.

জীবনে সাফল্যের সেরা মূলমন্ত্র



ইন্টারনেটে পৃথিবীর শীর্ষ ধনীদের জীবন কাহিনী পড়ে একটি ব্যাপার লক্ষ্যনীয় যে এদের কেউ জন্মসূত্রে কোটি কোটি টাকার মালিক হন নি, হয়েছেন সম্পূর্ন নিজেদের প্রচেষ্টায়অনেকের এই সাফল্যের রহস্য কী, তা জানতে গিয়ে বেশ কিছু মিল খুঁজে পেলাম প্রায় সবার কথাতেইসেগুলোকেই আমি সার সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি-

১.স্বপ্ন গড়ুন এবং তা অনুসরণ করুনঃ

স্বপ্ন দেখুন , স্বপ্ন গড়ুন ভালোভাবে বেঁচে থাকারআপনি তখনই একটি সুন্দর জীবন যাপন করতে  পারবেন, যদি আপনি আপনার এই স্বপ্ন কে অনুসরণ করে সঠিক পথটি খুঁজে বের করতে পারেনশুধু তাই-ই নয়, এই স্বপ্ন কে পূরণ করার জন্য যে কোন ধরণের ঝুঁকি নেয়ার মতো সাহসও আপনার থাকতে হবে, মনোবল থাকতে হবে কঠোর পরিশ্রম করার
জীবনের মূল্যবান সময়টিকে নষ্ট করবেন না প্রেমের সস্তা আবেগে ভেসে গিয়ে

২. অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করে ভাবুনঃ

যদি আর ১০ জন সাধারণ মানুষের মতই নিজের জীবনটাকে ভাবেন, তাহলে আপনার জীবন কখনো অদের থেকে আলাদা হবে নাতাই সব সময় নিজেকে অন্যরকম সচরাচর থেকে আলাদা করে ভাবতে শিখুন
এটি শুধু মাত্র আপনার নিজের জন্যেই না, যাদের কে নিয়ে আপনি পথ চলছেন, অর্থা আপানার ব্যবাসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবার জন্যেই সব সময় আরো উন্নত ও ভালো কিছু ভাবতে হবে, এবং সেই অনুযায়ী কাজও করতে হবে

৩. আস্থা ও বিশ্বাসঃ

নিজের উপর জোর আস্থা রাখুনআরো আস্থা রাখুন যে আপানার সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ভর করছে আপানর নিজের উপরেই, তাই সেভাবেই নিজের চিন্তা ও কাজের পরিকল্পনা করুনমনে রাখবেন, আপানর নিজের উপরে যদি নিজেরই আস্থা বা বিশ্বাস না থাকে, তাহলে অন্যরা কেন আপনার উপর আস্থা রাখবে?
দৃড়তার সাথে নিজের গড়া পথে এগিয়ে চলুন, বিশ্বাস রাখুন যে সফল আপনি হবেনই
                                             

 কাজের ফাঁকেই আনন্দ করুন প্রাণ খুলেঃ

জীবনে সফলতার চাবি কাঠি হল কঠোর পরিশ্রমতবে এই কথা ভুলে গেলে চলবে না যে এক নাগারে কেবল পরিশ্রম করলেই আপনি সফল হবেনকাজের ফাঁকে ফাঁকে যখনি সময় পাবেন, আনন্দ করতে ভুলবেন নাএটি আপনাকে ভোরের মিষ্টি বাতাসের মতই সজীবতা দেবে
যদি আপনি কোন প্রতিষ্ঠনের কর্ণধার ও হয়ে থাকেন, তাহলেও এটি মেনে চলবেন অধীনস্থদের কে মাঝে মাঝেই আনন্দ বিনোদনের সুযোগ করে দেবেনএতে সবার মধ্যে কর্ম স্পৃহা আরো বেড়ে যাবেযার ফলে আপানর ব্যবসার লাভও হবে দ্বিগুণ

৫. হাল ছেড়ে দেবেন নাঃ

ব্যক্তিগত জীবনেই হোক কিংবা ব্যবসায়িক, কোন ক্ষেত্রেই হাল ছেড়ে দেবেন নাহাসি মুখে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন

৬. প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরী করুনঃ

রোজ সকালেই ঠিক করে ফেলুন দিনের কাজ কী কী হবে, তা নোট করে নিন ডায়েরীতেসেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করুন, সময় ভাগ করুন, যাতে নোট করা কোন কাজই বাদ না পরে যায়

৭. পরিবারকে সময় দিনঃ

কাজের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, নিজ পরিবারের প্রতিও আপানার কিছুটা দায়িত্ব থেকে যায়, তাই সেই দায়িত্ব পালন করতে যেন কার্পন্য করবেন না পরিবারের সদস্যদের সাথে মেতে উঠুন হাসি খেলায়দেখবেন অফুরান প্রাণশক্তি পাচ্ছেন আপনিআপনজন দের হাসি মুখ আপনাকে দেবে অন্যরকম এক অনুভূতি, যা মানসিক শক্তির ধারক বাহক

৮. নিজেকে মুক্ত করুন খোলা পৃথিবীতেঃ

সারাক্ষণ টিভি বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত না থেকে বাইরের খোলা পৃথিবীতে নিজেকে টেনে নিয়ে আসুনদেখবেন সেখানে টিভি বা ইন্টারনেট এর জগতের বাইরে মুগ্ধ হবার মতো নানা রকম জিনিস রয়েছেরয়েছে রোমাঞ্চকর অনেক ঘটনা, যা কেবল উন্মুক্ত প্রতিবিতেই পাওয়া সম্ভবসেগুলো আপনার সময় নষ্ট করবে না, বরঞ্চ আপনাকে সমৃদ্ধ করবে, উদার, উন্মুক্ত করবে আপনার মন মানসিকতা কে

৯. লোকের সমালোচনা এড়িয়ে চলুনঃ

অনেকেই হয়তোবা আপনার কাজ বা আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করবে, বা আপনার সমালোচনা করবে, আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে দেবে না, নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, সেগুলো এড়িয়ে যাবেনপাছে লোকে কিছু বলেএই চিন্তা না করে নিজের লক্ষ্য ও গন্তব্যের দিয়ে এগিয়ে যাবেন দৃড়তার সাথে

১০. যা আপনার ভালো লাগে, তাই-ই করুনঃ

আপনি আগেই তো আপানর স্বপ্ন ঠিক করে রেখেছেন, সুতরাং সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য যা করা উচিত বা যেটাকে আপানার পারফেক্ট মনে হবে, তাই-ই করবেনআপনি সফল হওয়া মানে আপনার সাথে সাথে আরো অনেক লোকজনের উপকার হওয়াসুতরাং নিজের এবং অন্যের মঙ্গল চিন্তায় যা করা সঠিক মনে হবে, সেটাই করবেন আপনি

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

.