পেটের
মেদ বাড়লে নারী বা পুরুষ উভয়কেই দেখতে খারাপ লাগে। কিন্তু পেটের
মেদ
জমার কারণ আমাদেরই অনিয়ম এবং বাজে খাদ্যাভ্যাস। পেটে বেশি
মেদ জমলে তা নিয়ে
বিপদে পড়ে থাকেন সবাই। কারণ
একবার বেশি মাত্রায় মেদ জমে গেলে তা কমানো অনেক কষ্টসাধ্য কাজ। সকলেরই উচিৎ পেটের মেদের
ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা। আমরা খুব সহজে আমাদের পেটে জমে
থাকা মেদের হাত থেকে রেহাই পেতে পারি। আমাদের শুধু
কষ্ট করে অনুসরণ করতে হবে কিছু ধাপ।
১ম
ধাপ- পেটের মেদ কমানোর জন্য ব্যায়াম
পেটের
মেদ
কমানোর সর্ব প্রথম এবং সব চাইতে কার্যকরী কাজ হচ্ছে আমাদের পেটের পেশীর ফ্যাট
কমানো যা বায়ামের মাধ্যমেই করা সম্ভব। আর শুধু পেটের ব্যায়াম করলেই চলবে
না। করতে হবে
পুরো শরীরের ব্যায়াম। তবে
অবশ্যই পেটের দিকে নজরটা একটু বেশিই দিতে হবে। পুশ-আপ, পুল-আপ করতে হবে। দড়িলাফ সব
চাইতে ভালো একটি ব্যায়াম শরীরের জন্য। মনে রাখতে হবে ১ সপ্তাহে পেটের মেদ
কমাতে চাইলে প্রতিদিনের
ব্যায়ামে আপনাকে ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালোরির মতো ক্ষয় করতে হবে।
২য়
ধাপ- দিনের শুরু লেবু পানি দিয়ে
প্রতিদিন
সকালবেলা নিয়ম করে ১ গ্লাস লেবু গরম পানি খাবেন। লেবুর রসের
পরিমান
যতোটা সম্ভব বেশি রাখার চেষ্টা করবেন। খাবার খাওয়ার আগে পানি খাবেন। এতে খাবারের
চাহিদা কমে যাবে। দিনে
প্রচুর পরিমাণ পানি রাখবেন।
৩য়
ধাপ- পেটের পেশীর ব্যায়াম
পেটের
পেশী অর্থাৎ অ্যাবডোমিনাল পেশীর ব্যায়াম করতে হবে সপ্তাহে ৩ দিন। ক্রাঞ্চ এবং
পায়ের ব্যায়াম ৩ সেটে ২০ বার করে করতে হবে প্রতিবার। কুনুইএর
মাধ্যমে
পুশ-আপের ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে ১ সপ্তাহের মধ্যে পেটের মেদ
কমে যাবে।
৪র্থ
ধাপ- খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
সাধারণত
যেভাবে যে নিয়মে আপনি খাবার খান তার থেকে চিনি, এবং কার্বোহাইড্রেট
বাদ দিতে হবে। কার্বোহাইড্রেট
সামান্য রাখতে পারেন দেহের এনার্জির মাত্রা ঠিক রাখার জন্য। কিন্তু
অবশ্যই চিনি বাদ দিতে হবে। মাছ এবং মুরগীর মাংস, প্রচুর পরিমানে শাকসবজি এবং ফাইবার
সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। এবং
প্রতিদিন
তাজা ফল খাওয়ার অভ্যাস করবেন। বিশেষ করে টক জাতীয় ফল। লবণ রাখবেন না খাবারে। শুধু লবণ নয়,
সোডিয়াম
সমৃদ্ধ সকল খাবার থেকে দূরে থাকবেন।
৫ম
ধাপ- খাবারে ব্যবহার করুন কিছু মশলা
খাবারে
ব্যবহার করুন দারুচিনি, গোলমরিচ ও আদা। এইসকল মশলা পেটের মেদ দূর করতে বেশ কার্যকরী। রসুনও পেটের
মেদ দূর করে। আদা
এবং রসুন কাচা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এবং খাবারে ঝালের মাত্রা বাড়িয়ে দিন। তবে অবশ্যই
সহনশীল
ঝাল দেবেন।
ঝাল
পেটের চর্বি কাটতে সাহায্য করে।
Share this