.

স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ৫ পরামর্শ

পক্ষাঘাত বা স্ট্রোক মধ্য বয়সের পর একটি বড় সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি হলে এবং মানসিক চাপের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা রক্তনালি বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হতে পারে। এতে মৃত্যুঝুঁকি যেমন আছে, তেমনি আছে কোনো অঙ্গ বা শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ার ঝুঁকি।
sasthobarta protidin
আজকাল তুলনামূলক কম বয়সেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে বাড়তি লবণ একেবারেই বাদ দিন। রান্নায়ও লবণ দিতে হবে পরিমিত। বেশি লবণযুক্ত খাবার, সয়াসস, কেচআপ ইত্যাদি কম খান। এড়িয়ে চলুন তেল-চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার। এগুলো রক্তনালিতে চর্বি জমতে এবং ব্লক তৈরি করতে সাহায্য করে।
ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বলে প্রমাণ মিলেছে। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, শাক, বরবটি এবং টক ফলে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড থাকে।
তাজা ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খান। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা রক্তনালিকে প্রসারিত করে, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এসব ফলমূলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। ধূমপান অবশ্যই বর্জন করুন।
বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে বছরে দু-একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। শরীরের ওজন এবং রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করুন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.