.

চোখের বিশেষ যত্ন

সারাদিন আমাদের চোখ জোড়া প্রচুর কাজ করে, যা আমরা অনেকেই মাথায় রাখি না। ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া পুরো দিন জুরেই কাজ করতে থাকে আমাদের চোখ। আর চোখ এবং চোখের আশপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। আর ওই অংশে বয়সের ছাপও দ্রুত পড়ে তাই আগে থেকেই বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।


রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চোখের যত্ন নেওয়ার কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়।

দিন শুরু করুণ ফল খেয়ে: দিনের শুরুতে বেশ খানিকটা ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। বিশেষ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ ফল খেয়ে দিন শুরু করলে তা চোখ উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। ফল চোখ ও ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।

টি ব্যাগ ও অলিভ অয়েল: ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠাণ্ডা করে চোখের উপর চেপে ধরলে আরাম পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে। তবে চোখের আশপাশের কোমল ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলও কার্যকর। এক টুকরা তুলা তেলে ভিজিয়ে চোখের চারপাশের ত্বকে লাগাতে হবে, এরপর ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রেখে বিশ্রাম নিতে হবে।

চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখুন: দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, ফোন বা টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং এর পাশের ত্বকে বলিরেখা পরে। তাই ঘন ঘন চোখের পাতা বন্ধ করতে এবং খুলতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করতে হবে।
sasthobarta protidin
যে কোনো স্ক্রিনে কাজ করার সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পর বিরতি নিতে হবে, চোখের বিশ্রামের জন্য।

চোখের জন্য প্রাকৃতিক মাস্ক: রূপচর্চায় মাস্কের ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। ত্বকের পাশাপাশি চোখ ও চোখের ত্বকেরও যত্ন নেওয়া জরুরি। চোখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই সব থেকে উপযোগী। শসা, আলু ইত্যাদি সবজিতে প্রচুর পানি থাকে এবং ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই এই উপাদানগুলো চোখের ফোলাভাব দূর করার পাশাপাশি চোখ উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

সবসময় খুশি থাকুন: অবসাদ এবং মানসিক চাপের ছাপ পড়ে চোখে। এতে চোখ নিস্তেজ দেখায়। ক্লান্তি, রাগ, অপর্যাপ্ত ঘুম চোখে প্রভাব ফেলে। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.