.

জানতে দোষ কি ? জানা কিছু ঘটনার পিছনের আপাত অজানা মজার কিছু তথ্য



যদি আমরা আমাদের পায়ের তলায় একখন্ড  পেঁয়াজ অর্ধেক করে কেটে নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঘষি তাহলে কিছুক্ষণ পরেই আমরা সেই পেঁয়াজের স্বাদ অনুভব করতে পারব মজার ব্যাপার না !
এবার দেখে নিই  এর পেছনে কি বিজ্ঞান কাজ করছে ? আসলেই বিষয় টি অত্যন্ত সহজ যদি আমরা পেয়াজ টি কে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পায়ের  নীচে ঘষি তাহলে পেঁয়াজের রস   আমাদের ব্লাড ভেসেলের মাধ্যমে রক্তস্রোতে মিশে যায় আর আমরা জানি যে রক্ত হল সংযোজক কলা যা রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে দেহের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সবশেষে টেস্ট বাড বা স্বাদ কোরোকের সংস্পর্ষে আসলেই আমরা তার স্বাদ অনুভব করতে পারি
সবথেকে বেশীদিন পানি  না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে আমাদের পরিচিত এমন এক প্রাণী এমন প্রাণীর নাম বললেই আমাদের কার কথা মনে পড়ে ? অবশ্যই  মরুর জাহাজ উটের কথা এর ব্যাখ্যাও আমরা কম বেশী জানি একদম ছোট বেলায় জানতাম উটের পিঠের কুঁজের মধ্যে থাকে পানি আর আর একটু বড় হয়ে শিখেছি উটের পিঠের কুঁজ আসলে চর্বি পিন্ড যার মূল উপাদান ফ্যাটি অ্যাসিড আর গ্লিসারল এবং এর অক্সিডেশনের ফলে উট তার প্রয়োজনীয় পানি  তৈরী করে  ও তার পানির  চাহিদা মেটায় কিন্তু মজার ব্যাপার হল সব থেকে বেশীদিন পানি না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে এমন প্রানী অবশ্যই  উট নয় সেটি হল জিরাফ একটি ঊটের থেকে একটি জিরাফ আরো বেশী দিন পানি  না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে
এটিও একটি মজার বিষয় কিন্তু আমরা হয়তো সেভাবে পর্বেক্ষণ করিনা বা করিনি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে যে সকল মানুষ ডান হাতি ( রাইট হ্যান্ডেড ) হন তারা যখন খাবার চিবোন তখন সাধারনত মুখের ডান দিকে খাবার টিকে চিবোন আর যারা বাঁ হাতি তাদের মধ্য একটি স্বাভাবিক প্রবনতা থাকে মুখের বাঁ  দিকে খাবার চিবানোর   তবে এখানে একটি ব্যাতিক্রম রয়েছে  যাদের দাঁতে পোকা বা দাত না থাকা বা দূর্বল দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাদের অভ্যাস গত কারনে এর পরিবর্তন হতে পারে

আমরা হাসতে গেলে অনেকেই কৃপণতা করি আরে ভাই ভুললে চলবে  “Smile Costs  nothing but pays everything ”-  এতো গেলো জ্ঞানের কথা এবার আসি বিজ্ঞানে বিজ্ঞান বলছে হাসলে আমাদের শরীর স্ট্রেস হরমোন গুলির ক্ষরণ সীমীত হয় ও অনাক্রমন তন্ত্র বা ইমিউন সিস্টেম আরো বেশী সক্রিয় হয় আর মজার ব্যাপার কি জানেন ? তথ্য সূত্রানুসারে একটি ৫ বা ৬ বছরে শিশু সারা দিনে গড়ে ১৫০ থেকে ৩০০ বার হাসে আর উলটো দিকে একজন পূর্ণ বস্ক মানুষ সেখানে গড়ে দিনে ১৫ থেকে ১০০ বার হাসে তাহলেই বুঝে নিন রোগ ব্যাধির ক্ষেত্রে কারা বেশী ভালনারেবল ?
ডালমেশিয়ান কুকুরের কথা আমরা কম বেশী সকলেই জানি , বা হয়তো নাম না জানলেও অনেকেই ছবিতে দেখেছি ডালমেশিয়ান প্রজাতির কুকুরের কথা বললেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সাদার উপর কালো বড় বড় ছোপ ছোপ দাগ কিন্তু আবার একটি মজার তথ্য উপস্থাপন করছি সেটি কি ? সেটি হল জন্মের পরে কিন্তু ডালমেশিয়ান কুকুরের গায়ে একটিও ছোপ দাগ  থাকে না একদম ধপধপে সাদা বিশ্বাস হচ্ছেনা ? তাহলে নিজেই দেখে নিন
বাদুড় কে আমরা সবাই জানি বা চিনি বাদুড় বললেই হয়তো মনে পড়ে যায় রোম খাড়া  করা কোন ভুতের ছবি বা গল্প বা হয়ত ব ব্যাট্ ম্যান এর কথা আমরা বাস্তবে বা সিনেমায় বা ছবিতে বা গোয়েন্দা উপন্যাসে বহূ বার এরকম দেখেছি যে একটা পোড়ো বাড়ি বা ঘরের কপাট খুললেই সশব্দে কতগুলি বাদুড় উড়ে গেল , বা কোনো গূহা বা কন্দর থেকে বাদুড় বেরিয়ে সাঁ করে ঊড়ে  গেল কখনো কি সেই ঊড়ার গতিপথ নিয়ে ভেবেছি ? নাহ্‌ কিন্তু কিছু পাগলল বিজ্ঞানী অবশ্যই রয়েছেন যারা এইসব নিয়ে দীর্ঘ দিন গবেষনা ( গরু খোঁজা ) চালিয়ে যাচ্ছেন আর তাদের রিসার্চের ফলেই ঊঠে এসেছে  অবিশ্বাশ্য তথ্য সেটি হল পৃথীবীর সব বাদুড়ই যখন কোনো গুহা , ফোঁকোর বা বন্ধ ঘর ( এক কথায় কনফাইন্ড এরিয়া ) থেকে বের হয় , সর্বদাই প্রথমেই বা  দিকে টার্ণ নিয়ে ওড়ে কি বিশ্বাস হচ্ছে না , ঠিক আছে পারলে একবার একটা পোড়ো বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে দেখে নিও তবে একটা পরামর্শ একা একা না গিয়ে কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারো
এটা হয়তো এখন কার ছেলে মেয়েরা অনেকি জানেন , কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি জানতাম না তাই শেয়ার করলাম জেন্টস গারমেন্টস বা পুরূষদের জামার বোতাম থাকে ডান দকে আর লেডিজ গারমেন্টস বা মেয়েদের পোষাকের জামার বোতাম থাকে বাঁ দিকে না জানা থাকলে অবশ্যই মজার
পক্ষী কূলে আমাদের চেনা অচেনা যত পাখী রয়েছে তাদের মধ্যে পেঁচা ই হল একমাত্র পাখী যারা চোখ বন্ধ করার সময় চোখের উপরের পাতা (আপার আই লিড ) কে নীচে নামিয়ে চোখ বন্ধ করে বা পলক ফেলে আর সমস্ত পাখীরাই ছোখের নীচের পাতা বন্ধ করে অর্থা লোয়ার আই লিড কে ওপরে তুলে চোখ বন্ধ করে
    ওহফ হ্যাচ্ছো ...।।হ্যাচ্ছো হ্যা...চ্ছো কি জানি লিখতে লিখতে নাকের মধ্যে কি একটা ঢুকে গিয়ে শুরু হল হাঁচি সরি আছা হাঁচির কথা যখন এসেই গেল তখন বলেই ফেলি আমরা যতবার হাঁচি ততবার আমাদের মস্তিষ্কের বেশ কিছু কোষ মারা যায় কি বেশ অবাক ব্যাপার না ? তবে ভয়ের কিছু নাই এই হারে ব্রেন সেল মারা যেতে থাকলে একদিন তো ঘটে আর কিছুই থাকবে না না  না অত ভয় পেয়ো না আমাদের ব্রেনের গ্লিয়াল সেল গুলি থেকে আবার রিপ্লেনিশ হয়ে যায়
১০Honey বা মধু হানি এটি যেমন উপাদেয় তেমনি পুষ্টি কর একটি খাবার সেই প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত সকল শ্রেনীর মানূষের মধ্যে তাদের খাদ্য তালিকার অন্যতম একটি খাদ্য উপাদান হল মধু মধুর সবথেকে বড় গুন হল এটি অত্যন্ত সহজ পাচ্য এর কারন কি জানা আছে ? কারন হল – It has already been digested by a bee.   আরে আরে তা বলে কি মধু খাবো না ? না না মোমাছি অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীব
১১সকাল বেলায় প্রহর ঘোষনা করে কে কার ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে ? কি ?কাক ? আরে আরে না না একেবারে রঙ ট্র্যাক ধরে ফেলেছো   আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম মোরোগের কথা মোরোগের ডাক আমরা সবাই শুনেছি বা বা মোরোগ  কে আমরা সবাই ডাকতে দেখেছি কেমন সুন্দর গলা ঊঁচ্চিয়ে কঁকর কঁ করে ডাকে হ্যা এর মধ্যে মজার তথ্য টা কোথায় ? আছে আছে এত ব্যস্ত হওয়ার কিছু নাই তাহলে বলেই ফেলি গলা উঁচু  না করলে মোরোগ ডাকতেই পারবেনা কেউ কি কখনো মরোগ কে গলা না উঁচু করে ডাকতে দেখেছো ? না দেখনি এর কারন তাদের ভোকাল কর্ডের অবস্থান গত বিন্যাস কি অত্যন্ত চেনা ঘটনার একটু অচেনা দিক ?
১২সমুদ্রের নীল পানি রাশির সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা অপার দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশের দিকে অনেক্ষণ চেয়ে থাকলে মনটা দেখবে বেশ শান্ত হয়ে যায় তোমরা বলবে হ্যা এটার মধ্যে নতুন কি খোজার চেষ্টা করছেন ? এতো প্রকৃতির দান তার বিশালতা অবশ্যই সত্য কিন্তু এর পেছনের বিজ্ঞান টা হলআমাদের বর্ণালির নীল রঙের একটা বিশেষ  প্রভাব রয়েছে নীল রঙ আমাদের মস্তিষ্কের উপর সরা সরি প্রভাব ফেলে এবং কামিং হরমোন ( calming hormones )   গুলিকে নির্গত করতে উদ্দী[পনা যোগায় যা আমাদের মনটা কে অনেকটা  শান্ত করে দেয়  Calming Hormones   হল  Stress Hormones এর  ঠিক উল্টো কাজ করে
১৩ইং রেজী শব্দ ভান্ডারে একমাত্র শব্দ হল  CLEAVE   যার দুটি সমার্থক  শব্দ হল  ADHEAR     SEPARATE   যারা আবার একে অপরের বিপরীতার্থক শব্দ
১৪জলহস্তী বা হিপোদের কে আমরা সবাই দেখেছি একটি মজার প্রচলিত ধারনা  রয়েছে  জলহস্তীরা যখন খুব আপসেট বা হতাশ হয় বা শক পায় তখন তাদের দেহ থেকে ঘামের বদলে রক্ত ঝরে আসলে এটি অত্যন্ত প্রচলিত একটি ধারনা কিন্তু সঠিক নয় সঠিক ব্যাখ্যা হল  তাদের দেহের মধ্যে থাকা মিউকাস যাতীয় পদার্থ আবা তেলতেলে একটি পদার্থ নির্গত হয় (রেড ওয়েল) যা ঘামা বা Sweat  এর সঙ্গে মিশে যায় এবং বায়ুর সংস্পর্ষে এসে লাল রক্তের মত দেখায়
১৫স্পুনারিজম একটি অত্যন্ত প্রচলিত টার্ম এর অর্থ হল শব্দকে ঊলটে  পালটে ফেলা একটি উদাহরন দিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে -     যেমন   Flag Of Japan      বলতে গিয়ে বলা হল Jlag Of Fapan          কি বেশ মজার জিনিষ না ? এবার চেষ্টা করে বেশ কিছু স্পুনারিজম আমরা নিজেই খঁজে বের করতে পারি
১৬এবার আসি আর একটি অপেক্ষাকৃত লঘূ বিষয়ে টাইটানিক জাহাজের কথা আমরা কে না জানি আর যার জানতাম না তারাও ইতিমধ্যে বিখ্যাত সেই টাই টানিক সিনেমা ধেকে জেনে গেছি টাইটানিক  হল প্রথম জাহাজ যাতে  SOS  সিস্টেম চালু করা হয়ে ছিলনা এটি মজার  তেমন কোন তথ্য না এবার মজার তথ্য টি বলি টাইটানিক জাহাজ টি তৈরী করতে খরচ হয়েছিল- ৭ মিলিয়ন ডলার আর টাইটানিক জাহাজের ডুবে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তৈরী যে ছবি(সিনামা ) সেটি তৈরী করতে খরচ হয়েছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার হায় হায় বাঙালী ।।এই দুঃখ রাখি কোথায় ?
১৭ আমরা জানি রক্তের রঙ লাল কারন লোহিত রক্ত কণিকা আমাদের দেহের অসংখ্য  শিরা ঊপশিরা ধমনী উপধমনী , জালক পথে এই লহিত রক্ত কণিকা ঘুরে বেরায় সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় হল এই লোহিত রক্ত কণিকার আমাদের সারা দেহের অলি গলি পথ ঘুরে আসতে সময় লাগে মাত্র ২০ সেকেন্ড
১৮ এবার একটি মজার সাধারণ জ্ঞান সন্ধীয় তথ্য বলি অ্যাজলেট কাকে বলে জানা আছে ? না আমিও জানতাম না তাই শেয়ার করলাম জুতো আমরা প্রায় সকলেই পরি , জুতোর ফিতে আমরা সবাই বাঁধি এই জুতোর ফিতের একেবারে প্রান্তে যে প্লাস্টিক কোট টি থাকে তাকেই বলে অ্যাজলেট
১৯ আমরা আগেই বলেছি রক্ত হল সংযোজক কলা রক্ত (কিছুক্ষেত্রে লসিকা ) দেহের সব অঙ্গে পৌছায় বলতে পার কি দেহের কোন অঙ্গে কখনই রক্ত পৌছায় না ?কি আকাশ পাতাল ভাবতে শুরু করলে ?তাহলে উত্তর টা বলেই দিই - সেটি হল আমাদের চোখের কর্ণিয়া তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে সেটি সজীব থাকে কি করে ? আসলে এরা সরাসরি বাতাস থেকে অক্সিজেন নেয়
২০ক্যাঙ্গারু কে আমরা কে না চিনি ? জানো কি ক্যাঙ্গারু একলাফে প্রায়  ৩০ ফিট পথ অতিত্রম করতে পারে !
২১প্রেম ছাড়া কি কাব্য হয় ? না কি পৃথিবী চলে ? তাহলে প্রেমের কথাই বলে ফেলি -প্রতি দিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন কাপল্‌ পরস্পর  পরস্পর এর  প্রেম  বন্ধনে আবদ্ধ হয় প্রতিদিন গড়ে ৪০০,০০০ সন্তান জন্মগ্রহন করে আর গড়ে প্রায় ১৪০,০০০ মানুষ মারা যায়
২২কোলগেট পেস্ট নিয়ে একটি মজার গল্প বলি কোলগেট পেস্ট একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্র্যান্ড বিশ্বে বহু দেশে এদের দারুন বাজার কিন্ত স্পেন ভাষা ভাষীয় দেশগুলিতে মার্কেটিং করতে গিয়ে কোলগেট কম্পানীকে সবথেকে বেশী হোঁচোট খেতে হয় কারন ? কারন   COLGATE      শব্দটির স্পেনীয় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় -  Go Hang Yourself!
 
২৩আমরা প্রায় সকলেই পার্কে বা রাস্তার মোড়ে কিছু কিছু স্ট্যাচু দেখতে পাই সেখানে অনেক সময় দেখা যায় ঘোড়ার পিঠে একজন বসে আছেন খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে কখনো কখনো ঘোড়ার একটি পা তোলা থাকে অর্থা এক্তা পা ঊঁচু করে থাকে , কখনো ২ টি পা উঁচু করে থাকে , কখনো বা চারটি পা ই নীচে থাকে এদের অএকটি গূঢ় অর্থ থাকে সেটি হল- যদি ঘোড়ার ২ টি পা উঁচু করে থাকে- এর অর্থ ওই ব্যাক্তি যুদ্ধ করতে গিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে  মারা যান যদি ঘোড়ার ১ টি পা উঁচু করে থাকে- এর অর্থ ওই ব্যাক্তি যুদ্ধ করতে গিয়ে য়াহত হন এবং সেই আঘাত জনিত কারনে তার মৃত্যু হয় যদি ৪ টি পাই নীতে থাকে এর অর্থ ওই ব্যক্তি স্বাভাবিক ভাবে মারা যান (ন্যাচারাল ডেথ)
২৪মানূষের একটি  ছোট্ট  হৃপিন্ডের ক্ষমতা সম্বন্ধে একটি তথ্য দিই একটি হৃপিন্ড এর পাম্পিং  ক্যাপাসিটি এতটাই যে তা রক্তকে প্রায় তিন  তলা বাড়ী র ছাদ পর্যন্ত পাম্প করে উপরে তুলতে পারে
২৫যে কোনো ঘড়ীর বিজ্ঞাপণে আমরা দেখতে পাই ঘড়িতে ১০-১০ বেজে আছে এটি হয়তো অনেকেরই জানা আছে এর কারন কি ? সমন্ধে অনেক গুলি ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত আছে সেগুলি এবার পর পর আলোচনা করি
ক) অনেকের মতে ওই সময় ঘড়িতে একটি vertical Symmetry  থাকে এর বিরুদ্ধ যুক্তিও আছে সেট হল ৯-৪৫ বা ৮-২০ এর সময় ও একই রকম vertical Symmetry  থাকে তাহলে ১০-১০ ই কেন ?
খ) অনেকে বলেন আব্রাহাম লিঙ্কন ১০-১০ এ মারা যান সেই সময়টিকে স্মরন করার জন্য কিন্তু এর ও বিরুদ্ধ যুক্তি রয়েছে সেটি হল আব্রাহাম লিঙ্কন কে গুলি করা হয় রাত্রি ১০-১৫তে  এবং তিনি মারা যান পরদিন সকাল ৭-২২ মিনিটে তাই এই যুক্তি ও খাটে না
গ) অনেকে বলেন ১০-১০ এ ঘড়ির কাঁটা থাকলে , কম্পানীর নাম ও অন্যান্য ডিটেইলস যা ঘড়ির কেন্দ্রে উপরের বা নীচের দিকে লেখা থাকে সেটি সব থকে ভালোভাবে দেখা যায়
ঘ) প্রথম ঘড়ি তৈরী হয়েছিল ১০-১০ এ কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় সব ঘড়ি কোম্পানীই তাহলে সেই সময় টিকে ব্যবহার করে কেন ?
ঙ)অনেকের মতে হিরোসিমা তে যে পরমানূ বোমা ফেলা হয়েছিল সেটি ১০-১০ এ তাই যুদ্ধে মারা যাওয়া অসংখ্য মানূষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে অই সময় কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাই এটি তো ১৯২০ এর ঘটনা তাহলে তার আগে থেকেই তো ঘড়ির বিজ্ঞাপণে ওই সময় দেখান হত কেন ?
কিন্তু সবচেয়ে বেশি গ্রহন যোগ্যতা পেয়েছে যে মত দুটি সেটি হল ১০-১০ এর সময় ঘড়ির কাঁটার অবস্থান অনেকটা স্মাইলি লুক দেয় বা ভি ফর ভিক্ট্রি সাইনকে সূচিত করে
২৬ একজন মানূষের শরীরের যত শিরা ধমনী আছে সেগুলিকে যদি পর পর একটির পর একটির জোড়া দিই কতটা দৈরঘ্য হবে সে সমন্ধে আন্দাজ করতে পার কি ? এর  দৈর্ঘ্য হবে ৬২০০০ মাইল অর্থা একতা মানূষের দেহের সব শিরা ধমনীকে জোড়া দিয়ে দিয়ে একতা আস্ত পৃথিবীকে প্রায় আড়াই পাক দিয়ে দেওয়া ্যাবে অবাক করার মত  ব্যাপার না ?

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.