.

তীব্র শীতে শিশুর যত্নে ৭ পরামর্শ

হঠাৎ তীব্র ঠান্ডায় সোনামণিরা সহজেই কাবু হতে পারে। এ সময় শিশুদের জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা।
: খুব ভোরে আর সন্ধ্যার পর দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন। নবজাতকের শরীরে কাঁথা দিয়ে মুখ, নাক ঢেকে দিন। তবে শ্বাস যেন বন্ধ না হয়ে যায়। ঠান্ডা থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো ও সাশ্রয়ী উপায় হলো নবজাতকের জামা খুলে মায়ের বুকের কাছে মায়ের কাপড়ের নিচে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া।
: উষ্ণতার জন্য রুম হিটার ব্যবহার করলে লক্ষ্য রাখবেন যেন ঘর বেশি শুষ্ক না হয়ে যায়।
: খুব বেশি শীতে ছোট শিশুদের নিয়ে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। খুব বেশি ঠান্ডায় শিশুকে গোসল না করিয়ে গরম পানিতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে সারা শরীর বিশেষ করে মুখের ভেতর, বগল, কুঁচকি, মলদ্বার ও প্রস্রাবের রাস্তার চারপাশ মুছে দিতে পারেন।
sasthobarta protidin
: একটু বড় বাচ্চাদের ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে খুব মোটা কাপড় না পরিয়ে কয়েক স্তরের কাপড় পরান। বাইরে বের হলে হাতমোজা, কানটুপি পরাবেন। বাড়িতে সব সময় পায়ে স্যান্ডেল পরান।
: বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার আগে কাপড় পাল্টে পরিচ্ছন্ন হয়ে নিন। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।
: তীব্র শীতে শিশুর ত্বকে লোশন ব্যবহার না করে ভেসলিন বা ক্রিম লাগান, মুখ ছাড়া অন্যত্র অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন।
: এই আবহাওয়ায় শিশুদের জ্বর-কাশির বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত। জ্বরের জন্য পেরাসিটামল, কাশির জন্য নরসল নাকের ড্রপ আর নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানোই মূল চিকিৎসা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.