.

মাথাব্যথার ধরন বুঝে চিকিৎসা

মাথাব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অতিপরিচিত সমস্যা। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত—সব বয়সেই মাথাব্যথা হতে পারে। কেউ আধকপালি মাথাব্যথা (মাইগ্রেন), কেউ মাংসপেশির সংকোচনজনিত মাথাব্যথা (টেনশন টাইপ হেডেক) আর কেউ দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথায় (ক্রনিক ডেইলি হেডেক) ভোগে। মাথাব্যথা প্রধানত দুই প্রকার: ১. প্রাইমারি হেডেক (যেমন: মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক ইত্যাদি) ও ২. সেকেন্ডারি হেডেক (যেমন: সাইনুসাইটিস, মাসটয়ডাইটিস, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় আঘাতজনিত ব্যথা ইত্যাদি)।
sasthobarta protidin
চিকিৎসা ও প্রতিকার: মাথাব্যথার ধরন বা কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। এ জন্য প্রথমে প্রয়োজন রোগনির্ণয়। তাৎক্ষণিক ব্যথা নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন বেদনানাশক ওষুধ রয়েছে। তবে সেগুলো অতিরিক্ত সেবন করলেও মাথাব্যথা হতে পারে। তাই নিরুপায় না হলে এমন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান, মাদক সেবন, অতিরিক্ত চা-কফি পান, অনিয়মিত এবং অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধা, যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক হলে মাথাব্যথা অনেকাংশে কমবে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.