ভোরের বাতাস শীত আগমনের আভাস দিচ্ছে। শীত শুরুর এই সময়টাতে জ্বর, ঠান্ডায়
কম বেশি সবাই আক্রান্ত হয়। জ্বর ভাল হয়ে গেলেও কাশি সহজে ভাল হতে চায় না।
এই কষ্টদায়ক খুসখুসে কাশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আছে ঘরোয়া
কিছু উপায়। ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব
খুসখুসে কাশি। খুসখুসে কাশি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় নিয়ে আজকের এই ফিচার।
১। হলুদ
আধা কাপ পানিতে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে
জ্বাল দিন। এতে একটি লবঙ্গ দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট জ্বাল দিন। এর সাথে এক
টেবিল চামচ মধু মেশান। এটি প্রতিদিন পান করুন। এছাড়া এক কাপ পানিতে এক চা
চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং এক চা চামচ মৌরি দিয়ে হারবাল চা তৈরি করুন। এটি দিনে
তিনবার পান করুন।
২। মধু
শুষ্ক কাশি প্রতিকারে মধু বেশ কার্যকর। এক টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু প্রতিদিন
১ থেকে ৩ বার গ্রহণ করুন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ মধু
খেয়ে নিন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১ চা চামচ থেকে ১ টেবিল চামচ হতে পারে। মধুর
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে।
৩। রসুন
পাঁচটি রসুনের কোয়া কুচি করে এক চা চামচ ঘিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। কুসুম
গরম থাকা অবস্থায় এটি খেয়ে ফেলুন। রসুনের অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং
এক্সপেকটোরেন্ট উপাদান কাশি উপশম করে থাকে। University of Maryland Medical
Center cites এর মতে রসুন অব্যশই কাশি উপশম করে থাকে।
৪। পেঁয়াজ
খুস খুস কাশি দূর করতে পেঁয়াজ বেশ কার্যকর। আধা চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে এক
চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁজ
গলার খুসখুসে কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
৫। আদা চা
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা খেয়ে নিতে পারেন। আদার অ্যান্টি
ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার ভিতরে অস্বস্তিকর অনুভূতি দূর করে থাকে। এক কাপ
পানিতে আদা কুচি দিয়ে জ্বাল দিন। এটি দিনে তিন থেকে চার বার পান করুন।
দেখবেন শুষ্ক কাশি অনেক কমে গেছে। আদা চায়ের পরিবর্তে এটি পান করতে পারেন।
এছাড়া কিছু আদা কুচি এক গ্লাস পানিতে জ্বাল দিন। এটি পান করুন।