.

শীতে স্বাস্থ্যনাশ

ঠাণ্ডা মৌসুমে আলসেমি ভরা দিনগুলোতে সাধারণ কিছু অভ্যাস স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শীতের সকালে কম্বলের উষ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাহানার অন্ত থাকে না। এ কারণে প্রতিদিনের ব্যায়ামের রুটিনেও ব্যঘাত ঘটে। পাশাপাশি চা বা কফি খাওয়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। এরকম প্রতিটি অভ্যাসই বেশ ক্ষতিকর।
sasthobarta protidin
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসের বিষয় তুলে ধরা হয়।

ব্যায়াম এড়িয়ে চলা: শীতের সকালে ঘুম বাদ দিয়ে ব্যায়াম করা মোটেও সুখকর কোনো বিষয় নয়। ফলে নিয়মিত ব্যায়াম বাদ পড়ে যায় এই মৌসুমে। ‍সকালে হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর শরীরচর্চা করলে মন ভালো রাখার হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই শীতের সকালেও কিছুটা কষ্ট করে ব্যায়াম করলে সারাদিন বেশ ফুরফুরে লাগবে।

সারাদিন ঘরে থাকা: শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরের ভেতর থাকতে পছন্দ করেন। এতে একঘেঁয়েমি এবং অবসাদ চেপে বসতে পারে। তাই শীতেও ঘর থেকে বের হওয়া উচিত।

অতিরিক্ত ঘুমানো: শীতে সাধারণভাবেই ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, একইভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমানও ঠিক নয়।

খাবারে লাগাম না টানা: খাওয়ার জন্যও বেশ উপযুক্ত সময় শীতকাল। তৈলাক্ত বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে গরমে যেমন অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে সেই সম্ভাবনা এই মৌসুমে অনেকটাই কম। তাই নিয়মিত ডায়েটেও ব্যঘাত ঘটে। শরীরে ক্যালরির পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই এ সময় খাওয়ার পরিমাণেও লাগাম টানতে হবে।

দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল: শীতে উষ্ণ পানিতে গোসল করা বেশ আরামদায়ক। তবে দীর্ঘ সময় গরম পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি সব থেকে ভালো এবং এই সময় যেন দীর্ঘ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের পর হালকা ভেজা শরীরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

ত্বক আর্দ্র না রাখা: সাধারণত দিনে একবার গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। এ মৌসুমে ত্বক প্রতিনিয়ত আর্দ্রতা হারায়। ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা বাড়ে। তাই যখনই ত্বক শুষ্ক মনে হবে তখনই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.