.

অতিরিক্ত ঘুম ও বসে থাকার কুফল

নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো, দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা আর অলস জীবনযাত্রার পরিণতি হতে পারে অকাল মৃত্যু, এমনটাই সতর্কবানী দিচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।
অস্ট্রেলিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সাক্স ইনস্টিটিউট এর ‘ফোর্টিফাইভ অ্যান্ড আপ স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণা অনুযায়ী, “যারা অতিরিক্ত ঘুমান, বেশি সময় বসে থাকেন এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় নন তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নেই এমন ব্যক্তিদের তুলনায় চারগুণ বেশি।”
sasthobarta protidin
প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকাকে অতিরিক্ত বসে থাকা বিবেচনা করা হয়েছে। আর কম শরীরচর্চার পরিমাপ বিবেচিত হয়েছে সপ্তাহে দেড়শ মিনিটের কম শরীরচর্চা।
গবেষণার প্রধান লেখক ডা. মেলোডি ডিং বলেন, “এটাই প্রথম গবেষণা, যা ঘুম ও বসে থাকা এই দুইটি বিষয় কীভাবে একত্রে কাজ করতে পারে তা নিয়ে কাজ করে। এর সঙ্গে যদি শরীরচর্চার অভাব যোগ করা হয় তাহলে হতে পারে ত্রিমাত্রিক সর্বনাশ। আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত করে যে এই অভ্যাসগুলো হেলাফেলা করা উচিৎ নয়।”
জীবনাযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাস যেমন, ধূমপান, মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং অলসতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন এবং এই সমীকরণে যোগ করেন দীর্ঘ সময় বসে থাকা ও অতিরিক্ত বা স্বল্প ঘুম।
গবেষণায় সহ-লেখক অধ্যাপক এড্রিয়ান বাউম্যান বলেন, “শিক্ষামূলক পরামর্শ হবে, জীবনযাত্রার ভুলত্রুটি সম্পর্কিত রোগবালাই থেকে বাঁচার স্বাস্থ্যকর উপায় বের করতে হলে আমাদের উচিত হবে ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর প্রতি মনোযোগী হওয়া।”
বর্তমান যুগে হৃদরোগ, ডায়বেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ বিশ্বব্যপি কেড়ে নিচ্ছে ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি প্রাণ এবং এই মৃত্যুহার সংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুহারের চাইতেও বেশি।
পিএলওএস মেডিসিন নামক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা উল্লেখ করেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এই অভ্যাসগুলোর কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে বেশি মারাত্বক তা চিহ্নিত করতে পারলে বিপজ্জনক, ক্রমবর্ধমান ও বিশ্বব্যপি এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।”

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.