেয়ার ব্রাশে স্প্রে লাগিয়ে চুল ব্রাশ করুন, এতে চুলের উস্কোখুস্কোভাব দূর হয়।

৭। পানি ব্যবহার করুন

সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকরী হচ্ছে পানিতে হাত ভিজিয়ে নিয়ে চুলের মধ্যে হাত বুলিয়ে নিন। এতে তাৎক্ষণিক ভাবে চুল ঠিক হয়ে যায়।

৮। ড্রায়ার শিট ব্যবহার করুন
আপনার চিরুনি ড্রায়ার শিট দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন এবং আপনার চুলেও ড্রায়ার শীট ব্যবহার করুন। এতে চুলের নির্জীবতা দূর হয়।

৯। রাবারের সোল যুক্ত জুতা পরিধান করা বাদ দিন

রাবারের সোল চুলের বৈদ্যুতিক আধান তৈরি করে যা চুলের নির্জীবতা সৃষ্টিকারী। অন্য দিকে চামড়ার জুতা জামা কাপড় ও চুলের বৈদ্যুতিক আধান কমায়। তাই রাবারের জুতা না পরে চামড়ার জুতা পড়ুন।

অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে হতে পারে এই ৬টি রোগ

ঘুম আশীর্বাদ স্বরূপ। এটি আমাদের শরীরে ঠিক রাখার পাশাপাশি আমদের মস্তিষ্কেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অথচ বিভিন্ন কারণে এই ঘুমকে অবহেলা করে থাকি। ২০১১ সালে Centers for Disease Control and Prevention এক জরিপে দেখা গিয়েছে যে ২৫% এর বেশি আমেরিকান ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না। এর মধ্যে ১০% ইনসোমেনিয়া রোগে আক্রান্ত। একজন সুস্থ মানুষের ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। এর চেয়ে কম ঘুমের কারণে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন অনেক মারাত্নক রোগে।

sasthobarta protidin১। স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা

২০১২ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, পারিবারিক ইতিহাস বা অন্য কোন কারণ ছাড়া শুধু ঘুমের অভাবের কারণে আপনার স্ট্রোক হতে পারে। ঘুমানোর  সময়ে  আমাদের শরীরের  নানা  অঙ্গ  নিজেদের  সারিয়ে  নেয়। দূষিত টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই অপর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

২। ডায়াবেটিকস

কম ঘুম শর্করা জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। ক্লান্তি দূর করতে অনেক সময়ে তরুণরা কার্বোনেটেড পানীয় বা খাবারের দিকে ঝুঁকে থাকে। যা রক্তেশর্করার  পরিমাণ  বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ২০১২ সালে এক রিপোর্টে বলা হয় কম ঘুম দেহের ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না।

৩। ওজন বৃদ্ধি

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে ঘুম আর ওজন বৃদ্ধি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। যারা ৬ ঘণ্টার চেয়ে কম ঘুমিয়ে থাকেন তাদের গড় BMI(Body Mass Index) বেশি থাকে। আবার কম ঘুম জাঙ্কফুড,  ফাস্টফুড খাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে। যা আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করে দেয়।

৪। ক্যান্সারের ঝুঁকি

অপর্যাপ্ত  ঘুম  ব্রেস্ট ক্যান্সারের  প্রবণতা  বাড়িয়ে  তোলে। ২০১০ সালে গবেষণায় দেখা গেছে ১২৪০ মানুষ কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৩৮ মানুষই ৬ ঘন্টার চেয়ে কম ঘুম  অভ্যস্ত ছিলেন।

৫। স্মৃতিশক্তি লোপ

কম ঘুমে অভ্যস্ত মানুষদের মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। তারা কোন কাজে মন দিতে পারে না। এমনকি দিন দিন তাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে।

৬। হাড়ের সমস্যা

৬ ঘণ্টার কম ঘুম হাড়ের জোর কমিয়ে দেয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পরে এবং ছোটখাটো আঘাতে ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। একইসঙ্গে হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা শুরু হতে পারে।



এই রোগগুলো ছাড়াও অপর্যাপ্ত ঘুম শরীর অবসাদ, ক্লান্তি করে তোলে। এমনকি আপনার মেজাজ খিটখিট করে তোলে।

কী করে বুঝবেন আপনার সন্তান অটিজমে আক্রান্ত কিনা?

প্রতিটি শিশুই আলাদা, এবং প্রত্যেকেই নিজস্ব সময়ে বেড়ে ওঠে। একটা সময়ে সে কথা শেখে, খেলা শেখে, বসে, হাঁটে। কিন্তু অটিজমের শিকার শিশুদের ক্ষেত্রে এমন স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার ঘটনা দেখা যায় না। সঠিক ট্রিটমেন্টের জন্য যতো দ্রুত সম্ভব শিশুর মাঝে অটিজমের লক্ষণগুলো শনাক্ত করা যায়, তত ভালো। জেনে নিন কম বয়সে শিশুর মাঝে অটিজমের লক্ষণ খুঁজে পাওয়ার কিছু উপায়।
sasthobarta protidin
অটিজম স্পেকট্রাম ডিজর্ডারের ট্রিটমেন্ট যতো কম বয়সে শুরু করা যায়, শিশু পরবর্তীতে ততটাই বেশি উপকার পায়। আর তার মানসিক দক্ষতার উন্নতি ঘটানোর জন্য এই ট্রিটমেন্ট খুবই জরুরী। কিন্তু সমস্যা হলো, সাধারণত শিশুর বয়স ১২-১৮ মাস হলে এসব লক্ষণ দেখা যায়। বিভিন্ন রকমের লক্ষণ দেখা যেতে পারে এবং পিতামাতার পক্ষে এসব লক্ষণ শনাক্ত করাটাও কঠিন হয়। বাচ্চার শারীরিক কিছু লক্ষণ থাকতে পারে, বাবা-মা অথবা অন্য শিশুদের সাথে তার আচরণেও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। Huffington Post এর একটি সংবাদ অনুযায়ী, অটিজম স্পিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি অটিজমের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নিয়ে একটি ছোট্ট ভিডিও প্রকাশ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পাঁচটি লক্ষণের ব্যাপারে পিতামাতার সতর্ক থাকা উচিৎ-
১) নিজের নাম শুনলে সাড়া না দেওয়া

একটি সুস্থ শিশু বাবা-মা অথবা তার যত্ন নেয় এমন কারও মুখে নিজের নাম শুনলে সাড়া দেবে। অটিজম আছে এমন শিশুদের বেশভাগই নিজের নাম শুনলে সাড়া দেয় না।
২) অন্য কারও মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে না

এক্ষেত্রে “জয়েন্ট অ্যাটেনশন” কথাটা ব্যবহার করা হয়। খুব সহজ একটি উদাহরণ দিলে জিনিসটি বোঝা যায়। সুস্থ একটি বাচ্চা চাঁদ দেখে মুগ্ধ হলে যে একবার চাঁদের দিকে তাকায়, আরেকবার মায়ের দিকে তাকায়, চাঁদের দিকে হাত ইশারা করে, মুখে শব্দ করে। কিন্তু অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মাঝে এই কাজটা করতে দেখা যায় না। তারা নিজেদের উৎসাহ অন্য কারও সাথে শেয়ার করে না বা করতে পারে না।
৩) অন্যদের আচরণ অনুকরণ করে না

অন্য বাচ্চারা যেভাবে নড়াচড়া করে, একজন আরেকজনের দেখাদেখি তালি দেয়, অন্যদের দেখে হাত নাড়ায় তেমনটা সাধারণত করে না অটিস্টিক বাচ্চারা।
৪) মিছিমিছি খেলার প্রবণতা দেখা যায় না

বাচ্চারা নিজেকে মা ধরে নিয়ে পুতুলকে বাচ্চা বানিয়ে ঘরবাড়ি খেলা করে। খেলনা টেলিফোন নিয়ে কথা বলার ভান করে। ছোট্ট ছোট্ট হাঁড়িপাতিল নিয়ে রান্নার ছলে খেলা করে। কিন্তু অটিজম থাকলে এমন খেলার প্রবণতা দেখা যায় না।
৫) অন্যের আবেগের প্রতি তারা স্পর্শকাতর হয় না

সাধারণত বাচ্চারা অন্যদের আবেগ দেখলে নিজেরাও আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। যেমন অন্যকে হাসতে দেখলে তারাও না বুঝেই হাসে। কিন্তু অটিজম আছে এমন শিশুরা এটা সাধারণত করে না।

পিতামাতা যা করতে পারেন

বাচ্চার বয়স ১২ মাস হবার সময় থেকেই পিতামাতার এই ব্যাপারগুলোর দিকে নজর রাখা উচিৎ। কোনো কিছুতে খটকা লাগলে শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিৎ। ১২ মাস অর্থাৎ এক বছর বয়সে এগুলো ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে যেমন বাবা, মা এসব কথা না বলা, হামা না দেওয়া, ধরে ধরে হাঁটার চেষ্টা না করা ইত্যাদি। এসব লক্ষণের প্রতি থাকুন সতর্ক।

রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন? নিয়মিত খান এই ৫টি খাবার

রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া খুব সাধারণ একটি রোগ। মহিলা এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দিলেও এটি সব বয়সী মানুষেরই হতে পারে। রক্তে লোহিত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন কম থাকাকে রক্তস্বল্পতা বলা হয়। হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্তকণীকার ভিতরে একটি প্রোটিন যা দেহে অক্সিজেন প্রবাহিত করে থাকে। বিভিন্ন কারণে রক্ত স্বল্পতা হতে পারে।
  • রক্ত স্বল্পতার কারণ সমূহ
  • আয়রনের অভাব
  • ভিটামিন বি১২ এর অভাব
  • ফলিক অ্যাসিডের অভাব
  • অতিরিক্ত রক্তপাত
  • পাকস্থলিতে ইনফেকশন
  • বয়স
  • ধূমপান
  • উচ্চ বিএমআই
  • বিভিন্ন অসুখ ইত্যাদি।

কিছু খাবার আছে যা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে রক্ত স্বল্পতা দূর করা সম্ভব হবে।

sasthobarta protidin

১। পালং শাক

পালং শাককে সুপার ফুড বলা হয়। এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি৯, ই, সি, বিটা কারটিন এবং আয়রন রয়েছে। যা রক্ত তৈরি করে থাকে। আধা কাপ পালং শাক সিদ্ধতে ৩.২ মিলিগ্রাম আয়রন আছে যা মহিলাদের দেহে ২০% আয়রন পূরণ করে থাকে। 

২। বিট

বিট আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি রক্ত স্বল্পতা দূর করে দেয়। এটি লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। এবং দেহে অক্সিজেন সরবারহ সচল রাখে।

৩। টমেটো

টমেটোতে ভিটামিন সি আছে যা অন্য খাবার থেকে আয়রন শুষে নেয়। এছাড়া টমেটোতে বিটা ক্যারটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন ই আছে। HNBT প্রতিদিন কমপক্ষে একটি টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৪। ডালিম

প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল হল ডালিম। এটি দেহে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে দুর্বলতা, ক্লান্ত ভাব দূর করে থাকে। নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়। এমনকি প্রতিদিনের নাস্তায় এক গ্লাস ডালিমের রস খেতে পারেন।

৫। পিনাট বাটার

আয়রনের আরেকটি উৎস হল পিনাট বাটার। দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটারে .৬ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। আপানি যদি পিনাট বাটারের স্বাদ পছন্দ না করেন চিনাবাদাম খেতে পারেন। এটিও শরীরে আয়রন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।



এছাড়া ডিম, সয়াবিন, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা দেহের রক্ত স্বল্পতা রোধ করে।

শীতে স্বাস্থ্যনাশ

ঠাণ্ডা মৌসুমে আলসেমি ভরা দিনগুলোতে সাধারণ কিছু অভ্যাস স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শীতের সকালে কম্বলের উষ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাহানার অন্ত থাকে না। এ কারণে প্রতিদিনের ব্যায়ামের রুটিনেও ব্যঘাত ঘটে। পাশাপাশি চা বা কফি খাওয়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এরকম প্রতিটি অভ্যাসই বেশ ক্ষতিকর।
sasthobarta protidin
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসের বিষয় তুলে ধরা হয়।

ব্যায়াম এড়িয়ে চলা: শীতের সকালে ঘুম বাদ দিয়ে ব্যায়াম করা মোটেও সুখকর কোনো বিষয় নয়। ফলে নিয়মিত ব্যায়াম বাদ পড়ে যায় এই মৌসুমে। ‍সকালে হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর শরীরচর্চা করলে মন ভালো রাখার হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই শীতের সকালেও কিছুটা কষ্ট করে ব্যায়াম করলে সারাদিন বেশ ফুরফুরে লাগবে।

সারাদিন ঘরে থাকা: শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরের ভেতর থাকতে পছন্দ করেন। এতে একঘেঁয়েমি এবং অবসাদ চেপে বসতে পারে। তাই শীতেও ঘর থেকে বের হওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ঘুমানো: শীতে সাধারণভাবেই ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, একইভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমানও ঠিক নয়।

খাবারে লাগাম না টানা: খাওয়ার জন্যও বেশ উপযুক্ত সময় শীতকাল। তৈলাক্ত বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে গরমে যেমন অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে সেই সম্ভাবনা এই মৌসুমে অনেকটাই কম। তাই নিয়মিত ডায়েটেও ব্যঘাত ঘটে। শরীরে ক্যালরির পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই এ সময় খাওয়ার পরিমাণেও লাগাম টানতে হবে।

দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল: শীতে উষ্ণ পানিতে গোসল করা বেশ আরামদায়ক। তবে দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি সব থেকে ভালো এবং এই সময় যেন দীর্ঘ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের পর হালকা ভেজা শরীরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

ত্বক আর্দ্র না রাখা: সাধারণত দিনে একবার গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। এ মৌসুমে ত্বক প্রতিনিয়ত আর্দ্রতা হারায়। ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা বাড়ে। তাই যখনই ত্বক শুষ্ক মনে হবে তখনই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

কপালের আশেপাশে চুল কমে যাওয়া রোধ করবেন যেভাবে

অনেক মানুষ আছেন যাদের কপাল অনেক বড় থাকে এবং তাঁরা তাঁদের এই বড় কপাল ঢাকার জন্য বিভিন্ন রকম হেয়ার কাট দিয়ে থাকেন। কপালে চুল কম থাকলে কপাল বড় ও চ্যাপ্টা দেখায়। সাধারণত হরমোনের পরিবর্তন, জেনেটিক কারণ বা পুষ্টির অভাবে চুল পড়ার সমস্যা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে অ্যালোপেসিয়া বলে। কপালের সামনের দিক থেকে চুল ওঠা শুরু হয়ে আস্তে আস্তে পেছনের দিকে যেতে শুরু করে এবং টাক পড়ে। যদি ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক ভাবেই চুল গজানো যায় তাহলে অনেক টাকা খরচ করে হেয়ার ট্রিটমেন্ট কেন করবেন? আসুন জেনে নেই ঘরোয়া উপায়ে কপালের চুল গজানোর কিছু উপায়।
sasthobarta protidin
১। অয়েল ম্যাসাজ

চুলের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য হচ্ছে ওয়েল ম্যাসাজ করা। নারিকেল তেল বা  আমন্ড তেল গরম করে ম্যাসাজ করলে চুল বৃদ্ধি পায় এবং এতে চুল শক্তিশালী ও পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়।

২। মেহেদি

হেনা প্যাক যাতে মেহেদির সাথে আমলা, শিকাকাই ও ব্রাহ্মী মেশানো থাকে তা দই এর সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন অথবা মেহেদি পাতার সাথে গোলাপ ফুল ও মেথি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।

৩। গ্রিনটি ও ডিমের মাস্ক

গ্রিনটি ও ডিমের মাস্ক ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে চুল কোমল ও উজ্জ্বল হয়। ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ গরম গ্রিনটি মেশান যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি হয়। মিশ্রণটি মাথায় দিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। গ্রিনটির অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে এবং ডিম চুলকে মসৃণ করবে।

৪। টাইট করে চুল বাঁধবেন না

চুল খুব শক্ত করে বাঁধবেন না বা পনিটেইল করে বাঁধবেন না। এতে চুলের ফলিকল নষ্ট হয়। Mayo Clinic.com এর মতে, চুলের উপর বেশি চাপ পড়লে চুল পড়া বৃদ্ধি পায় এবং নতুন চুলের বৃদ্ধি বাঁধা প্রাপ্ত হয়। তাই যতটা সম্ভব চুল খোলা রাখার চেষ্টা করুন।

৫। পুষ্টিকর খাবার খান

চুল পড়া বন্ধ করতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার এবং ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাদ্য হেয়ার ফলিকল কে পুষ্টি প্রদান করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

চুল পড়ার জন্য স্ট্রেস অনেকাংশে দায়ী। যদি আপনি স্ট্রেসের সমস্যায় ভোগেন তাহলে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য ঠিক থাকবে, স্ট্রেস কমবে এবং চুলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও চুল শক্তিশালী হবে।

এই ৭টি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন নতুন মায়েরা

একজন নতুন মাকে নানা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। বিশেষ করে বাচ্চা যখন মায়ের বুকে দুধ খায় তখন। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবার আছে যা মায়েদের এড়িয়ে চলতে হয়। অনেক সময় দেখা গেছে এই খাবারগুলো খাওয়ার পর বাচ্চারা মায়ের দুধ খেতে চায় না অথবা দুধ খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই মায়েদের সচেতন থাকতে হয় সর্বক্ষণ। বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না যাতে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
sasthobarta protidin
১। কফি

আপনি যখন কফি বা চা পান করেন তখন ক্যাফিনের কিছু অংশ দুধের সাথে মিশে যায়। ছোট শিশুদের বড়দের মত ক্যাফিন শোষন করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে ওদের পেটে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া,  অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। তাই বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২। লেবু জাতীয় ফল

লেবু জাতীয় সকল ফল এই সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এই জাতীয় ফলে অ্যাসিড থাকে যা শিশুর বুক জ্বালা পোড়া, পেট ব্যথার কারণ হতে পারে। এমনকি শিশুর শরীরে র‍্যাশ বা অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আপনি লেবুর পরিবর্তে অন্য ভিটামিন সি এর উৎস যেমন পেঁপে আম,খেতে পারেন।
৩। চকলেট

এই সময় আপনার প্রিয় চকলেট খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। চকলেট বিশেষ করে ডার্ক চকলেটে ক্যাফিন থাকে যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। চকলেট খাওয়ার পর দুধ খেলে আপনার বাচ্চা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা ত্বকে র‍্যাশ দেখা দেয় তবে চকলেট খাওয়া বন্ধ করে দিন।
৪। ব্রকোলি

ব্রকোলির পুষ্টিগুণ অনেক, কিন্তু বাচ্চা দুধ খাওয়ানোর সময় ব্রকোলি, ফুলকপি জাতীয় গ্যাস সৃষ্টিকারী সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারগুলো পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে থাকে যা বাচ্চার ক্ষতি করে।
৫। রসুন

আপনার যদি কাঁচা রসুন বা রসুনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে আজই এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। রসুনের গন্ধ বুকের দুধের মধ্যে আসে যা আপনার বাচ্চা পছন্দ নাও করতে পারে।
৬। কিছু মাছ

মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। কিন্তু কিছু মাছ যেমন টুনা মাছ, আঁশযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
৭। দুগ্ধজাত খাবার

দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কিন্তু শিশুরা এই জাতীয় খাবার সহজে হজম করতে পারে না। বিশেষ করে গরুর দুধের প্রোটিন। চিজ, পনির, টকদই বা অন্য কোন দুগ্ধ জাতীয় খাবার মা খেলে তা দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে চলে যায়। এতে শিশুর হজমের সমস্যা, পেটে গ্যাস বা পেট ব্যথা সহ অনেক সমস্যা দেখে দিতে পারে।

অফিসে বসেই স্বাস্থ্যের উন্নতি করুন এই ৬টি কাজে

স্বাস্থ্য ভালো থাকুক সেটা তো চাই আমরা সবাই। কিন্তু দিনের বেশীরভাগ সময়ই চলে যায় অফিসে বসে। তাহলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে কী করে? সপ্তাহে ৫/৬ দিন আট ঘন্টা করে বসে থাকলে বরং স্বাস্থ্যগত সমস্যা হবারই কথা। কিন্তু তাই বলে তো আর চাকরি বাদ দেওয়া যায় না। জেনে নিন অফিসে বসেই স্বাস্থ্যের যত্ন নেবার দারুণ কিছু কৌশল।
sasthobarta protidin
১) দাঁড়িয়ে থাকুন কিছুক্ষণ

ইংল্যান্ডের একটি নতুন গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়, প্রতিদিন অফিস চলাকালীন সময়ে কমপক্ষে দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে কাটানো উচিৎ। দীর্ঘ সময় জবুথবু হয়ে বসে কাটানোতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এই কারণে দিনে কমপক্ষে দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে অফিস করার চেষ্টা করা ভালো, জানা যায় Huffington Post থেকে। এই কাজটির জন্য আপনি সুযোগ পেলেই হাঁটাহাঁটি করুন। লাঞ্চ টাইমে বাইরে থেকেও হেঁটে আসতে পারেন।
২)  স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রাখুন

অনেক সময় দেখা যায় আপনি না চাইলেও আপনার কলিগদের কাছে অস্বাস্থ্যকর কোনো স্ন্যাক্স, জাঙ্ক ফুড আছে বলে সেগুলো আপনার পেটে চলে যাচ্ছে। এ কারণে যাদের কাছে অস্বাস্থ্যকর খাবার আছে তাদের থেকে সেদিন একটু দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ফল জাতীয় খাবার দিয়ে স্ন্যাকিং করুন। লাঞ্চে রাখুন সকাস্থ্যকর খাবার যা আপনার পেট ভরা রাখবে অনেকক্ষণ। আর পানি পান করুন যথেষ্ট পরিমাণে।
৩) ঘাড়ের ব্যায়াম

অনেকক্ষণ একই অবস্থানে ঘাড় ও কাঁধ শক্ত করে রাখলে দেখা দিতে পারে টেনশন নেক সিনড্রোম (TNS)। অনেকটা সময় কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন চেপে রেখে কথা বলা বা টাইপ করার কারণে এই সমস্যাটা হতে পারে। এর জন্য ব্যবহার করুন স্পিকার ফোন বা হেডফোন। একই অবস্থানে বেশিক্ষণ ঘাড় শক্ত করে রাখবেন না।
৪) চোখের যত্ন

চোখ থেকে এক হাত দুরত্বে থাকবে আপনার মনিটর। এ অবস্থানে যদি আপনার দেখতে সমস্যা হয় তাহলে ফন্ট বড় করে নিন।
৫) পরিষ্কার করুন ডেস্ক

আপনার কী-বোর্ড, মাউস এবং ফোনে প্রচুর জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। নিয়ম করে মাঝে মাঝে এগুলোকে ডিসইনফেক্ট করা জরুরী, নয়তো আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
৬) টানা কাজ করবেন না

জরুরী কোনো প্রজেক্টে কাজ করার সময় টানা দীর্ঘ অনেকটা সময় আমরা বসে কাটিয়ে দেই একই অবস্থানে। এটা যে আমাদের শরীরের জন্য খারাপ সেটাও আমরা লক্ষ্য করি না। কিন্তু এর বদলে আপনি ছোট ছোট ব্রেক নিয়ে কাজ করতে পারেন এবং প্রতি ২০ মিনিট পর পর একবার উঠে দাঁড়াতে পারেন। Business Insider এর মতে এই কাজ দুটি আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।

ঘুমানোর আগে বই পড়ার অসাধারণ উপকারিতা

ঘুমানোর আগে আপনি কী করেন? হয়তোবা টিভিতে রাত্রের নিউজ দেখে ঘুমান, নয়তো কিছুটা ফেসবুকিং করেন। কিন্তু বই পড়ার অভ্যাস আর এখন তেমন একটা দেখা যায় না। আপনি কী জানেন, ঘুমাতে যাবার আগে বই পড়ার রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা? তারমানে এই নয় যে পুরো একটা বই পড়ে ফেলতে হবে। অল্প কিছুক্ষণ বই পড়লেই অনেকটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। কী ধরণের বই পড়বেন সেটাও আপনার ইচ্ছে। দেখে নিন ঘুমের আগে বই পড়ার উপকারিতাগুলো-
 sasthobarta protidin
১) ঘুম হয় ভালো

২০০৯ সালের একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, ঘুমানোর আগে ছয় মিনিট বই পড়লে স্ট্রেস কমে যায় ৬৮% পর্যন্ত। এতে মাথা থেকে চিন্তভাবনা দূর হয়, শরীর রিল্যাক্স হয়ে ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।
২) মানসিক শক্তি বাড়ে

ঘুমের আগে বই পড়ে কিছুক্ষণ কাটালে আপনার মানসিক শক্তি বাড়ে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত বই পড়েন তাদের শব্দভান্ডার এবং সাধারণ জ্ঞান হয়ে থাকে অন্যদের চাইতে বেশি। এ কারণে ঘুমানর আগে একটি বইয়ের দিকে হাত বাড়াতে পারেন আপনিও।
৩) ছোটখাটো অসুস্থতা সারায়

দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতার মতো অসুস্থতাগুলোকে সারিয়ে তুলতে অবদান রাখতে পারে ঘুমের আগে কিছুটা বই পড়া। ব্রিটেনের ডাক্তারের হালকা থেকে মাঝারি বিষণ্ণতার রোগীদেরকে বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটা উপকারী হতে পারে আপনার জন্যও।
৪) আলঝেইমার্সের ঝুঁকি কমায়

যেসব হবিতে মস্তিষ্ক খাটানো হয়, যেমন পাজল, ক্রসওয়ার্ড, বই পড়া- এগুলো আলঝেইমার্সের ঝুঁকি কমাতে কাজে লাগে। শরীরের কোনো অঙ্গকে সচল রাখলে যেমন তাতে অসুখ কম হয়, তেমনি মস্তিষ্ককে সচল রাখলেও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি কম থাকে।
৫) স্ট্রেস কমায়

ঘুমানোর আগে বই পড়লে শরীরের কর্টিসল লেভেল কমে যায়। খুব বেশি কর্টিসল শরীরে থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। এ কারণে কর্টিসল কমাটা ভালো বৈ কী। আর কর্টিসল কম থাকলে ঘুমটাও হবে ভালো।

খুব সহজে ঘরে তৈরি করে ফেলুন ভিটামিন বি এনার্জি ড্রিঙ্ক!

প্রতিদিন খাবার সাথে আমরা নানা রকমের পানীয় পান করে থাকি। কিন্তু এই সকল পানীয়ের মধ্যে বেশিরভাগ সময় আমরা কোল্ড ড্রিঙ্ক অথবা এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করি। এই দুটি পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বাজারের এনার্জি ড্রিঙ্ক এ অনেক রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের যেন ক্ষতিকর। এর চাইতে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এনার্জি ড্রিঙ্ক।  ভিটামিন বি আমাদের শরীরে জন্য অনেক উপকারী। এটি মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে। ছয় প্রকার ভিটামিন বি আমাদের শরীরে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট ভেঙ্গে ফেলে।  ভিটামিন বি ড্রিংকে ১৩ গ্রাম চিনি, ১০০-১২৫ ক্যালরি আছে। যেখানে একটি কোকে ৩৯ গ্রাম চিনি, ১৪০ ক্যালরি থাকে। আপনি খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন ভিটামিন বি ড্রিঙ্ক। ভিটামিন বি ড্রিঙ্কে ৮ প্রকার ভিটামিন বি পাওয়া যায়। এখানে প্রধান প্রধান ভিটামিন বি এর কাজ দেওয়া হল।

sasthobarta protidin
ভিটামিন বি১ (থায়ামিন): ভিটামিন বি১ কার্বোহাইড্রেট থেকে শক্তি উৎপন্ন করে ডিএনএ এবং আরএনএ প্রভাবিত করে এবং নার্ভ ফাংশনকে সচল রাখে।

ভিটামিন বি২ (রিব্লোফ্লেবিন): এটি রক্তে লোহিত কণিকা তৈরি করে দেহে শক্তি প্রদান করে থাকে।

ভিটামিন বি৩(নিয়াসিন): এটি পরিপাক প্রক্রিয়া ঠিক রাখে।

ভিটামিন বি৬(প্রাইরোডক্সিন): এটি দেহে অ্যান্টি বায়োটিক উৎপাদন করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

ভিটামিন বি৫(পানথ্রোথিনিক অ্যাসিড): এটি শরীরে শক্তি যোগানোর সাথে সাথে মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে।

যা যা লাগবে
- ১ টুকরো লেবু
- ১টি পিচ ফল
- ৫/৬ টুকরো তরমুজ বা আনারস
- আপেল

- পানি
যেভাবে তৈরি করবেন

১। প্রথমে ফলগুলো ভাল করে ধুয়ে নিন। খোসা ছাড়িয়ে নিন।

২। এবার একটি গ্লাসে পানি ঢেলে ফলগুলো দিয়ে দিন।

৩। এখন এটি ফ্রিজে ১২-২৪ ঘন্টা রেখে দিন। এতে করে ফলের রসগুলো পানির সাথে মিশে যাবে।

৪। দিনে ১ থেকে ২ গ্লাস এই ড্রিঙ্ক পান করুন।

৫। ৫ দিন পর পর এই পানি পরিবর্তন করুন।

এটি আপনাকে এনার্জি দেওয়ার পাশাপাশি আপনার মেটাবলিজকে প্রভাবিত করে থাকে। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে এই পানীয়টি।

স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীর জন্য জরুরী ১২ টি কাজ

সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের বিশেষ মনোযোগ থাকলেও কোনো এক অদ্ভুত কারণে নিজের স্তনের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশীরভাগ নারীরই তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। অথচ শরীরের আর দশটি অঙ্গের মতো স্তনের যত্ন নেওয়াটাও জরুরী। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পর আমাদের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের কারণে স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটাও হয়ে পড়ে জরুরী। জেনে নিন স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় কিছু কাজ।
sasthobarta protidin
১)  ব্যবহার করুন সঠিক মাপের ব্রা

আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর ব্রা ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন। সময়ের সাথে ব্রা সাইজ চেঞ্জ হতে পারে এ কারণে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরী।
২) মাঝে মাঝে ব্রা ছাড়াই থাকুন

বাড়িতে ব্রা ছাড়াই থাকার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর অনেকটা শান্তি পাবে। মাঝে মাঝে স্পোর্টস ব্রা পরেও থাকতে পারেন।
৩) মাসাজ করুন

শুধু হাত-পা নয়, রক্ত চলাচল বজায় রাখতে মাঝে মাঝে স্তন মাসাজ করতে পারেন।
৪) নিজে থেকেই পরীক্ষা করুন

নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করলে ক্ষতি কোথায়? কোনো রোগ আপনার স্তনে বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানতে মাঝে মাঝে স্তন পরীক্ষা করুন নিজেই। স্তনে কোনো রকম পরিবর্তন দেখতে পেলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
৫) স্বাস্থ্যকর খাবার খান

মধ্যবয়সে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এ সময় থেকেই বেশি করে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিৎ। এতে সারা শরীরের পাশাপাশি আপনার স্তন থাকবে সুস্থ।
৬) ময়েশ্চারাইজিং

সারা শরীরের ত্বকের মতো স্তনের ত্বকেও পড়তে পারে বয়সের ছাপ, বলিরেখা এবং কুঞ্চন। এ কারণে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা জরুরী।
 ৭) ধূমপান নিষিদ্ধ

খুব কম সময়েই আমাদের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে ধূমপান। এর পাশাপাশি স্তন ঝুলে যাবার কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে ধূমপান। সুতরাং নিজের শরীর ভালো রাখতেই বাদ দিন এই বিশ্রী অভ্যাসটি। কমিয়ে ফেলুন ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রাও।

৮) ব্যায়াম করুন

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরকে ফিট রাখতে করুন ব্যায়াম। স্তনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য করতে পারেন এই ব্যায়ামগুলো। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে কমে যাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি।
৯) ম্যামোগ্রাম

একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর স্তন সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডাক্তারের সাথে কথা বলে বার্ষিক স্তন পরীক্ষা বা ম্যামোগ্রাম করান যাতে কোনো রোগ থাকলে তা শনাক্ত করা যায় দ্রুত। তবে পারিবারিক ইতিহাস না থাকলে ম্যামোগ্রাম না করিয়ে সাধারণ ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পারেন।
 ১০) থাকুন ইমপ্ল্যান্ট এবং কেমিক্যাল থেকে দূরে

ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এবং এনহান্সিং কেমিক্যালগুলো আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভীষণ ঝুকিপুর্ণ। এগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন।
১১) ব্রেস্ট ফিডিং করান

আপনি মা হয়ে থাকলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে ব্রেস্ট ফিডিং করান। তা আপনার স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।
১২) ঝুঁকির ব্যাপারে জেনে রাখুন

আপনার পারিবারিক ইতিহাসে কারও ব্রেস্ট ক্যান্সার আছে কিনা তা জানা থাকলে নিজের ঝুঁকির ব্যাপারেও আপনি সতর্ক থাকতে পারবেন।

চোখের বিশেষ যত্ন

সারাদিন আমাদের চোখ জোড়া প্রচুর কাজ করে, যা আমরা অনেকেই মাথায় রাখি না। ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া পুরো দিন জুরেই কাজ করতে থাকে আমাদের চোখ। আর চোখ এবং চোখের আশপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। আর ওই অংশে বয়সের ছাপও দ্রুত পড়ে তাই আগে থেকেই বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।


রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চোখের যত্ন নেওয়ার কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়।

দিন শুরু করুণ ফল খেয়ে: দিনের শুরুতে বেশ খানিকটা ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। বিশেষ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ ফল খেয়ে দিন শুরু করলে তা চোখ উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। ফল চোখ ও ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।

টি ব্যাগ ও অলিভ অয়েল: ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠাণ্ডা করে চোখের উপর চেপে ধরলে আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে। তবে চোখের আশপাশের কোমল ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলও কার্যকর। এক টুকরা তুলা তেলে ভিজিয়ে চোখের চারপাশের ত্বকে লাগাতে হবে, এরপর ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রেখে বিশ্রাম নিতে হবে।

চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখুন: দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, ফোন বা টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং এর পাশের ত্বকে বলিরেখা পরে। তাই ঘন ঘন চোখের পাতা বন্ধ করতে এবং খুলতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করতে হবে।
sasthobarta protidin
যে কোনো স্ক্রিনে কাজ করার সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পর বিরতি নিতে হবে, চোখের বিশ্রামের জন্য।

চোখের জন্য প্রাকৃতিক মাস্ক: রূপচর্চায় মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। ত্বকের পাশাপাশি চোখ ও চোখের ত্বকেরও যত্ন নেওয়া জরুরি। চোখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই সব থেকে উপযোগী। শসা, আলু ইত্যাদি সবজিতে প্রচুর পানি থাকে এবং ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই এই উপাদানগুলো চোখের ফোলাভাব দূর করার পাশাপাশি চোখ উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

সবসময় খুশি থাকুন: অবসাদ এবং মানসিক চাপের ছাপ পড়ে চোখে। এতে চোখ নিস্তেজ দেখায়। ক্লান্তি, রাগ, অপর্যাপ্ত ঘুম চোখে প্রভাব ফেলে। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত।

ভালো যৌনজীবনের জন্য প্রাকৃতিক খাবার

সঙ্গমের আকাঙ্ক্ষা বাড়াতে এবং সঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে খেতে পারেন ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক ফুড’ নামে পরিচিত কিছু খাবার।

এই খাবারগুলো যৌনসুখের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং বিভিন্ন গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে পুরুষ ও নারীদের যৌনসঙ্গমের ক্ষমতা বাড়ায়।

Sasthobarta protidin


স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানায়। 

চকলেট: রোমান্স আর আবেগের প্রতীক চকলেট। বলা হয়, চকলেট খাওয়ার পর নারীদের শরীরে যে পরিমাণ ‘এন্ডোফরমিন’ তৈরি হয় তা ঘনিষ্ঠ ‘ফোরপ্লে’য়ের তুলনায় চার গুণ। পাশাপাশি ‘ফোরপ্লে’তে চকলেটের রয়েছে কয়েকটি আকর্ষণীয় ব্যবহারও।

কমলা: একটি মিষ্টি ও আবেদনময়ী ফল এই কমলা। সঙ্গীকে কামোত্তেজক এক অভিজ্ঞতায় প্রতি আকৃষ্ট করতে চকলেটের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে এই ফল।

ডিম: শেষ কবে কোনো রকম তাড়াহুড়া ছাড়া দুশ্চিন্তামুক্তভাবে সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছিলেন মনে করতে পারেন? দৈনন্দিন রুটিনবাঁধা জীবন আর সংসারের বিভিন্ন ঝামেলার কারণে যৌনজীবন আকর্ষণীয় করা নিয়ে চিন্তা করার সময় হয়ে ওঠে না অনেকেরই। এখানেই ডিমে থাকা ‘ভিটামিন বি ফাইভ’ এবং ‘ভিটামিন বি-সিক্স’য়ের ভূমিকা। দুটোই মানসিক চাপ কমায়, বৃদ্ধি করে যৌন ক্ষমতাও। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত অন্যান্য উপকার তো আছেই।

তরমুজ: যৌনজীবনে ফুলঝুরি ফোটাতে চাইলে প্রতিদিন তরমুজ খাওয়া শুরু করতে পারেন। ‘প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা’ হিসেবে বিবেচিত তরমুজ হল ‘সিট্রুলিন’ নামক একধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস, যা রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণে সাহায্য করে। যৌনাঙ্গ দৃঢ় হওয়া বিষয়ক সমস্যার চিকিৎসায় তরমুজ বেছে নিতে পারেন।

জাফরান: তাৎক্ষনিক উপকার পেতে দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে যোগ করা যেতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণ জাফরান। প্রাকৃতিক ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক’ খাবারের উপকারীতা বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, এটা যৌন চাহিদা বাড়াতে সহায়ক। ‘ক্রোকাস স্যাটিভাস’ নামক ফুলের গর্ভমুণ্ড বা পরাগধানী শুকিয়ে জাফরান তৈরি করা হয়। ভারতীয়, ইতালিয়ান এবং স্প্যানিশ কুইজিনে জাফরান ব্যবহার করা হয়।

রসুন: সমস্যা মুখোমুখি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের যৌনস্বাস্থ্য ও ক্ষমতার উপর গুরুত্ব দেই না। এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত এবং প্রতিদিন রসুন খাওয়ার মাধ্যমে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌন প্রক্রিয়া, যৌনক্ষমতা এবং সঙ্গমের চাহিদা বৃদ্ধি করতে রসুনের উপকারিতা সুপরিচিত। এর প্রধান কারণ হল, রসুনে প্রচুর পরিমাণে থাকে ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদান, যা যৌনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে।

বন্ধ নাক থেকে মুক্তি

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ পরিস্থিতির তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে শ্লেষ্মা শ্বাসযন্ত্রে চলে গেলে পরে বড় ধরনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বন্ধ নাকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় দেওয়া হয়।
sasthobarta Protidin
শোয়ার সময় মাথা উঁচুতে রাখতে হবে

ঘুমানোর সময় বা শুয়ে থাকলে মাথা কিছুটা উঁচুতে রাখা উচিত। এক্ষেত্রে মাথার নিচে খানিকটা উঁচু বালিশ রেখে, ছাদের দিকে মুখ করে শোয়া যেতে পারে। এতে শ্লেষ্মা তৈরির পরিমাণ কম হবে।
বন্ধ নাকের সমস্যা এড়াতে পেঁয়াজ

এক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে তা নাকে শুকে নিলেই বন্ধ নাকে আরাম পাওয়া যাবে। পেঁয়াজের ঘ্রাণ বন্ধ নাক খুলতে সাহায্য করবে। এক টুকরা পেঁয়াজ নিয়ে টানা ৫ মিনিট ঘ্রাণ নিলেই এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

ঝাল খাবার

ঠাণ্ডা লাগলে এবং নাক বন্ধ থাকলে ঝাল খাবার বেশ ভালো লাগে। এর পাশাপাশি মরিচে রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা বন্ধ নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

গরম পাণীয় পান করা

চা বা কফির মতো গরম পানীয় পান করলে ঠাণ্ডায় উপকার পাওয়া যায়। পানীয়ের গরম ভাপ শ্লেষ্মা হালকা করতে সাহায্য করে। গরম পানীয়র মধ্যে বন্ধ নাক থেকে মুক্তি পেতে চা সব চাইতে বেশি উপকারী।

ভাপ নেওয়া

গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মেনথল মিশিয়ে, হাঁড়ি বা বাটির উপর মাথা নিয়ে মাথার উপর একটি তোয়ালে বা চাদর দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। এবার গরম পানি ও মেনথল মিশ্রিত ভাপ নাক দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে টেনে নিতে হবে। গরম ভাপ এবং মেনথল ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে বেশ উপকারী।.

এই সাধারণ টোটকাগুলো নাক বন্ধের সমস্যা অনেকটাই লাঘব করবে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরোপুরি সারিয়ে তুললেও অনেক সময় বেশি সমস্যা হলে পুরোপুরি আরগ্য হওয়া সম্ভব হয় না। তবে ঠাণ্ডা এবং নাক বন্ধের কারণে অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করবে এই উপায়গুলো।

কতটুকু ফল খাবেন প্রতিদিন?

সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যভ্যাসের সবচাইতে দরকারি উপাদান কোনগুলো? তা হলো ফল এবং সবজি। কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই দেখা যায় আমরা যথেষ্ট পরিমাণে ফল সবজি খাচ্ছি না। এর ফলে স্বাস্থ্য তো খারাপ হচ্ছেই, সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাট কমানো এসব উদ্দেশ্যও আমাদের পূরণ হচ্ছে না।

ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে  ভিটামিন এবং ফাইবার। খুব কম বা শূন্য ফ্যাট থাকে। আর বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধ করার জন্য দরকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোও পাওয়া যায় এই ফল থেকেই।

ঠিক কতটুকু ফল খাওয়া উচিৎ প্রতিদিন? ২০০০ ক্যালোরির খাদ্যভ্যাস মেনে চলা প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের উচিৎ প্রতিদিন দুই কাপ করে ফল খাওয়া। আপনি যদি ১৯-৩০ বছর বয়সী সাধারণ একজন নারী হয়ে থাকেন তবে এটাই আপনার জন্য দরকারি। এর পাশাপাশি খেতে হবে আড়াই কাপ সবজি। এটা শুনলে অনেক বেশি মনে হবে। আসলে কিন্তু মোটেই তেমন বেশি না! রাস্তাঘাটে একটু আনারস মাখা, লবণ ছিটানো আমড়া, ব্রেকফাস্টে একটা কলা- এইভাবেই কিন্তু আমাদের ফলের দৈনিক চাহিদাটা পূরণ করতে পারি। দুই কাপ ফল খাবার জন্য মেজারিং কাপ বের করে হুলুস্থুল করতে হবে না। এই ছবিগুলোতেই দেখে নিন এক সার্ভিং ফল মানে কতটুকু ফল। দিনে দুইবার এক সার্ভিং করে ফল খেলেই আপনার ফল খাওয়ার চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।

এই সার্ভিং এর পরিমাপটা কিন্তু প্রতিটা মানুষের জন্য সমান না, কেবল সাধারণ একটা গাইডলাইন। আপনি হয়তো এর চাইতেও বেশি ফল খাচ্ছেন প্রতিদিন। আপনার বয়স, লিঙ্গ এবং সারাদিনে কতো ভারি বা হালকা কাজ করছেন তার ওপর নির্ভর করতে পারে।

১) আপেল- একটা
২) কলা- বড় একটা
৪) আঙ্গুর- ১ কাপ বা ৩২টা আঙ্গুর
৫) আম- ১ কাপ বা একটা মাঝারি আম
৬) কমলা- বড় একটা
৭) নাশপাতি- মাঝারি একটা
৮) আনারস- ১ কাপ অথবা ছোট একটা আনারসের অর্ধেক
৯) স্ট্রবেরি- বড় ৮টা
১০) টমেটো- মাঝারি একটা
sasthobarta protidin

টিপস

    -   জুস মানে ফল নয়। এক কাপ ফ্রুট জুসকে এক কাপ ফল হিসেবে ধরা যাবে না। কারণ দরকারি ফাইবারটা এতে থাকে না। আপনাকে আস্ত একটা ফল খেতে হবে।
    -   শুকনো ফল খেলে অর্ধেক পরিমাণে খাবেন। অর্থাৎ এক কাপ টাটকা ফলের সমান হলো আধা কাপ শুকনো ফল।
    -   তবে জুস এবং ড্রাই ফ্রুটে অতিরিক্ত চিনি থাকতে পারে। তাই ক্যালোরির কথা মাথায় রেখেই এগুলো খেতে হবে। টাটকা ফল খাওয়াটাই সবচাইতে ভালো বুদ্ধি।

ঠাণ্ডাজ্বর প্রতিরোধে আপনার মেকআপ যেভাবে ব্যবহার করবেন

পুরো শীতকাল জুড়েই ঠাণ্ডা-জ্বর-সর্দিতে ভুগে থাকেন অনেকে। খুব খারাপ অবস্থা হয় তাদের যারা মেকআপ ছাড়া চলতে পারেন না। ঠাণ্ডাজ্বর নিয়ে মেকআপ করাটা যেমন কঠিন, সেই মেকআপ রাখাটাও কঠিন। আর মেকআপের যত্ন না নিলে এগুলোই আসলে আপনার অসুস্থতাকে আরও বাড়াতে পারে। জেনে নিন ঠাণ্ডাজ্বরের এই সিজনে সুস্থ থাকতে কী করতে পারেন আপনি।

১) মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার রাখুন

মেকআপ ব্রাশে খুব সহজে ময়লা ধরে। এগুলোকে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন প্রতিদিন ব্যবহারের পর। হ্যাঁ, প্রতিদিন ধোয়াটা কষ্ট মন হচ্ছে বটে কিন্তু এই কাজটা করলে আপনার অসুস্থ হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। এছাড়াও মেকআপ ব্রাশ বাথরুমে রাখবেন না। জীবাণু বেশি লাগবে তাতে। ব্রাশগুলো ধুয়ে শুকিয়ে মেকআপ ব্যাগে ভরে রাখুন।
২) বাথরুমের বেসিনের তাক এবং ড্রেসিং টেবিল রাখুন জীবাণুমুক্ত

বাতাসের ধুলোর সাথে অনেক জীবাণু ছড়ায়। এই ধুলো জমে থাকে টেবিল এবগ্ন তাকের ওপরে। আপনি মেকআপ করতে করতে যেই টেবিলের ওপর ব্রাশটা রাখবেন তখনই এই জীবাণু ছড়িয়ে যাবে। এ কারণে এসব জায়গা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখাটা জরুরী।
৩) মেকআপ ব্যাগের কথা ভুলবেন না

মেকআপ ব্যাগে ময়লা এবং পুরনো মেকআপের ধুলো জমে জমে জীবাণুর আখড়া হয়ে থাকে। এটাকে পরিষ্কার করতে ভুলে গেলে চলবে না মোটেই। কাপড়ের তৈরি মেকআপ ব্যাগ হলে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন রোদে। আর প্লাস্টিক, রেক্সিন বা চামড়ার ব্যাগ হলে এর ওপরে ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে ১০ সেকেন্ড রাখুন, এরপর মুছে ফেলুন পরিষ্কার করে।
অসুস্থ হয়ে গেলে কী করবেন?

ইতোমধ্যেই আপনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। চেহারায় অসুস্থতার ছাপ পড়েছে। কী করতে পারেন এমন অবস্থায়?

-   বেশি করে পানি পান করুন। এটা আপনাকে সারিয়ে তোলার পাশাপাশি আপনার চেহারা থেকেও অসুস্থতার ছাপ কমিয়ে দেবে।

-   এক্সফলিয়েট করতে ভুলবেন না। এটা আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে আপনাকে আরও প্রাণবন্ত দেখাতে সাহায্য করবে।

-   নাক মুছতে মুছতে লাল হয়ে যায় অনেকেরই। ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করলে জ্বালাপোড়া একটু কম হতে পারে। ডাক্তারের সাথে কথা বলে এই জ্বলুনি কমানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। আর লালচেভাব দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন এমন একটা কনসিলার যেটায় একটু সবজেটে ভাব আছে। অথবা একটা সবুজ কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে পারেন।

-   অসুস্থ চেহারা নিয়ে বাইরে কেউই বের হতে চায় না। ব্রঞ্জার এবং ব্লাশ ব্যবহার করে চেহারার নিস্তেজ ভাবটাকে দূর করতে পারেন। মাশকারা ব্যবহার করলে চোখটাকে উজ্জ্বল লাগবে, আর ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন ন্যাচারাল শেডের একটা গ্লস। তবে মেকআপ ন্যাচারাল রাখবেন অবশ্যই।

অসুস্থ হবার পর থেকে সেরে ওঠার আগ পর্যন্ত মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এতে থেকে যাওয়া জীবাণু আপনাকে আবার অসুস্থ করে ফেলতে পারে। সেরে ওঠার পরে মেকআপ ডিসইনফেক্ট করার আরও কিছু টিপস দেখে নিতে পারেন-

    সারারাত লিপস্টিক এবং মাসকারা ফ্রিজারে রেখে দিলে জীবাণু মরে যাবে
    পেন্সিল আইলাইনার ব্যবহার করার সময় নতুন করে শার্প করে নিন
    পাউডার ব্যবহারের সময়ে ওপরের লেয়ার ঝেড়ে ফেলুন
    অন্যদের সাথে নিজের মেকআপ শেয়ার করবেন না, তাতে জীবাণু ছড়ায়

বিয়ের মৌসুমে ৭টি উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন আপনার ওজন 1

শীতকালকে বিয়ের মৌসুম বলা হয়। আজ ভাইয়ের বিয়ে তো কাল বান্ধবীর বিয়ে! এত অনুষ্ঠানের মাঝে নিশ্চয় আপনার ডায়েট প্ল্যান ঠিকমত মানা হচ্ছে না? আর এত পোলাও, বিরিয়ানি খাওয়ার ফলে ওজনটাও বেড়ে গেছে অনেকখানি। এখন কি উপায়? আবার ব্যায়াম আবার ডায়েট করতে হবে! না, কিছু নিয়ম মেনে চললে উৎসবেও আপনি থাকুন একদম ফিট।
sasthobarta protidin
১। পার্টিতে যাওয়ার আগে খান
কোন দাওয়াত বা পার্টিতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খেয়ে নিন। সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ ক্যালরি আছে এমন স্যাঙ্কস যেমন কয়েক টুকরো ফল, লো ফ্যাট দই, একটি কলা অথবা কিছু পরিমাণ বাদাম। এটি আপনার ক্ষুধা কিছু হলে কমিয়ে দেবে। যার ফলে আপনি দাওয়াতে অনেক খাবার খেতে পারবেন না।
২। ব্যায়াম করুন
আপনার যদি নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকে,সেটি এই উৎসবের সময় ত্যাগ করবেন না। অল্প কিছুক্ষণ হলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে বাঁধা দেওয়ার সাথে সাথে আপনার মন খারাপ ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
৩। মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান
কেক, মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম পরিমাণে গ্রহণ করুন। এক চামচ কেক বা মিষ্টিতে আপনার শরীরে ৩০০ পর্যন্ত ক্যালরি বৃদ্ধি করে দিতে পারে।
৪। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ
আপনার যদি মাংসের বিকল্প হিসেবে সবজি বা অন্য কোন খাবার থাকে তবে মাংসের পরিবর্তে সবজি গ্রহণ করুন। মাছ বা সবজিতে মাংসের চেয়ে কম ক্যালরি থাকে, যা আপনার পেট ভরিয়ে দেবে এবং ওজনও ঠিক রাখবে।
৫। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন
সফট ড্রিঙ্কের পরিবর্তে পানি পান করুন। এক গ্লাস ড্রিঙ্ক আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট। খাবার খাওয়ার আগে সম্ভব হলে দুই গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনার খাবার খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ কমিয়ে দেবে। 
৬। আস্তে আস্তে খান
আস্তে আস্তে ভাল করে চিবিয়ে খাবার খান। খাবার গ্রহণের ২০ মিনিট পর মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছে যায় যে আপনার পেট ভরে গেছে। তাই আপনি যদি আস্তে আস্তে অল্প পরিমাণ খাবার গ্রহণ করুন, সেটা আপনার পেট ভরিয়ে দিবে।
৭। হিসাব রাখুন
সপ্তাহিক কী পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করবেন বা কী পরিমাণ খাবেন তার একটি লিস্ট রাখুন। খাদ্য তালিকা থেকে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করবেন না। বরং কী পরিমাণে খাবেন, সেটি ঠিক করুন। প্রতিদিন কী পরিমাণ সবজি খাবেন সেটির পরিমাণ ঠিক করে নিন।
উৎসব অনুষ্ঠানে একটু হিসেব করে খাওয়া দেওয়া করলে এবং তার সাথে অল্প একটু ব্যায়াম আপনার ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

শিশুকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখুন ৭টি উপায়ে

মরণব্যাধি ক্যান্সার ছোট শিশুটিকেও ছাড় দেয় না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি বছর আনুমানিক ১২,৪০০ শিশু এবং টিনেজার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। পাঁচশ জন তরুণের মধ্যে একজন তরুণ ছোটবেলায় ক্যানসারের সাথে লড়াই করে বড় হয়েছে। শৈশবকালের ক্যান্সার সাধারণত বাবা মায়ের খাদ্যভ্যাসের সাথে যুক্ত থাকে। বাবা মায়ের ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে দায়ী করা হয় এর জন্য। Dr. B.C. Roy Awardee Dr. Anupam Sachdeva, Director, Pediatric Hematology Oncology and Bone Marrow Transplantation Institute For Child Health, Sir Ganga Ram Hospital কিছু উপায় বলেছেন যা দ্বারা শিশুদের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
sasthobarta protidin
১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস

আপনার বাচ্চাকে ফ্রেশ ফল, শাকসবজি বিশেষ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তলুন। এটি শরীরের ক্ষতিকর কেমিক্যাল দূর করে থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপ ফল ও সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া মুরগি, সামুদ্রিক মাছ এবং সয়া খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। জাঙ্ক ফুড এবং কোলাজাতীয় পানীয় কম খাওয়ান।

২। সানস্ক্রিন ব্যবহার

আপনার বাচ্চাটি যখন বাইরে খেলতে যাবে তখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস তৈরি করুন। এসপিএফ ১৫ বা তার বেশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ইউভিএ এবং ইউভিবি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। যা স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৩। শরীরচর্চা

লক্ষ্য রাখুন আপনার শিশুটি যেন শারীরিক শ্রমে অভ্যস্ত হয়। শারীরিক কার্যকলাপ হতে পারে সিঁড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস, সাঁতার কাটা, বাইরে খেলাধুলা করা, হাঁটার অভ্যাস করা ইত্যাদি।
৪। ওজন বৃদ্ধি

আধুনিক সময়ে বাচ্চাদের স্থূলতা বেড়ে চলছে। বাইরের খাবার, জাঙ্ক ফুড, বসে থাকা ইত্যাদি বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। একনাগাড়ে ২ ঘন্টার বেশি টিভি দেখা উচিত নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। সকালে নাস্তা অব্যশই খাওয়াবেন। নবজাতককে অব্যশই ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত।
৫। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ

ছোট বয়সেই আপনার বাচ্চাকে ধূমপান এবং মদ্যপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিন। এমনকি আপনার যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তা আজকেই ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন, আপনার শিশু আপনাকেই অনুসরণ করবে।
৬। সার্ভিকাল ক্যান্সার ভ্যাকসিন

সাধারণত ১১ থেকে ১২ বছরে শিশুদের এইচআইভি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভ্যাকসিনের দুটি অংশ সার্ভারিক্স আর গার্ডাসিল যা প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। গার্ডাসিল এবং সার্ভারিক্স মহিলাদের এইচআইভি প্রতিরোধ করে। কিন্তু গার্ডাসিল বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন

হেপাটাইটিস বি ইনফেকশন লিভার ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ। এর ভ্যাকসিন আপনার শিশুটিকে দিতে ভুলবেন না।
মূলত স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এবং সচেতনতাই পারে আপনার শিশুকে মরণঘ্যাতি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে। 

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে অ্যালোভেরার চমৎকার কিছু ব্যবহার

লিলি পরিবারের অন্তর্গত অ্যালোভেরা পশ্চিম আফ্রিকা থেকে উদ্ভুত হয়। ক্যাকটাসের মত দেখতে মাংসল পাতার অ্যালোভেরা একটি জনপ্রিয় উদ্ভিদ। এর বাংলা নাম ঘৃতকুমারী। অ্যালোভেরা পাতায় আঠালো ও থকথকে জেলীর ন্যায় পদার্থ থাকে যার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উপকারিতা অপরিসীম। আপনি হয়তো শুনেছেন অ্যালোভেরা জেল সান বার্ন এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অ্যালোভেরার আরো অনেক ব্যবহার আছে যা আপনি জানেন না। আজ সেগুলোই জেনে নিই আসুন।
sasthobarta protidin
১। মেকাপ রিমুভার
বেশীরভাগ আই মেকাপ রিমুভার কঠোর রাসায়নিক এবং প্যারাফিনের সমন্বয়ে গঠিত। যা ত্বককে শুষ্ক করে দেয় এবং স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। যাদের সংবেদনশীল ত্বক ও যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা এই ধরণের প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা ভালো। কটন বলে বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে চোখের মেকআপ তুলে ফেলুন এবং এতে কোন যন্ত্রণা হবেনা।  
২। শেভিং ক্রিম
অ্যালোভেরার জেল শেভিং ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরার জেল  অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও ময়েশ্চারাইজিং উপাদান সমৃদ্ধ এবং শেভের জন্য ভালো। ফেনা হওয়ার জন্য অ্যালোভেরার জেলের সাথে হাত ধোয়ার সাবান ও কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখলে ৬ মাস ভালো থাকবে এবং এতে কৃত্রিম ও রাসায়নিক কোন উপাদান নেই যা বেশির ভাগ শেভিং ক্রিম বা জেলে থাকে।
৩। হিলিং ফেস মাস্ক
অ্যালোভেরার জেল শুধুমাত্র ব্রণ বা মেছতার দাগই দূর করেনা ত্বককে আদ্রতা প্রদান করে তারুণ্য দীপ্ত রাখে। হিলিং ফেস মাস্ক তৈরি করা খুবই সহজ। ১-২টি অ্যালোভেরা পাতার অর্ধেক অংশের জেল বের করে নিন। এর সাথে কিছুটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন যদি আপনি ভালো ঘ্রাণ পেতে চান অথবা শুধু অ্যালোভেরা জেল ও ব্যবহার করতে পারেন। মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেলের হালকা ঘ্রাণ আছে এবং চমৎকার ঠান্ডা অনুভূতি প্রদান করে।
৪। কাটা ও ক্ষত ভালো করে
অ্যালোভেরা জেলে পলিসেকারাইড ফাইবার থাকে যা হজমে সহায়তা করে যদিও কিছু মানুষের জন্য এটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই ফাইবার ক্ষত বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং এর ঠান্ডা করার উপাদান কেটে যাওয়া অংশের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৫। ফেস ওয়াশ
১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিল চামচ আমন্ড দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস ওয়াশটি স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আদর্শ। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য অ্যালোভেরা জেল অনন্য। ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিলচামচ বিশুদ্ধ নারিকেল তেল মেশান। মিশ্রণটি হাতে ও মুখে লাগিয়ে মালিশ করতে থাকুন যতক্ষণ না গরম অনুভব করেন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৬। এক্সফলিয়েটর
ত্বকের পরিচর্যার জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত চমৎকার স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরা ত্বককে নরম করে, কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং টিস্যুকে শক্তিশালী করে। ১/২ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সাথে যথেষ্ট পরিমাণ ব্রাউন সুগার বা বেকিং সোডা মিশিয়ে দানাদার মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর মিশ্রণটি আপনার কনুই, গোড়ালি, বাহু ও মুখে লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৭। ফাটা দূর করে
শীতে সাধারনত ত্বক ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। অ্যালোভেরা জেলের সাথে অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে ফাটা ত্বকে লাগান। এতে শুধু ত্বকের আদ্রতাই ফিরে আসবেনা ইনফেকশন থেকেও ত্বককে রক্ষা করবে।
৮। শুষ্ক মাথার তালু
অ্যালোভেরার গ্লাইকোপ্রোটিন শুষ্ক ত্বক ও শুষ্ক তালুর নিরাময় করতে পারে। আয়ুর্বেদ প্রফেসর Dr.Rajini Patankar এর মতে, অ্যালোভেরার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শুষ্কতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই অ্যালোভেরার জেল মাথার তালুতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৯। সর্দি ও কাশি
শ্বাসনালীর ইনফেকশনের জন্য দায়ী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করতে পারে অ্যালোভেরা জেল। কারণ এতে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানও আছে। সম পরিমাণে মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সেবন করুন। গলা ব্যথা ও সাইনুসাইটিসকেও প্রশমিত করে অ্যালোভেরা জেল। 
৮। বদহজম
শীতের সময়ে পাকস্থলীর জটিলতা ও বদহজমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস অ্যালোভেরার জুস পান করলে হজম সহায়ক হয় ও শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়।
৯। আরথ্রাইটিস
শীতের সময়ে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য একদিন পরপর অ্যালোভেরার জুস পান করুন। অ্যালোভেরায় প্রদাহ রোধী উপাদান আছে যা শক্ত হয়ে যাওয়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে, খুশকি ও এক্সিমা দূর করতে ইত্যাদি নানা কাজের জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী ভুমিকা রাখে। আপনার বাসাতেই অ্যালোভেরার গাছ লাগাতে পারেন।

পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে যে খাবারগুলো

আপনার যদি কখনো পেট ফাঁপার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি জানেন এর লক্ষণ গুলো : দিনটা হয়তো শুরু করেছেন সমতল পেট নিয়ে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে আপনার পেট ফুলতে শুরু করলো এবং পেট শক্ত ও ভরা অনুভব করছেন। সারাদিন এই অবস্থা থাকার ফলে আপনার পেট অনেকটা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের মত দেখাবে। অন্ত্রে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয় বলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এই অস্বস্তিকর সমস্যাটির জন্য নানা কারণ দায়ী যেমন- বায়ু, অতিরিক্ত খাওয়া, কোষ্ঠবদ্ধতা, হরমোনের পরিবর্তন, খুদ্রান্তে ব্যাকটেরিয়ার অতিবৃদ্ধি, কিছু ঔষধের কারণে, খাদ্যের অসহনীয়তা, গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ইত্যাদি। এছাড়াও মারাত্মক কোন অসুখ যেমন- কোলিক ডিজিজ, ক্রন্স ডিজিজ এবং কোলন ক্যান্সারের জন্যও পেট ফাঁপার সমস্যা হয়ে থাকে।
sasthobarta protidin
অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করা যায়। আপনি একটি নোট বুকে এক সপ্তাহের খাদ্য তালিকা লিপিবদ্ধ করুন। আপনি কখন কি খাচ্ছেন এবং কোন খাবারে কেমন অনুভব করছেন সব লিখে রাখুন। এর ফলে খুব সহজেই কিছুদিনের মধ্যে আপনি আপনার শরীরের উপযোগী এবং সমস্যা সৃষ্টিকারী এই উভয় প্রকার খাদ্য গুলোই চিহ্নিত করতে পারবেন। সাধারণত যে খাবারগুলো পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে তা হল-
১। ভাজা পোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার 
বিভিন্ন প্রকার ফাস্ট ফুড যেমন- বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন, চিপস ইত্যাদি খাবার এবং সমুচা, সিঙ্গারার মত ডিপ ফ্রায়েড খাবার ব্লটিং এর সমস্যা তৈরি করে। কারণ এগুলোকে ভেঙ্গে হজম উপযোগী করতে পাকস্থলীর অনেক সময় লাগে। এই অতিরিক্ত সময়ের জন্য গ্যাস উৎপন্ন হয় যা ব্লটিং এর কারণ।
২। লবণাক্ত খাবার
ব্লটিং সমস্যায় সবচেয়ে দায়ী হচ্ছে লবণ। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে ফলে পেট ফেঁপে থাকে। প্রক্রিয়া জাত খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশী থাকে।
৩। মসলাযুক্ত খাবার
মসলা যুক্ত খাবার পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে যা যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। তাই ব্লটিং এর সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে খাবারে বিভিন্ন রকমের মসলা যেমন- গোলমরিচ, জায়ফল, লবঙ্গ, মরিচ গুঁড়া, কারি, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, সজিনা, টমেটো সস, বারবিকিউ এবং ভিনেগার ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করুন।
৪। কার্বোনেটেড ডিঙ্কস
সোডা থেকে শুরু করে ঠান্ডা মিনারেল ওয়াটার পর্যন্ত সকল ধরণের কার্বোনেটেড ডিঙ্কসই ব্লটিং এর সমস্যা সৃষ্টি করে। এই পানীয় গুলোতে বিদ্যমান কার্বন ডাই অক্সাইড পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি করে।
৫। দুগ্ধ জাতীয় খাবার
যদি আপনার শরীর ল্যাকটোজ হজমে অপারগ হয় তাহলে দুধের তৈরি খাবার খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি হয়। ল্যাক্টোজ পাকস্থলীতে পুরোপুরি হজম না হলে কোলনে যায় এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়া এগুলোকে ভাঙ্গার জন্য গ্যাস নির্গত করে। যদি আপনার লেক্টোজ অসহনীয়তার সমস্যাটি থেকে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ অন্য খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন।
এছাড়াও বন রুটি, বাঁধাকপি, চুইংগাম, আইসক্রিম, সাদা চাল, শতমূলী, ব্রোকলি, আপেল, ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার ইত্যাদি খাবার গুলো পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ল্যাক্টোজ অসহনীয়তার মতোই ফ্রুক্টোজের অসহনীয়তার সমস্যা থাকতে পারে কারো কারো। তাই ফ্রুক্টোজের পরিমাণ কম আছে এমন ফল খান। অনেক বেশি শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খেলেও বেলি ব্লটিং হতে পারে।

সুস্বাদু পেঁয়াজ পাতার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপনি কি চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল খাবার পছন্দ করেন? এই খাবার গুলো তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে পেঁয়াজ পাতা। ৫০০০ বছর পূর্বে চীনে প্রথম উৎপন্ন হয় পেঁয়াজ পাতা। আপনি কি জানেন প্রাচীন মিশরীয়রা পৃথিবীর প্রতীক হিসেবে পেঁয়াজের কন্দকে পূজা করত? পেঁয়াজ পাতা ও পেঁয়াজের কন্দ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এতে উচ্চ মাত্রার সালফার থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই নরম কচি পেঁয়াজে ক্যালরি কম থাকে। একে স্প্রিং অনিওন বা সবুজ পেঁয়াজ ও বলা হয়। পেঁয়াজ পাতা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ। পেঁয়াজের কন্দে ভিটামিন এ ও ভিটামিন কে থাকে। এছাড়াও কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার থাকে। কোয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভনয়েডের উৎস এই পেঁয়াজ পাতা। পেঁয়াজ পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জানা যাক এবার।
sasthobarta protidin
১। হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
পেঁয়াজ পাতার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলের কাজে বাঁধা প্রদান করে কোষ কলার এবং DNA এর ক্ষতি রোধ করতে পারে। পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজ পাতার সালফার করোনারি হার্ট ডিজিজ এর ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।
২। শ্বাসযন্ত্রের কাজে সহায়তা করে
অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শ্বাসযন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করা ও কফ বাহির করে দিতে সাহায্য করে পেঁয়াজ পাতা।
৩। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে
পেঁয়াজ পাতায় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন সি কোলাজেনের সমন্বয় সাধনে কাজ করে যা হাড়কে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
৪। স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ করে
লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ যা স্প্রিং অনিওন এর সবুজ অংশে থাকে।
৫। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যান্সার রোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে।
৬। পাকস্থলীর জটিলতা প্রতিরোধ করে
সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে। ডায়রিয়া এবং পাকস্থলীর জটিলতার ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার হচ্ছে স্প্রিং অনিওন। অধিকন্তু রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম সহায়ক।
৭। ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে
পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন  কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। এছাড়াও এঁরা রক্ত সংবহনের উন্নতি করে এবং শরীরে ভিটামিন বি১ এর শোষণের মাধ্যমে চাপ ও ক্লান্তি কমায়। শরীরের কলার প্রদাহ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি।                                           
এগুলোর পাশাপাশি পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টি ইনফ্ল‍্যামেটরি ও অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আরথ্রাইটিস ও অ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়, বিপাকে সহায়তা করে, চোখের অসুখের জন্য ভালো, ত্বকের কুঞ্চন প্রতিরোধ করে ও রক্তের সুগার লেভেল কমায় সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় নিয়মিত পেঁয়াজ পাতা খান।

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করুন ঘরোয়া ৪ উপায়ে

ধবধবে সাদা দাঁত দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনি এই দাঁতের যত্নও করতে হয়। দাঁত এবং মাড়ির যেসব সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে, তার মধ্যে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া অন্যতম। সাধারণত দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে অল্প রক্ত পড়ে থাকে। কিন্তু অনেক মারাত্নক পর্যায়ে চলে গেলে শক্ত খাবার খাওয়ার সময়ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সাথে সাথে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরা রোধ করা সম্ভব।
sasthobarta protidin
১। লবঙ্গের তেল

লবঙ্গের তেল মাড়ির ইনফ্লামেশন রোধ  করে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। একটুখানি লবঙ্গের তেল নিয়ে মাড়িতে ঘষুন। অথবা এক বা দুটি লবঙ্গ চিবাতে পারেন। এটি আপনার মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দিবে।
২। অ্যালোভেরা জেল

প্রতিরাতে মাড়িতে অ্যালোভেরা জেল মাসাজ করে লাগান। এইভাবে সারা রাত রেখে দিন। এটি মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।
৩। গ্রিন টি

মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করতে গ্রিণ টি বেশ কার্যকর। গ্রিন টি দিয়ে কিছুক্ষণ কুলকুচি করুন। এটি মাড়ির জীবাণু ধ্বংস করে এবং দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।
৪। লবণ পানি

কিছু গরম পানি নিন, এর সাথে অল্প কিছু লবণ মিশান। এবার এই লবণ পানি দিয়ে দিনে তিনবার কুলকুচি করুন। খুব সহজ এবং কার্যকরী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি এটি।
নিয়মিত কাঁচা সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ফল এবং শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং ক্যালোরি থাকে কম। এটা রক্ত চলাচল সচল রেখে মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ করে দেয়।

বিস্কুটে ছয়মাস থাকতে পারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া

সালমোনেলার মত ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া বিস্কুট ও স্যান্ডউইচ ক্র্যাকার্সে অন্তত ছয়মাস বেঁচে থাকতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে।

সম্প্রতি শুকনো খাবারের মাধ্যমে খাদ্যজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার হার অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ গবেষণা চালানো হয়।

নির্দিষ্ট কিছু খাবার নিয়ে গবেষকরা এ গবেষণা চালান। তারা দেখতে চান খাদ্যজনিত রোগের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া শুকনো খাবারে কতদিন পর্যন্ত জীবিত থাকে।
sasthobarta protidin
প্রধান গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যারি বিকেট বলেন, “দূষিত শুকনো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা আজকাল অনেক বেড়ে গেছে। খুবই শুষ্ক পরিবেশেও যে শুকনো খাবারের মধ্যে সালমোনেলা জন্মাতে পারে তা আমরা এতদিন কল্পনাও করতে পারিনি।”

গবেষকরা বলেন, বিস্কুট ও ক্র্যাকার স্যান্ডুইচের মত শুকনো খাবারে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া শুধু জন্মায়ই না বরং দীর্ঘদিন সেগুলো ওই খাবারের মধ্যে টিকে থাকে। মুদি দোকান বা ভেন্ডিং মেশিনে যে প্রজাতির সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া থাকে এ ব্যাকটেরিয়াগুলো সে ধরনের।

এ জীবাণুগুলো নিয়ে সেগুলো কুকিস ও স্যান্ডিইচে যোগ করে গবেষকরা দেখেন সেগুলো কতদিন বেঁচে থাকে। এতেই তারা দেখতে পান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবাণুগুলো ছয়মাস ধরে ওই সব খাবারের মধ্যে বেঁচে ছিল।

বিকেট বলেন, “আমরা এটা কল্পনাও করতে পারিনি।” ফুড প্রটেকশন জার্নাল এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে অজানা ৯ তথ্য

নবজাতক বাচ্চাদের মতো আদুরে আর সুন্দর জিনিস কিছু আছে নাকি? নবজাতক বাচ্চাদের ব্যাপারে কিন্তু বেশ অদ্ভুত এবং মজার কিছু তথ্য আছে যা শুনলে আপনি হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারবেন না! জেনে নিন এগুলো।
 ranna banna o beauty tps
 
তারা লবণের স্বাদ পায় না
নবজাতক শিশুদের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা প্রখর, অথচ তারা লবণের স্বাদ নিতে পারে না! মোটামুটি চার মাস বয়স হবার পর তারা লবণের স্বাদ পায়। তবে একজন নবজাতক মিষ্টি, তেতো এবং টক স্বাদ পায় ভালোভাবেই। প্রাপ্তবয়স্কদের চাইতে তাদের স্বাদ্গ্রন্থি বেশি থাকে বলে কিছু গবেষণায় দেখা যায়।
তারা কাঁদে, কিন্তু কোন অশ্রু বের হয় না
নবজাতক বাচ্চারা খুব কাঁদে বটে, কিন্তু তাদের চোখ দিয়ে পানি বের হয় না। তিন থেকে বারো সপ্তাহ বয়সের মাঝে তাদের অশ্রু গ্রন্থি কার্যকর হয়। তার আগে এরা অশ্রু ছাড়াই কাঁদে।
তাদের হাঁটুর মালাইচাকি থাকে না
নবজাতক সন্তানের এক্স-রে করালে দেখবেন হাঁটুর ওপরে গোলাকার অংশটি অর্থাৎ মালাইচাকি নেই! এর কারণ হলো এখানে শুধুই কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি থাকে এই সময়ে। এ থেকে আসল মালাইচাকি তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চাইতে তাদের হাড় বেশি থাকে
মোটামুটি ৩০০টা হাড় থাকে নবজাতক শিশুদের, যেখানে পারপ্তবয়স্ক মানুষের থাকে ২০৬টি। জন্মের পর কয়েক মাসে এসব হাড় একসাথে জোড়া লেগে আসল হাড় তৈরি হয়। বিশেষ করে খুলি বেশ কয়েক ভাগ থাকে, ২ বছর বয়সের মাঝে জোড়া লেগে যায়।
তাদের মেন্সট্রুয়েশন নয়
গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চারা মায়ের শরীরের উচ্চ মাত্রায় ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবের আওতায় থাকে। জন্মের পর অর্থাৎ নাড়ি ছেঁড়ার পরে তাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ দ্রুত কমে আসে। এই কারণে মেয়ে নবজাতকের মাঝে দেখা যেতে পারে “সিউডোমেন্সট্রুয়েশন”। এর কারণে মাঝে মাঝে দুই-এক ফোঁটা রক্ত সেই শিশুর ডায়াপারে দেখা যেতে পারে। জন্মের প্রথম এক সপ্তাহের মাঝে মোটামুটি ২৫ শতাংশ শিশুর মাঝে দেখা যায়।
ল্যাকটেশন
ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে আরও একটি ঘটনা দেখা যায়, যা হলো গ্যালাক্টোরিয়া। এতে ছেলে ও মেয়ে উভয় নবজাতকের বুকে খুব অল্প পরিমাণে দুধ উৎপাদন হয়। এটা ৫ শতাংশ নবজাতকের মাঝে দেখা যায়। দুই মাস পর্যন্ত এই ঘটনা দেখা যেতে পারে।
তারা নিজেদের মুত্র পান করে
গর্ভধারণের কয়েক মাস পর থেকেই বাচ্চারা গর্ভের ভেতরে মুত্রত্যাগ করতে থাকে। এটা কোথায় যায়? এটা বাচ্চারাই পান করে ফেলে! প্রেগনেন্সির তৃতীয় ট্রাইমেস্টারের পর ভ্রূণ দিনে প্রায় এক লিটার অ্যামনিওটিক ফ্লুইড পান করে থাকে। এই কাজটাতে তাদের খাবার গেলা ও হজমের প্রক্রিয়াটা উন্নত হয়।
মায়ের খাবারের ফ্লেভার পায় তারা
বাচ্চারা ভ্রুনে থাকা অবস্থাতেই মা যা খায়, তার ফ্লেভার পেয়ে থাকে। গর্ভধারণের চার থেকে পাঁচ মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, মা যদি খুব বেশি রসুন খায় তাহলে সেটার ফ্লেভার বাচ্চা পাবে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড থেকে। এ কারণে বড় হয়েও রসুনের ফ্লেভারের খাবার খাওয়ার প্রতি তার টান থাকতে পারে।
তাদের প্রচুর চুল থাকে
জন্মের সময়ে বাচ্চাদের মাথায় চুল থাকতে পারে নাও থাকতে পারে, সেটার কথা বলা হচ্ছে না। গর্ভে থাকা অবস্থায় বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের শরীর ল্যানগুও নামের এক ধরণের পশমে ভরে থাকে। জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই পশম পরে যেতে পারে। অনেক বাচ্চার অবশ্য এই পশম গর্ভে থকা অবস্থাতেই পরে যায় এবং তারা এটাকে খেয়ে ফেলে! বাচ্চা মাথায় যে চুল নিয়ে জন্মগ্রহন করে সেটাও পড়ে যায় কয়েক সপ্তাহে।

টুথপেস্টের উপকারী ফ্লোরাইড যখন বিষ

দাঁত মাজতে আমরা সবাইই টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। আর সেই টুথপেস্টের বেশিরভাগেই মজুদ থাকে ফ্লোরাইড। সত্যিকার অর্থে ফ্লোরাইড টুথপেস্টে ব্যবহার করা হয় দাঁতকে সুস্থ রাখার তাগিদেই। এটি মানুষের দাঁতের এনামেল ঠিকঠাক রেখে ক্যাভিটির সংক্রমণ না করেই দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। কিন্তু এই অত্যন্ত উপকারী জিনিসটির রয়েছে আরেকটি ভয়ংকর দিকও। আপনি কি জানেন যে আপনার কোনরকমের সাবধানতা ছাড়াই এই অত্যন্ত উপকারী ফ্লোরাইডও অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহারের কারণে পরিণত হতে পারে বিষে? 
 sasthobarta protidin
অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি অনুসারে, টুথপেস্টের ফ্লোরাইড কম পরিমাণে দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো হয়ে থাকলে এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের শরীরে বিষাক্ততার সৃষ্টি করতে পারে ( টুডেইস ডেন্টিস্ট্রি )। ১৯৯৭ সাল থেকে ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএর নির্দেশানুযায়ী আমেরিকার সব ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্টেই সতর্কতাবাণী লিখে দিতে বলা হয়েছে ( হাউ স্টাফ ওয়ার্কস )। শুধু তাই নয়, ২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত না বলে মনে করেন চিকিত্সকেরা। 
 
এমনিতে হয়তো মনে হতে পারে যে একটুখানি টুথপেস্ট খেলে কিছু হবেনা। কিন্তু বাস্তবে এই সামান্য ফ্লোরাইড পেটে যাওয়ার মাধ্যমে বেশ কিছু ঝামেলা হতে পারে আপনার কিংবা আপনার শিশুটির। ফ্লোরাইড দাঁতের ওপর ছোপ ফেলে দিতে পারে। দাঁতে ছোট ছোট বাদামী চিহ্ন পাকাপাকিভাবে তৈরি করে ফ্লোরাইড। বিশেষ করে যদি টুথপেস্টের সাথে সাথে পানি কিংবা মাউথওয়াশ থেকেও ফ্লোরাইড গ্রহণ করা হয় তাহলে এর পরিনাম হয়ে দাড়ায় আরো খারাপ। 
শুধু দাঁতের ছোপই নয়, প্রতিদিন একটু একটু করে গ্রহণ করা ফ্লোরাইড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে। তৈরি হয় বাচ্চাদের ভেতরে অরুচি, বমিভাব আর ডায়রিয়ার সমস্যা। এছাড়াও পরবর্তীতে বাচ্চাদের হাড়কেও দূর্বল করে গড়ে তুলতে পারে প্রতিদিনের এই একটু করে নেওয়া ফ্লোরাইড। 
 
কিন্তু অনেকটা সাবধানতার পরেও মাঝে মাঝে ভুল হয়েই যায়। হয়তো একটু বেশিই ফ্লোরাইড খেয়ে ফেললো আপনার সন্তান কোন একদিন। কি করবেন তখন? কি করবেন যখন আপনার সন্তান বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড গ্রহণ করে ফেলবে? এমনটাই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে তো? আপনার এই প্রশ্নের জবাবটা খুবই স্বস্তিকর। আর সেটা হচ্ছে এই যে, আপনি জেনে খুশি হবেন যে একটি পুঁতি-সাইজের টুথপেস্টের ভেতরে সাধারনত ০.২৪ মিলিগ্রাম ফ্লোরাইড থাকে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ডেন্টাল মেডিসিন অনুসারে, ৪৫ পাউন্ডের অধিকারী ৮ বছরের একটি বাচ্চার ক্ষেত্রে তখনই টুথপেস্ট ভয়ের কারণ হবে যখন এই ফ্রোরাইডের পরিমাণ ৬৫৫ হবে। আর তাই আপনার সন্তানকে অসুস্থ করে দিতে হলে ২ থেকে ৪ টি টুথপেস্টের টিউব শেষ করতে হবে। তবে তারপরেও খানিকটা বেশি ফ্লোরাইড আপনার সন্তানের সার্বক্ষণিক মাথাব্যথারও কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর তাই যদি কখনো আপনার সন্তান একটু বেশি টুথপেস্ট খেয়ে ফেলে আর অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে সরাসরি চিকিত্সকের কাছে তাকে নিয়ে যান। আর এক গ্লাস দুধ পান করতে দিন ( কিড এমারজেন্সিস )। ছোট-বড়, আমাদের অনেকেরই টুথপেস্ট খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষ করে নানারকম ফলের ফ্লেভার দেওয়া টুথপেস্ট বাজারে আসার পর থেকে বাচ্চাদের লুকিয়ে টুথপেস্ট খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অনেকটা বেশি। তবে বড়রাও এদিক দিয়ে কম যান না। সেটা কখনো খেতে মজা লাগে বলে, কখনো মুখের দুর্গন্ধ তাড়ানোর জন্যে বড়রাও খেয়ে থাকেন টুথপেস্ট কিংবা অনেকবার দাঁত মেজে থাকেন। কিন্তু এরপরের বার থেকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন আপনার টুথপেস্টে ফ্লোরাইড রয়েছে কিনা। আর থাকলে একটু সাবধান হয়েই ব্যবহার করুন সেটা।

প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চতা বাড়াতে মেনে চলুন এসব নিয়ম

বেশীরভাগ লম্বা মানুষরা আত্মবিশ্বাসী হয় এবং তাঁরা সম্মান ও প্রশংসা পেয়ে থাকে। গড়পড়তা উচ্চতা যাদের বা কম উচ্চতার মানুষরা প্রায়ই লম্বা হওয়ার আশা করেন। মানুষের উচ্চতা নির্ধারিত হয় জেনেটিক কারণে। কিন্তু এটাই একমাত্র নির্ধারক নয়। আমাদের শরীরের হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (HGH) উচ্চতা নির্ধারণ করে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড নিঃসৃত HGH  লম্বা অস্থি ও তরুণাস্থি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আরো কিছু কারণ উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেমন- গর্ভকালীন সময়ে ধূমপান করা, সন্তান জন্মের পর যত্নের অভাব, জন্মের সময় ওজন কম থাকা, শৈশবে স্বাস্থ্য খারাপ থাকা ইত্যাদি। প্রায় মানুষ এটাই  মনে করে যে সাবালক হলে দৈহিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু একজন মানুষ ১৮ বছর বয়সের পরেও কয়েক ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। এটা তখনই সম্ভব যখন আপনি আপনার জীবনধারায় স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস রপ্ত করবেন। সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জেনে নেই আসুন।
১। দুধ পান করুন
দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা অস্থির বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম উচ্চতা বৃদ্ধিতেও কাজ করে। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি দুধে ভিটামিন এ ও প্রোটিন ও থাকে যা উচ্চতা সহ শরীরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি বৃদ্ধি করার জন্য দিনে ২-৩ গ্লাস দুধ পান করুন। এর পাশাপাশি পনীর, দই, ক্রিম ইত্যাদি খাবার গুলোও উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
sasthobarta protidin
৩। ইয়োগা করুন
আপনার উচ্চতা প্রাকৃতিক ভাবে বাড়ানোর জন্য ইয়োগা করুন। কিছু যোগব্যায়াম আছে যা করলে গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পায়। যোগব্যায়াম চাপ কমাতে সাহায্য করে যা পিঠের মাংসপেশিতে টান সৃষ্টি করে এবং গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে “সূর্য প্রণাম” যোগব্যায়ামটি।
৪। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যখন ঘুমের রাজ্যে থাকেন তখনই HGH উৎপন্ন হয় যা  দেহকে লম্বা করতে সাহায্য করে। দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটা আপনাকে উচ্চতা নিয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করতে পারে।
৫। ব্যায়াম ও খেলাধুলা করুন
খেলাধুলা ও ব্যায়াম HGH এর নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। ভালো উচ্চতা অর্জনের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করুন।
এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, সাঁতার বা দড়ি লাফের মত সাধারণ এক্সারসাইজ গুলো করুন, সঠিক ভঙ্গীতে বসুন, ভিটামিন ডি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সোজা হয়ে দাঁড়ান এতে আপনাকে লম্বা দেখাবে।
.