.
আপনি চিকন থাকতে চান ?

আপনি চিকন থাকতে চান ?



আমরা ওজন কমাতে চাই, চিকন থাকতে চাইভালো কথাএজন্য খাদ্যের দিকে কেবল নজর, কিন্তু  কী পানীয় গ্রহণ করছি সেদিকে তেমন লক্ষ্য নেইবড় ভুল আমেরিকানরা প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করেন এর এক পঞ্চমাংস আসে পানীয় থেকেআমাদের দেশেও প্রচুর পানীয় বিশেষ করে কোমল পানীয় পান করেন লোকজন, বিশেষকরে তরুণরাসঠিক পানীয় উদ্দীপ্ত করে বিপাক, কমায় ক্ষুধা, কমায় মোট ক্যালোরিকিছু কিছু পানীয় তাই হিতকর আবার  কোনও কোনওটি ক্ষতিকরবিশেষ করে ওজন হ্রাসের জন্য


সোডা জাতীয় পানীয় মোটেই হিতকর নয় : প্রতিবার এক বোতল সোডা পান মানে শত শত শূন্য ক্যালোরি গ্রহণঅনেকে ডায়েট সোডার কথা বলেন তবে এতে লাভ হয় তেমন একটা হয় বলে মনে হয় না
সব চেয়ে হিতকর হলো পানি পান’ : কার্বনেটেড কোমল পানীয়ের বদলে কেবল পানি পানকরলে প্রতি দিনে শত শত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বাঁচা যায়হিত এখানেই শেষ হয় নাখাওয়ার আগে দুগ্লাস পানি পান করলে পাকস্থলী অনেক দ্রুত ভরাট বোধ করে, তাই খাওয়া হয় কমএছাড়া নতুন গবেষণায় দেখা যায়, প্রচুর পানি পান করলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে দেহ বিপাকের উপর
ফলের রস : ফলের রসে ক্যালোরি বেশ বেশি থাকে ঠিক তবে তা শূন্য ক্যালোরি নয় সোডার মতএতে আছে পুষ্টি উপকরণবাড়তি চিনির সঙ্গে ভিটামিনও এন্টি অক্সিডেন্টও লাভ করা হয়একটি বিকল্প ১০০% ফলের রসকেবল ফলের রস এর সঙ্গে বাড়তি মিষ্টি যোগ না করলে হয়আবার ফলের রসের সঙ্গে পানি মিলিয়ে পান করলেও কিছু ক্যালোরি কমে
সবজির রস বেশ ভালো : সবজির রস বেশ পুষ্টিকর, ফলের রসের অর্ধেক ক্যালোরিএক কাপ টমেটো জুসে আছে ৪১ ক্যালোরি, কমলার রসে সে পরিমাণে রয়েছে ১২২ ক্যালোরিফলের নরম শাস বা সবজির শাস সহ জুসে আঁশও পাওয়া যায় ভালোবাজারে ভেজিটেবল মকেটল বেরিয়েছে এগ্রোভিত্তিক, খামার যারা করেন এদের তৈরিখেতে মন্দ লাগলো নাক্ষুধাও কমে যায়
স্মুথি : এক কলা, স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরি মিশিয়ে স্মুথি তৈরি করলে মজাএ থেকে পাওয়া যায় রোগ প্রতিরোধী ভিটামিন ও খনিজ দ্রব্যের সমাহারঘরে তৈরি ভালো সবচেয়েননীতোলা দুধ ও তাজা বা হিমায়িত ফল রেস্তোরার স্মুথিতে থাকে আইসক্রিম, ননী, মধু ও অন্যান্য মিষ্টক দ্রব্য যাতে ক্যালোরি মান উঠে তুঙ্গে
লো-ফ্যাট দুধ : ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের হিত হয়, তবে এতে শরীরের ওজন কমেনাকম চর্বি দুধ, দধি ও পনির খেলে হয়
ক্ষতিকর হলো এনার্জি ড্রিংক : সোডার মতই ক্যালোরি বোমা হলো স্ট্রোটস্ ও এনার্জি ড্রিংকএদের মধ্যে পুষ্ট গোণ করা হলেও অনেক কম ক্যালোরি খাদ্যেও থাকে সে সব পুষ্টিযারা ওজন কমাতে চান এবং স্লিম থাকতে চান তারা এসব পানীয় না পান করে কেবল শুধু পানি পান করবেন
কালো কফি : ক্যাফিন চাই সামান্যসোডা বা এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে কফি ভালোব্ল্যাক কফি হলো ক্যালোরি মুক্ত এন্টি অক্সিডেন্টে ভরপুরমধ্যম পরিমাণে কফি পান (দিনে ৩-৪ কাপ) মন মেজাজ, মনোযোগ ভালো করে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, এটি ক্যান্সার রোধীও বটে
ফেনায়িত স্বাদু মনোহর কফি ভালো না : ব্লাক কফির নির্দোষ মগে যদি ভারি ক্রিম, সুবাসিত সিরাপ, হুইপড্ ক্রিম কাপ, যোগকরে তা চর্বি ও চিনির ভান্ডার হয়ে উঠেপ্রতিকাপে ৫৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত হতে পারে এত বেশিএক বেলার খাবারের সমান প্রায়
সবুজ চা বড় ভালো : সামান্য ক্যাফিনের সন্ধানে থাকলে গ্রীন টি হলো ভালো উত্সকেবল যে ক্যালোরি মুক্ত তাই নয়, কিছু গবেষণা বলে, সবুজ চা পানে ওজনও কমেকিভাবে তা ঘটে, জানি না, তবে ক্যাফিনও ক্যাটেবিন নামে অনুপুষ্টির এতে ভূমিকা আছেদিনে দুবার সবুজ চা পান ভালোককটেল, মদ্য, কুলার সব হলো ক্ষতিকর পানীয়হালকা বিয়ার ও ভালো না
অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে

অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে



অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবেএগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে অবশই আপনি ১০০+% উপকার পাবেন
, সকালে ও সন্ধ্যায় এক গ্লাস করে লেবুর রস প্রতিদিন খাবেন
, যে খাদ্যতে চর্বির ভাগ বেশি সে খাদ্য বরজন করুন
, আহারের মাত্রা যেন বেশি না হয়একটু কম হলেই ভাল
, কাঁচা নুন খাবেন নাখাওয়ার সাথে পানি না খাওয়াই ভাল, খাওয়ার পর মিনিট পাঁচেক বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি খাবেন
, সপ্তাহে একদিন অন্তত উপবাস করার চেষ্টা করুনউপবাস সম্ভব না হলে এক বেলা খাবেন
, নিয়মিত শারীরিক পরিস্রম করবেন
, প্রাতঃভ্রমণ নিয়মিত করবেন
, নিয়মিতরূপে শরীরে মালিশ করবেন
সকালে অঙ্কুরিত ছোলা, ফলের রস, আপেল, আনারস, আটার রুটি(না চালা), পাতিলেবু, ডালিম, প্রচুর শসা খাবেনসপ্তাহে তিন দিনের বেশি মাছ খাবেন নাদিনে একবারই ভাত ও একবারই রুটি খাবেন

হাসি-খুশির পেছনে শাকসবজি আর ফল এর অবদান সম্পর্কে জানুন



আপনার মেজাজ ভালো নেই? কেন মন মেজাজ ভালো থাকে না ভেবে দেখেছেন কখনো? বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খেয়ে দেখুনদিব্যি মেজাজ ফুরফুরে হাসিখুশি হয়ে উঠবে!
হ্যাঁ শাকসবজি খেলে মেজাজ ভালো থাকেশুধু তাই না, দৈনন্দিন কাজ-কর্মে বেশি শক্তি পাওয়া যায়, চিত্তে সুখ থাকেআর এ কথাটি উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ডের ওটাগো (Otago) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়
প্রতিদিন আমাদের মন মেজাজ ভালো থাকার সঙ্গে খাবার-দাবারের সম্পর্ক নিয়ে এ গবেষণা চালান মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ড. তামলিন কোনার ও বোন্নি হোয়াইট, ওটাগোর মানব পুষ্টি বিভাগের ড. ক্যারোলিন হোরওয়াথতাদের এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ জার্নাল অব হেলথ সাইকোলজিতে
এ গবেষণা চালানো হয় ২৮১ জন তরুণের ওপর যাদের গড় বয়স ছিল ২০ইন্টারনেটের মাধ্যমে টানা ২১ দিন গবেষণা চলেছেগবেষণায় যুক্ত হওয়ার আগে প্রতি অংশগ্রহণকারীকে বয়স, লিঙ্গ, ওজন, উচ্চতা এবং বংশসংক্রান্ত তথ্যসহ আরো নানা তথ্য বিস্তারিতভাবে দিতে হয়েছেতবে যাদের মধ্যে খাদ্যগ্রহণ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছিল তাদের এ দল থেকে আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী এ সব তরুণকে টানা ২১ দিন ধরে প্রতি সন্ধ্যায় নিজেদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে হতোতাদের মন মেজাজ কেমন তা জানানোর পাশাপাশি শুকনো ফলমূল বা ফলের রস বাদে কয়েকদফা ফলমূল খেয়েছে তা জানাতে হতোএকই সঙ্গে শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণও জানাতে হতো তাদেরতবে, ফলের মতো শাকসবজির রস কতটা খেয়েছে তা এ হিসাবের মধ্যে ধরা হতো না

ভাইরাস কি? প্রতিকার/ করনীয়/ প্রতিকার

ভাইরাস কি? প্রতিকার/ করনীয়/ প্রতিকার



ভাইরাস কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি বা ধারণা ছাড়াই নিজে নিজেই কপি হতে পারেমেটামর্ফিক ভাইরাসের মত তারা প্রকৃত ভাইরাসটি কপিগুলোকে পরিবর্তিত করতে পারে অথবা কপিগুলো নিজেরাই পরিবর্তিত হতে পারেএকটি ভাইরাস এক কম্পিউটার থেকে অপর কম্পিউটারে যেতে পারে কেবলমাত্র যখন আক্রান্ত কম্পিউটারকে স্বাভাবিক কম্পিউটারটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়যেমন: কোন ব্যবহারকারী ভাইরাসটিকে একটি নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠাতে পারে বা কোন বহনযোগ্য মাধ্যম যথা ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ইউএসবি ড্রাইভ বা ইণ্টারনেটের মাধ্যমে ছড়াতে পারেএছাড়াও ভাইরাসসমূহ কোন নেট ওয়ার্ক ফাইল সিস্টেমকে আক্রান্ত করতে পারে, যার ফলে অন্যান্য কম্পিউটার যা ঐ সিস্টেমটি ব্যবহার করে সেগুলো আক্রান্ত হতে পারেভাইরাসকে কখনো কম্পিউটার ওয়ার্ম ও ট্রোজান হর্সেস এর সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়ট্রোজান হর্স হল একটি ফাইল যা এক্সিকিউটেড হবার আগ পর্যন্ত ক্ষতিহীন থাকে বর্তমানে অনেক পার্সোনাল কম্পিউটার (পিসি) ইণ্টারনেট ও লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকে যা ক্ষতিকর কোড ছড়াতে সাহায্য করে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, ই-মেইল ও কম্পিউটার ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমন ঘটতে পারেকিছু ভাইরাসকে তৈরি করা হয় প্রোগ্রাম ধ্বংশ করা, ফাইল মুছে ফেলা বা হার্ড ডিস্ক পূণর্গঠনের মাধ্যমে কম্পিউটারকে ধ্বংশ করার মাধ্যমেঅনেক ভাইরাস কম্পিউটারের সরাসরি কোন ক্ষতি না করলেও নিজেদের অসংখ্য কপি তৈরি করে যা লেখা, ভিডিও বা অডি ও বার্তার মাধ্যমে তাদের উপস্থিতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়নিরীহ দর্শন এই ভাইরাসগুলোও ব্যবহারকারীর অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারেএগুলো স্বাভাবিক প্রোগ্রামগুলোর প্রয়োজনীয় মেমোরি দখল করেবেশ কিছু ভাইরাস বাগ তৈরি করে, যার ফলশ্রুতিতে সিস্টেম ক্র্যাশ বা তথ্য হারানোর সম্ভাবনা থাকে ভাইরাস সারানোর প্রক্রিয়া কোন কম্পিউটার একবার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার পর অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইনস্টল করা ছাড়া তা ব্যবহার করা বিপদজনকতবে ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারকে সারিয়ে তোলার জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছেএই পদ্ধতিগুলো ভাইরাসের প্রকার ও আক্রান্ত হবার মাত্রার উপর নির্ভর করে ভাইরাস মুছে ফেলা উইণ্ডোজ এক্স পিতে ক্ষতিগ্রস্ত সিস্টেমকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার পদ্ধতিটি সিস্টেম রিস্টোর নামে পরিচিত, যা রেজিস্ট্রি এবং গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম ফাইলসমূহকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে অনেক সময় এর প্রয়োগ ভাইরাস সিস্টেমটিকে হ্যাং করে দেয় এবং পরবর্তীতে হার্ড রিবুট এটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার আগের অবস্থায় নিয়ে যাবেঅবশ্য কিছু ভাইরাস রিস্টোর সিস্টেমসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টুল যথা টাস্ক ম্যানেজার এবং কমাণ্ড প্রম্পট বিকল করে দেয়এগুলো করে এমন একটি ভাইরাসের নাম সায়াডোরবিভিন্ন উদ্দেশ্যে এডমিনিস্ট্রেটরের উক্ত টুলগুলো অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্য অকেজো করে রাখার ক্ষমতা আছেভাইরাস রেজিস্ট্রিকে পরিবর্তন করে দেবার মাধ্যমে একই কাজ করে, ফলে যখন একজন প্রশাসক কম্পিউটারটি চালান তখন তিনিসহ অন্যান্য ব্যবহারকারী এই টুলগুলো ব্যবহার করা থেকে বঞ্চিত হনযখন একটি আক্রান্ত টুল ভাইরাসের মাধ্যমে অকেজো হয়ে যায় তখন তা "Task Manager has been disabled by your administrator." বার্তাটি দেয় অপারেটিং সিস্টেমের রিইন্সটলেশন যদি কোন কম্পিউটারে এমন কোন ভাইরাস থাকে যা এণ্টি ভাইরাস সফটওয়্যারের পক্ষে মুছে ফেলা সম্ভব না হয় তবে অপারেটিং সিস্টেমের পুনরায় ইন্সটলেশন জরুরি হতে পারেএটি সঠিকভাবে করার জন্য হার্ড ড্রাইভ সম্পুর্ণভাবে ডিলিট করতে হবে (পার্টিশন ডিলিট করে ফরম্যাট করতে হবে)

* সর্তকতা
কম্পিউটারকে ভাইরাসের আক্রমন হতে রক্ষা করার জন্য সর্তকতার কোন বিকল্প নেইআগে আমরা দেখি ভাইরাস ছড়ায় কেমন করেকোন ভাইরাজই নিজ খেকে সক্রিয় হতে পারে না, ভাইরাস প্রোগ্রাম সক্রিয় হবার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে এবং আমরা এই সকল ভাইরাসের ধোকায় পরে নিজেদের অজানতেই ভাইরাস প্রগ্রামকে সক্রিয় করে ফেলিভাইরাজ বা ওয়ার্ম প্রগ্রাম ফাইল শেয়ারিং অথবা পেন ড্রাইভের মাধ্যমে ছড়ায় যা আমরা হয়তো অনেকেই দেখেছিভাইরাস আক্রান্ত পিসিতে পেনড্রাইভ লাগালে ভাইরাসটি পেনড্রাইভে তার একটা কপি তৈরি করেআর একটা autorun.inf ফাইল তৈরি করে দেয়এই আক্রান্ত পেনড্রাইভটি অন্য পিসিতে লাগানোর পর এর সাথে জড়িত যেকোন “Event” ঘটলে (যেমন open বা explore করলে ) autorun.inf ফাইলটি সক্রিয় হয়ে ভাইরাসটিকে Execute করে দেয়যেমন: কম্পিউটারে পেন ড্রাইভ যুক্ত করলে Autoplay প্রম্পটে আসবে এবং এখান থেকে open বা explore যে অপশনটিই নির্বাচন করি না কেন autorun.inf ফাইলটি সক্রিয় হয়ে ভাইরাসটিকে Execute করে দিবেতার মানে কোনভাবে এই autorun.inf ফাইলকে তৈরি হতে দেয়া না হলে, ভাইরাস পেনড্রাইভে থাকলেও Execute করবে না এখন সমাধান হল আগে থেকে আপনি আপনার পেনড্রাইভে একটা autorun.inf নামে ফোল্ডার” (ফাইল নয়) তৈরি করে রাখুনতাহলেই তাকে রিপ্লেস করে আক্রান্ত পিসির ভাইরাসটি নিজস্ব autorun.inf ফাইল তৈরি করতে পারবে নাকারণ, বেশিরভাগ ভাইরাস নির্মাতারা এই বিদঘুটে সমভাবনাটা এড়িয়েই যান
* অথবা কম্পিউটারকে ভাইরাসের আক্রমন হতে রক্ষা করার জন্য নিচের কৌশলটিও ব্যবহার করা যেতে পারে
* পেন ড্রাইভ লাগালে Autoplay প্রম্পট আসবে , এই Autoplay প্রম্পটকে বন্ধ করতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে এই Autoplay প্রম্পটের কোন অপশন যেনো নির্বাচন করা না হয় করণ বেশির ভাগ ক্ষত্রেই ভাইরাজ প্রগ্রাম সক্রিয় হবার জন্য “Windows Explorer” ব্যবহার করেএই অপশনটি উইন্ডোজ এর ডিফল্ট অপশন, যা ব্যবহার করে আমারা উইন্ডোজের বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করে খাকিসেই সুযোগেই এই সকল ক্ষতিকর প্রোগ্রাম আমাদের কম্পউটারের ক্ষতি করার সুযোগ পায়আমরা নতুন পেন ড্রাইভ কম্পিউটারে লাগিয়ে পেন ড্রাইভ খোলার জন্য “Windows Explorer” ব্যবহার না করে অন্য কোন “Explorer” ব্যবহার করি তবে এই সকল ক্ষতিকর প্রোগ্রাম আমাদের কম্পউটারের ক্ষতি করার সুযোগ পাবে না অতিরিক্ত “Explorer” হিসাবে “Win Rar” বেশ ভালো কাজ করেমনে করুন আপনি আপনার কম্পিউটারে একটি পেন ড্রাইভ ব্যবহার করার জন্য লাগিয়েছেন এখন Autoplay প্রম্পট আসেছেআপনি সর্তকতার জন্য Autoplay প্রম্পটকে বন্ধ করে দিয়েছেন কিন্তু আপনার পেন ড্রাইভ খুলতে হবেসে ক্ষত্রে “Win Rar” ওপেন করে Address Bar থেকে Drive Letter (যেমনঃ D:\ বা I:\) টাইপ করে এন্টার দিন ব্যাস আপনার পেন ড্রাইভের ডাইরেক্টরি খুলে যাবে এখন এই ডাইরেক্টরি খেকে প্রয়োজনীয় ফাইলটি নির্বচন করে এন্টার দিলেই ফাইলটি ওপেন হয়ে যাবেযে পযন্তু আপনি না চাইবেন সে পযন্ত কোন ফাইল বা প্রোগ্রাম নিজ থেকে চালু হবে না
* সবসময় সিস্টেম ফাইল Show করুন ভাইরাসের এক্সিকিউটেবল (*.exe) ফাইলগুলোর Attibute হয় সাধারণত Hidden এবং System File যা সাধারণত Show করা থাকে নাতাই আপনি বুঝতেও পারেননা আপনার পেনড্রাইভে ভাইরাস আছে কিনা এধরনের ফাইল চিহ্নিত করতে Tools মেনু থেকে Folder Options এ গিয়ে View ট্যাব থেকে Show Hidden Files and Folders রেডিও বাটন সিলেক্ট করুনএবার ঠিক তার নিচের Hide Extensions for known File Types এবং Hide Protected Operating System Files লেখা দুটি চেকবক্স আনচেক করে Apply দিয়ে Ok করে বেরিয়ে আসুনএবারে পেনড্রাইভে সন্দেহজনক কোন Hidden এক্সিকিউটেবল (*.exe) ফাইল দেখলে ডিলিট করে দিন
* Drive Letter টাইপ করে পেনড্রাইভ খুলুন ভাইরাস আক্রান্ত বা সন্দেহজনক পেনড্রাইভ কখনোই ডাবলক্লিক করে অথবা রাইট বাটনে ক্লিক দিয়ে (Open বা Explore করে) খুলবেন নাAddress Bar থেকে Drive Letter (যেমনঃ D:\ বা I:\) টাইপ করে খুলবেনএতে ভাইরাস থাকলেও তা আপনার পিসিকে আক্রান্ত করার সুযোগ পাবে নাএকইভাবে হার্ডডিস্কের অন্যান্য পার্টিশনে ভাইরাস থাকলে তা ডিলিট করুন এবং পিসি রিস্টার্ট দিন
* স্টার্টআপ পরিষ্কার রাখুন আপনার পিসি Boot করার পর যেসব প্রোগ্রাম লোড করে তা থাকে স্টার্টআপেনিত্যপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো ছাড়া অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোর চেকবক্স আনচেক করে দিনএটি আপনি পাবেন উইন্ডোজের Run থেকে msconfig লিখে এন্টার দিলে যে ডায়ালগ বক্স আসবে তার Startup ট্যাব থেকে এবারে পিসি রিস্টার্ট দিন
* অপ্রয়োজনীয় Process দূর করুন অনেকসময় ভাইরাস ফাইল চিহ্নিত করার পরেও তা ডিলিট করতে গেলে এরর দেয় বা “Access is Denied” দেখায়এরকম হলে বুঝতে হবে ভাইরাস Process টি বর্তমানে Running অবস্থায় আছে যা আগে বন্ধ করতে হবেআপনি Ctrl+Alt+Delete চেপে Task Manager থেকে প্রসেসটি বন্ধ করতে পারেনকিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন প্রসেসটি থাকে Hidden যা Task Manager Show করে নাএক্ষেত্রে আপনি HijackThis নামের সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন যা বেশ ভাল একটি Spyware Remover
আপেল কাটার পর কাটা অংশের বর্ণ বিবর্ণ বা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার

আপেল কাটার পর কাটা অংশের বর্ণ বিবর্ণ বা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার



আপনার বাসায় মেহমান আসার কথা তাই আপনি মেহমানের জন্য বিভিন্ন খাবারের আয়োজন করছেণ তারমধ্যে কিছু আপেল কেটে প্লেটে সাজিয়ে রাখলেন কিন্তু যখন মেহমানকে দিতে যাবেন তখন দেখলেন আপেলের বর্ণ কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে আপেল কাটার পর কেন তা বিবর্ণ বা ফ্যাকাসে হয়ে যায় তার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে

ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ হওয়ার কারণ

আপেল কাটার পর আপেল থেকে Tyrosinase নামক এক ধরণের এনজাইম নি:সৃত হয় যা বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে পলিফেনল তৈরি করে ফলে আপেলের কাটা অংশ ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ হয়ে যায় এটা হচ্ছে উদ্ভিদকূলের একটি সেলফ ডিফেন্স সিস্টেম প্রায় সবধরনের উদ্ভিদের মধ্যেই এ ধরণের এনজাইম থাকে যা নি:সৃত করে পোকামাকড় বা কীট পতঙ্গের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করে এবং তা খাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে

প্রতিকার

আপেল থেকে নি:সৃত এনজাইম তখনই কাঝ করে যখন পিএইচ লেবেল ৫ - ৭ এর মধ্যে থাকে পিএইচ লেবেল ৩ এর নীচে থাকলে নি:সৃত এনজাইম ইনএকটিভ থাকে লেবুর রসের পিএইচ লেবেল হল ২ বা তার নীচে এবং তা এসিডিয় লেবুর রস এই পিএইচ লেভেলকে ৩ এর নীচে রাখতে সাহয্য করে ফলে নি:সৃত এনজাইম বায়ুর অক্সিজেন এর সাথে বিক্রিয়া করতে পারেনা ফলে আপেল দীর্ঘক্ষণ সতেজ থাকে এছাড়ার ভিটামিন সি (এসকরবিক এসিড) ও নি:সৃত এনাজাইমের আগে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ফলে যতক্ষন এসকরবিক এসিড থাকে ততক্ষণ পযর্ন্ত আপেলের বর্ণের কোণ পরিবর্তন হয় না

করণীয়

  • সাধারণত লাল আপেল খুব দ্রুত কাটার পর বিবর্ণ হয়ে যায় ও হালকার সোনালি বর্ণের আপেল মধ্যম সময়ের মধ্যে এবং হালকা ফ্যাকাসে সবুজ আপেল বেশি সময় পরে বিবর্ণ হয় তাই আপেল কেনার সময় আমরা একটু দেখে আপেল ক্রয় করতে পারি
  • আপেল কাটার সময় আপেল কে পানির নিচে রেখে কাটতে পারি যাতে বায়ুর অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসতে না পারে এবং পরিবেশন করার আগ পর্যন্ত পানিতে রেখে দিতে পারি
  • বাজার থেকে এসকরবিক এসিড কিনে অর্ধেক টেবিল চামচ পরিমান নিয়ে তা অর্ধেক পানিতে নিয়ে এই অনুপাতে পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে সে পানিতে আপেল কেটে ভিজিয়ে রাখা যায়
  • আপেল কাটার পর তা সামান্য লবন মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে নেয়া যেতে পারে
  • আধা চামচ পরিমান লেবুর রস কাটা আপেলের উপর ছিটিয়ে দিয়ে পরে তা ফ্রিজে রেখে দেয়া যেতে পারে

এপেনডিসাইটিস কি, কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার



হঠা করেই আপনার বাসার কারো প্রচণ্ড পেটব্যথা শুরু হলআস্তে আস্তে ব্যথা বেড়ে প্রথমে নাভির চারপাশ থেকে পরে তলপেটের একটু ডান দিকে গিয়ে স্থির হলআপনি তাকে নিয়ে জলদি ডাক্তারের কাছে গেলেন, ডাক্তার বললেন- আপনার পেসেন্টের এপেন্ডিসাইটিস, আজকের মধ্যেই সার্জারি করতে হবে

কী এই এপেনডিসাইটিস (Appendicitis) ?

আমাদের বৃহদন্ত্র নলের মতো ফাঁপাবৃহদন্ত্রের তিনটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশ হচ্ছে সিকামএই সিকামের সাথে ছোট একটি আঙ্গুলের মত দেখতে প্রবৃদ্ধি হল এপেনডিক্সকোন কারণে যদি এর মধ্যে পাঁচিত খাদ্য, মল বা কৃমি ঢুকে যায়, তাহলে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়নানান জীবাণুর আক্রমণে এপেনডিক্সের ঐ অংশে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়একেই এপেনডিসাইটিস বলে

লক্ষণ/উপসর্গ:

 পেট ব্যথাঃ প্রথমে নাভির চারপাশ থেকে পরে তলপেটের একটু ডান দিকে গিয়ে স্থির হয়সময়ের সাথে ব্যথার পরিমাণ বাড়েv
রোগির তলপেটে হাত দিলেই ব্যথা অনুভূত হয়, শক্ত অনুভূত হয়
 বমিঃ বার বার বমি ভাব হয়, বমি হতে পারেv
 জ্বরঃ রোগির দেহে জ্বর আসতে পারেv
যদি এপেনডিক্স ফেটে যায় তাহলে হঠা ব্যথা কমে গিয়ে ভাল লাগতে থাকবে, কিন্তু তখন ফ্লুইড পেটের ভেতরে অন্যান্য ফাঁকা স্থানে(abdominal cavity) ছড়িয়ে পড়ে অবস্থা আগের থেকে খারাপ হয়ে যাবে

জটিলতা:

 গ্যাংগ্রিন বা পঁচন ধরাv
 অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়াv
 পেরিটোনাইটিসv
 শকv
 এপেনডিকুলার লাম্পv
 মৃত্যুv

চিকিসা:

২৪ ঘন্টার মধ্যে সার্জারি করে এপেনডিক্স অপসারণ বা এপেনডেকটমি


তবে যদি সার্জারির সুযোগ ওই মুহূর্তে না থাকে তাহলেঃ

1. মুখে কিছু না খাওয়া
2. রাইলস টিউব
3. সাকশন দেয়া
4. ব্যাথা নাশক ও সিডেশন দেয়া
5. এন্টিবায়োটিক দেয়া
6. বাওয়েল সচল রাখার ব্যবস্থা করা

টিকাঃ

যেহেতু সার্জারিতে এপেনডিক্স কেটে ফেলে দেয়া হয়, তাই পুনরায় এপেনডিসাইটিস হবার কোন সম্ভাবনা নেই

----ডিসক্লেইমারঃ

লেখার উদ্দেশ্য কোন প্রকার চিকিসা নয়, শুধুমাত্র জ্ঞানার্জনকোন ভাবেই এই লেখাকে প্রেসক্রিপসন বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনারেজিস্টার্ড চিকিসক ছাড়া যেকোন প্রেসক্রিপসন আইনত দণ্ডনীয়
.